রোমান্টিক যুবক - আমার নিজের লেখা গল্প এবং ফটোগ্রাফি। পর্ব ১৭

আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

ওরা আবার আমাদের বাসায় এসে আম্মুর কাছে নানা রকম খাবার চাইবে। আম্মু ভাববে আম্মু কিছুক্ষন আর পারবে না। তারা আম্মুকে অনুসরণ করে বলবে, ‘প্লিজ আন্টি। দয়া করে। তুমি অনেক ভালো।’ তারা আম্মুকে তেল দিতে রাজি করবে। এতে, আমি কিছুটা অহংকারী হওয়ার ভান করব এবং ঝাঁকুনি দেব, 'হ্যাঁ। তারা যা বলবে তাই করব। আমি যদি কিছু বলি, তা কখনই করবেন না।’ এই বলে সবাই হাসবে।

কিন্তু আমার এই স্বপ্ন কি আদৌ পূরণ হবে? আম্মু, ভাই ভালো হয়ে গেলেও কি আমার বন্ধুদের সাথে আমার সম্পর্ক আগের মতই থাকবে? তাদের কেউ এখন আমার ফোন কলের উত্তর দিচ্ছে না। করোনা সংক্রামক, আমি বুঝি। কিন্তু আমি ফোনে কথা বললেও কি তারা করোনা ধরবে? হায়রে! আমার ছোটবেলার বন্ধুরা!

For Photos I use:

---

Camera	Iphone 12 Mini
Lens	Wide 26 mm-Equivalent
Photographer	@fxsajol
Location	Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos	Outdoor

---

সেদিনের পর থেকে আঁখি বার বার ফোন করছে আমাকে চেক করার জন্য। আম্মুর আর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে না। ভাইয়ের জ্বর অনেক কমে গেছে। এখন সে হাঁটতেও পারে, আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমি একটু সাহসী বোধ করছি। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, এটা করবেন না। তারা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে

ইনশাআল্লাহ। সকল ক্ষমতা আল্লাহর হাতে। যদি আল্লাহ চান, তারা সুস্থ হয়ে উঠলে, ইনশাআল্লাহ, আমিও আখিরের সাথে অন্যদের সাহায্য করতে বের হব। হ্যাঁ, অবশ্যই, আখিরের মতো সম্পূর্ণ সুরক্ষা সহ। এতদিন যা বুঝেছি, মানুষ আসলে বেশি ভয় পায়। কথায় আছে, 'বনে বাঘ না খেলেও মনে মনে বাঘ খাবে।' আমি নিজেও এতটা সাহসী বোধ করতাম না যদি আখির আমাকে বার বার ফোন করে ব্যাখ্যা না করত। সাহায্য মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আখির বলল।

যদি আল্লাহ আখির না দেখাতেন কিভাবে আমি দাঁত নিয়ে পালালাম, তাহলে সে জানত না আমি কি ধরনের সমস্যায় পড়েছি। আমি তাকে কিছু বলিনি। আমি যাকে বলেছি সবাই এটা দেখেও না দেখার ভান করেছে।

আখির শেয়ার করা কিছু ছবির অর্থ আমি এখন বুঝতে পারছি। একটা ছবি ছিল, 'সেদিন ধার্মিক ছাড়া সব বন্ধুই শত্রুতে পরিণত হবে।' আমার কাছে তখন বাড়াবাড়ি মনে হয়েছিল। এখন বুঝলাম। বিশ্বের ছোট্ট করোনা ভাইরাস আমার শৈশবের বন্ধুদের দেখিয়েছে তারা দেখতে কেমন, যা আমি আগে কখনো কল্পনাও করিনি। কথায় কথায় আঁখিকে এ কথা বললে সে বলল, সে যদি ধর্মের পথে না আসত, তাহলে হয়তো সে নিজেও রুবি, মিনি, সুমির মতো করত। যে আমাকে উত্তেজিত বোধ করেছে.

একবার জানালায় গিয়ে দেখো চাঁদটা কত সুন্দর। ঠিক তোমার মত। মিল্লাশ্রাধি এই বার্তাগুলি দেখার সাথে সাথে তিনি আকাশের মেঘের দিকে তাকাতে দৌড়ে যান, জানালার কাছে দাঁড়িয়ে চাঁদের দিকে তাকাতে শুরু করেন। উৎপলের সঙ্গে কথা রাখতে ভুল সময়ে বারান্দায় চলে যান তিনি। কিন্তু ফোনে একটি মেসেজেরও উত্তর দেননি তিনি। কখনো কখনো উৎপলের কাছ থেকে এমন শিশুসুলভ বার্তা পেয়ে হাসতেন। এবং মাঝে মাঝে, তিনি কান্না থামাতে চান না। তিনি সত্যিই বার্তাগুলির উত্তর দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিভ্রমের জাল যত বড় হবে, তা খুলে দেওয়া তত কঠিন হবে। তাই, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তার অবশিষ্ট সময়ে আর কখনো উৎপলের সামনে যাবেন না। তার সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জিনিস হল উৎপল তাকে বোঝে। সে তার কষ্ট বোঝে। সে কারণে উৎপল আর তার সাথে কথা বলার বা দেখা করার অনুরোধ করে না। সহস্রাব্দী তার ডায়েরিতে উৎপলের প্রতিটি বার্তার উত্তর লিখে রাখে।

এই ডায়েরি একদিন উৎপলের কাছে যাবে। তারপর সেও জানবে যে সে তাকে হাজার বছর ধরে কতটা ভালবাসে। আজ সেই ডায়েরির পাতায় উৎপলকে চিঠি লিখছে সহস্রাব্দি। ডায়েরির পাতায় চোখ থেকে দুই ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়তেই সে দিকে তাকিয়ে বলে, আমিও তোমাকে দূর থেকে ভালোবাসবো, শতদল। আমিও তোমাকে দূর থেকে ভালোবাসবো। সহস্রাব্দীর টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম পাঁচটি পরীক্ষায় ভালো করেছে সে। এখন সে পরীক্ষা দিয়ে কোথাও না গিয়ে সোজা বাসায় চলে আসে। আজ পরীক্ষা দিয়ে তাড়াতাড়ি ফিরেছেন। উৎপল তাকে মেসেজ পাঠালো, সহস্রব্দী, আমি জানি তোমার আজকের পরীক্ষা আগেরগুলোর চেয়ে ভালো হয়েছে। আমি কি ঠিক? সহস্রাব্দি ফোনের দিকে তাকিয়ে হাসল। আজ তার মেজাজ ভালো। কারণ আজ তার পরীক্ষা আসলে সবার সেরা ছিল। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি যোহরের নামাজের পর তার ডায়েরিতে বার্তাটির উত্তর দেবেন।

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊

সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ