এক দারিদ্র কৃষক পরিবারের গল্প
এক দারিদ্র কৃষক পরিবারের গল্প
এক দারিদ্র কৃষক ছিল নাম তার রফিক । এবং তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ছিল ৬ জন । তার ৪ টা মেয়ে ছিল এবং রফিক ও তার বউ । রফিক সারাদিন দিন মজুরের কাজ করতো এবং তার বউ অন্নের বাড়িতে রাঁধুনির কাজ করতো । আর তার মেয়ে গুলো বাসার কাজ করতো । তাদের পরিবারে যা রোজগার হত তাতে করে তাদের কোন রকম দিন পার হত । তাদের রোজগারে তারা জমা রাখতে পারত না । তাদের সম্পদ শুধু তাদের বসত বাড়ি ছাড়া আর কিছু ছিল না । এই দিকে তার মেয়ে গুলো বিয়া দেওয়ার উপযুক্ত হইয়া যাইতেছে । সব মিলে তাদের পরিবারে দিন যাবন ছিল একটু কষ্টের । একবার রফিক খুব অসুস্ততাই পড়ে যাই। সেই সময় তার পরিবার অনেক ভগান্তির সম্মুখীন হইয়া ছিল । তার চিকিৎসার জন্য বাড়তি কোন টাকা ছিল না। প্রাই ৭/৮ দিন রফিক অসুস্ত ছিল । এই সময় তার পরিবার খুব অভাব পড়েছিল । ঠিকমতো খাবার ও যোগাড় হত না।
রফিকের বউ গ্রামের এক সুদ খাওয়া বাক্তির কাছ থেকে কিছু টাকা সুদে নিয়া আসে । এইটাকা দিয়া রফিকের চিকিৎসা করাইয় এবং তাদের পরিবারের জন্য কিছু খাবার কিনে। এইভাবে যাচ্ছিল তাদের কষ্টের সংসার । আগে মানুষের কত অভাবি পরিবার ছিল কিন্তু বর্তমানে এমন অভাবি পরিবার দেখা যাই না। এরপর রফিকের বড় মেয়ে টা বিয়ার জন্য উপযোগী হইয়া গেছে । রফিকের মেয়ে গুলো টাকার অভাব এ পড়াশুনা করতে পারেনি । কিন্তু রফিকের বড় মেয়ে দেখতে বেশ সুন্দর ছিল । এইকারনে রফিকের বড় মেয়েকে বিয়া করতে রাজি ছিল পাশের গ্রামের এক মোড়লের ছেলে সুমন। সুমন বিয়ার প্রস্তাব দিলেও তার পরিবার থেকে রাজি ছিলনা। কারন তার পরিবার ধনি পরিবারের মেয়ার সাথে বিয়া করাতে চাই । কিন্তু সুমন তার পরিবারের কোন কথা শুনতে রাজি ছিল না । সে খুব জেদি একটা ছেলে ছিল । কিন্তু অবশেষে সুমনের পরিবার রফিকের মেয়ের সাথে বিয়া দেওয়ার জন্য রাজি হয় । সুমনের সুখের জন্য তার পরিবার সব করতে রাজি ছিল । কিন্তু রফিকের কাছে কিছু টাকা দাবি করেছিল । সেই টাকা দেওয়ার জন্য রফিক রাজি ছিল কিন্তু একটু দেরিতে দিতে পারবে । কারন এখন তার পরিবার খুব অভাবির সাথে দিন পার করতেছে । অবশেষে তাদের বিয়া হল । কিন্তু সুমনের পরিবার রফিকের মেয়েকে খুব অত্যাচার করতো । গরিব ঘরের মেয়ে হিসাবে তাকে সবাই যা ইচ্ছা করতো । সারাদিন পরিশ্রম করাত । গরিব হলেও তারা তো মানুষ । এত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রফিক তার মেয়েকে নিয়ে গ্রামে সালিশ বসাই , কিন্তু কোন কাজ হইনি ।কারন গ্রামের সালিসে সব সময় প্রভাব সালিরা বিচারে জিতে যাই । গরিবের সব জাইগাই অবহেলা দৃষ্টিতে দেখা হয় । যারা গরিব তারাই জানে সমাজে তাদের কিভাবে চলতে হয় । অবশেষে তার মেয়েকে বাদ দিয়া দেই ।আবার তার মেয়েকে নিয়া সংসারে একজন বাড়ল । এইভাবে তার সংসার চলতে থাকল একটু কষ্টের ।
Congratulations @salahuddinkhan! You have completed the following achievement on the Steem blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Click here to view your Board of Honor
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Do not miss the last post from @steemitboard:
Congratulations @salahuddinkhan! You have completed the following achievement on the Steem blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Click here to view your Board of Honor
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Do not miss the last post from @steemitboard: