আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 96
সন্দেহ করছে ছেলেটা ফেকলু, রোজগার নেই, তিতির চাকরি করে ওকে খাওয়াবে।' 'সে কী রে? তিতিরের মাথায় কি একটুও বুদ্ধি নেই।' শুনে কী রঞ্জনা বলল। 'মা বলে উঠলেন, 'ওর বাবা-মা এসব
বলছে?' 'কী আবার বলবে। মায়ের প্রশ্রয় পায় যে, কাউকে কেয়ার করে না ও।'
মা বলল, 'শোন তোরা এই ব্যাপার নিয়ে বেশি কথা বলিস না। ওর বাবা-মা বেঁচে আছে, তারাই মেয়ের ভাল বুঝবে। তোদের কী দরকার মাথা ঘামানোর।'
'এটা তোমার জামাইকে বলো।'
'তুই বলিসনি?'
'বলে বলে মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছ।' রঞ্জনা বলল।
বিয়ের আগে এ বাড়িতে রঞ্জনার নিজস্ব ঘর ছিল দোতলায় রাস্তার ধারে। সেখানে সিঙ্গল বিছানা বলে অন্য ঘরে থাকতে হয়েছে সুবীরের সঙ্গে। একই শহরে শ্বশুরবাড়ি বলে সুবীর দিন দুয়ের বেশি কখনও এখানে থাকেনি। এবার সুবীর নেই বলে অনেকদিন বাদে নিজের ঘরে ফিরে এল রঞ্জনা। জানলা খুলতেই চোখে পড়ল শাহরুখ খান আর জুহি চাওলার ছবি। রাস্তার ওপাশে একটা বিরাট হোর্ডিং রয়েছে। সেখানে নতুন সিনেমার পোস্টার আঁটা হয়। সেই বালিকা বয়স থেকে সে এটা দেখে আসছে। একসময় ধর্মেন্দ্র-হেমামালিনীর ছবি দেখেছে, কখনও জিতেন্দ্র-হেমামালিনী, কখনও অমিতাভ-হেমামালিনী। তখন মনে হত একজন হেমামালিনী কত পুরুষের সঙ্গে প্রেম করে যাচ্ছে। হয়তো একই গলায় বলছে, ভালবাসি। সিনেমায় যা হয় তা বাস্তবে সম্ভব? একজন মেয়ে যদি অনেক ছেলেকে এইভাবে ভালবাসি বলত তা হলে লোকে সেটা মেনে নিত?
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
হঠাৎ নিমগ্নর কথা মনে এল। নিমগ্নকে সে প্রথম দেখেছিল এই জানালা দিয়ে। উলটোদিকের ফুটপাথ ধরে হেঁটে যেতে যেতে নিমগ্ন উপরের দিকে তাকাতেই চোখাচোখি হয়ে গিয়েছিল। রঞ্জনা চোখ নামিয়ে সরে এসেছিল কিন্তু নিমগ্ন সরেনি। আড়াল থেকে দেখেছিল রঞ্জনা।
সেই নিমগ্নর সঙ্গে আজকের নিমগ্নর চেহারার কোনও মিল নেই। ডির্ভোস হোক আর যাই হোক। দেখলেই মনে হয় ফুলে আছে ও। বেশ চকচকে হয়েছে আগের থেকে। অনেক ফরসা লাগছিল ওকে। কথাবার্তায় অনেক চৌকশ। ও অস্ট্রেলিয়ান মেয়েকে বিয়ে করেছিল। সেই মেয়ে কীরকম কে জানে? তবে ওদেশে কি বাঙালি ছিল না? সাদা চামড়াকে বিয়ে করে জাতে উঠতে চেয়েছিল?
হঠাৎ কী রকম মন খারাপ হয়ে গেল রঞ্জনার। কিছুই ভাল লাগছিল না। একটু একটু করে অবসাদ তাকে ঘিরে ধরছে। সুবীর বলে এটা নাকি একটা অসুখ। কোনও ওষুধে এই অসুখ সারে না। নিজের উপর আস্থা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এরকমটা চলতেই থাকবে। মেলাঙ্কলি? কেন? কী কারণে? নিমগ্নর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে? হয়তো। রঞ্জনা মনে মনে বলল কী জানি।
সন্ধের একটু পরেই সুবীর এসেছে তা মায়ের ডাকে বুঝতে পারল রঞ্জনা। কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল টের পায়নি। ঘর এখন অন্ধকার। দরজা খোলা। অন্ধকার চোখে পড়ায় মন আরও খারাপ হয়ে গেল। বিছানা ছাড়তে একটু ইচ্ছা হচ্ছিল না। বরং কান্না পাচ্ছিল তার।
'কী ব্যাপার? শরীর খারাপ নাকি?' বলতে বলতে আলো জ্বালল সুবীর।
'না।' বালিশ থেকে মুখ তুলল না রঞ্জনা।
'না বলে চলে এলে কেন?' সুবীর ঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'এলাম।'
'এটা কোনও উত্তর নয়। মাকে বলেছ আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। মিথ্যা বলে এলে কেন? তুমি আসবে আমি জানিই না।'
'বাড়ি ফিরে তো জেনেছ।'
বাড়িতে কারও সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে।' ' 'না। ঝগড়া কেন হবে?'
সুবীর এসে বসল খাটের একপাশে, 'আমি বুঝতে পারছি রঞ্জু, তিরি তোমার মাথা হেঁট করেছে। আমি নিজেও তো প্রচণ্ড অপমানিত হয়েছি। আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ও বাড়ি থেকে আলাদা হয়ে যাব কিনা?'
রঞ্জনা জবাব দিল না।
সুবীর বলে চলল, 'সমস্যা হল, একটা ভাল ফ্ল্যাট আজকাল পাঁচ-ছয় হাজারের নীচে পাওয়া..........