পটল ভর্তা রেসিপি 🥰
হ্যালে
আমার বাংলা ব্লগবাসি। কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মজাদার মুখরোচক পটল ভর্তা রেসিপি।
পটল সারাবছর পাওয়া যায় তবে এখন পটলেন সিজন।এখন বেশ সুন্দর কচি কচি পটল পাওয়া যায় বাজারে। পটলে অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে। হজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। পটল এই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক।
পটল নানা রকম ভাবে খাওয়া যায়।পটলের দোলমা,পটলের ডালনা,জিরে বাটায় দুধ পটল,পটল ভাজা,পটলের চচ্চড়ি,পটল ভর্তা। আজ আমি আপনাদের সাথে লোভনীয় পটল ভর্তা রেসুপি ভাগ করে নেবো। খাওয়ার রুচি না থাকলে এভাবে পটল ভর্তা করে খেলে নিমিষেই প্লেটের ভাত শেষ হয়ে যাবে।এই ভর্তাটি ঝাল ঝাল করে খেতেই বেশি মজা তবে যারা ঝল পছন্দ করেন না তারা কম ঝাল দিয়েও খেতে পারবেন এই ভর্তায়। আশা করছি রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন দেখি রেসিপিটি কেমন
পটল |
---|
রসুন |
পেঁয়াজ |
কাঁচা মরিচ |
শুখনা মরিচ |
কালো জিরা |
সরিষার তেল |
লবন |
হলুদ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে পটল গুলো কেটে টুকরো টুকরো করে নিয়ে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিতে হবে।পটল ছেলার প্রয়োজন নেই একটু হালকা করে চেচে নিলেই হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়ে পটল ভর্তার জন্য কালো জিরা,কাঁচা মরিচ,শুকনা মরিচ, রসুন নিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে হালকা করে।
তৃতীয় ধাপ
এখন হালকা করে ভেজে নেয়া উপকরণে আগে থেকে কোটে রাখা পটল গুলো দিয়ে দিতে হবে ও তাতে লবন হলুদ দিয়ে নারাচারা করে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
খুব ভালো করে সব উপকরণ সহ পটল গুলো ভেজে নেই নিতে হবে।ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
শিল পাটায় পটল গুলো খুব ভালো করে বেটে নিতে হবে।পটল গুলো মিহি করে বেটে নিতে হবে।আগে থেকে ভেজে রাখা শুকনা মরিচ গুলো ও বেটে নিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
বাটা হয়ে গেলে শীল পাটাতেই পটল বাটা গুলোতে কাঁচা পেঁয়াজ কুচি ও সরিষার তেল দিয়ে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে।
সপ্তম ধাপ
এখন পরিবেশের জন্য তৈরি করে নিতে হবে একটি প্লেটে।
পরিবেশন
কেমন লাগলো বন্ধুরা আমার আজকের মজাদার পটল ভর্তা রেসিপিটি। আশা করছি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে আর কখনো এই রেসিপিটি কখনো না বানিয়ে খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ঝটপট বানিয়ে খাবেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
খুব সুন্দর ভাবে পটল ভর্তা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপি তৈরি করা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। বেশি ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর উপস্থাপনা দেখে। বেশি দারুণভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি আমাদের মাঝে রেসিপি দেখানোর চেষ্টা করেছেন। সব মিলে অনেক ভালো লাগলো আমার।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পটল তেমন একটা খাওয়া হতো না। তবে পটল ভাজি খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি যে এত সুন্দর করে কচি পটলের ভর্তা তৈরি করেছেন দেখেই তো লোভ লেগে গেল আপু। আসলে এই সময়টায় ভর্তা দিয়ে যদি গরম ভাত খাওয়া যায় তাহলে মন পেট দুটোই ভরপুর হয়ে যাবে। তবে পটলের এত রকমের রেসিপি কখনো খাইনি। পটল দিয়ে অবশ্য একবার মিষ্টির মত রেসিপি তৈরি করেছিলাম।
ঠিক বলেছেন আপু গরম ভাতের সাথে এরকম লোভনীয় ভর্তা খেতে পারলে মনো প্রাণ দুটোই ভরপুর হয়ে যায়। পটলের মিষ্টির মত করে রেসিপি করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জি আপু অনেক আগে করেছিলাম।
আমি তো এক দুইবার পটলের বাকলের ভর্তা রেসিপি খেয়েছিলাম। তবে পটল ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। অসাধারন একটি রেসিপি শিখলাম। বর্তমানে পটল খুবই সস্তা। এভাবে রেসিপি করে খেলে ভালোই লাগবে। ধন্যবাদ।
পটলের খোসার ভর্তা আমিও খেয়েছি ভাইয়া বেশ ভালই লাগে। এভাবে ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ঠিক বলেছেন বর্তমানে পটল সস্তা এবং অনেকটাই তরতাজা কচি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক মজাদার একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন আপু। আসলে ভর্তা খেতে আমার ভালো লাগে সে যে কোন ভর্তা হোক না কেন। পটল তো আমার অনেক পছন্দের একটা সবজি, আপনার এই পটলের ভর্তা রেসিপি টা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো রেসিপি তৈরি করার সকল প্রক্রিয়া আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পটলগুলো ভেজে নিয়ে সিলপাটাই বেড়ে নিয়ে সমস্ত উপকরণ দিয়ে ভর্তা তৈরি করাটা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভর্তাটা অনেক টেস্টি হয়েছে।
আমারও যে কোনো ভর্তা খুব পছন্দের আপু। আমার রেসিপি টি ভালো লেগেছে জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পটল ভর্তা রেসিপি দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হজমের সমস্যা হলে খুবই কষ্ট হয়। আপনি পটলের খুবই মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে কখনো খাইনি। এই রেসিপি দেখে আমিও শিখলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া হজমের সমস্যা হলে খুব কষ্ট হয়।খেয়ে দেখবেন এভাবে ভর্তা বানিয়ে বেশ ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গতকাল সম্ভবত পটলের একটা ভিন্ন ধরনের রেসিপি শেয়ার করেছেন। আজকে অন্য আরেকটা রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমরা সাধারণত পটলের খোসা দিয়ে এভাবে রেসিপি তৈরি করি। এর সাথে ডিম দিলে অনেক বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু জিরে বাটায় দুধ পটল রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। পটলের খোসা দিয়ে ও আমরা চাটনি খেয়ে থাকি তবে পটল দিয়ে এভাবে ভর্তা করলে খুব ভালো লাগে ডিম দিয়ে খেতে আরো ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সব সময় গরম ভাতে যে কোন ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি আজকে পটলের ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। পটল ভর্তা শুকনা ঝাল দিয়ে ভর্তা করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। ভর্তা তৈরি করার প্রতিটা ধাপ সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া এখানে শুকনা মরিচ এবং কাঁচামরিচ দুটোই ব্যবহার করেছি এই ভর্তা গুলো ঝাল ঝাল করে খেতে খুব ভালো লাগে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি সব সময় এত মজার মজার রেসিপি শেয়ার করেন দেখে তো আপনার বাসায় চলে যেতে ইচ্ছা করে। ভর্তা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আর আপনার কাছে এই নতুন ভর্তাটি শিখতে পেরে ভালো লাগলো আপু।
চলে আসেন আপু অনেক প্রকারের ভর্তা বানিয়ে খাওয়াবো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভর্তা ও দিলেন আবার এর পুষ্টিগুন ও বলে দিলেন। ভালোই তো। তবে যদিও পটলের অনেক তরকারিই খাওয়া হয়েছে কিন্তু এমন করে কিন্তু পটলের ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর করে পটলের ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এমন সু্ন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাবে একদিন পটল ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন আপু বারবার করে খেতে মন চাইবে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।