আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 94

in #photography20 days ago
আসসালামুআলাইকুম

তবু শোনেনি সুবীর। গতকাল ঝগড়াঝাঁটির পর বলেছিল, 'তুমি ঠিকই বলেছ। এবার ফ্ল্যাট খুঁজতেই হচ্ছে।'
রঞ্জনা জানে সুবীর ফ্ল্যাট খুঁজে আলাদা হলে সবচেয়ে অসুখী ও-ই হবে। অথচ আত্মীয়স্বজনেরা বলবে বউয়ের পরামর্শে ছেলে আলাদা হয়ে গেল। অর্থাৎ সব দায় চাপবে তার উপর।
আজ সকালে সে সুধীরকে বলেছিল, 'আমি ক'দিন ভবানীপুরে গিয়ে থাকি। অনেকদিন যাইনি।' 'যাও না। এ বাড়িতে ভদ্রলোক থাকতে পারে না।' সুবীর বলেছিল। অবাক হয়ে তাকিয়েছিল রঞ্জনা স্বামীর দিকে। মনে হয়েছিল একটু বাড়াবাড়ি করছে। সে যে মাঝে মাঝে ফ্ল্যাটের কথা
বলেছে তার জন্যই কথা শোনাচ্ছে। 'হোয়াট এ সারপ্রাইজ। রঞ্জনা, তুমি।'
গলা শুনে রঞ্জনা ফিরে তাকাতেই যাকে দেখতে পেল তাকে সে কখনওই আশা করেনি। নিমগ্নর তো এ দেশে থাকার কথা নয়। ও অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছে তা কানাঘুষো শুনেছিল সে।
'কেমন আছ।' রঞ্জনা জিজ্ঞাসা করল।
'আই অ্যাম ফাইন।' হাত বাড়াল নিমগ্ন, 'দাও।'

1726084172314.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'কেন? এটা আমার কোনও সমস্যা নয়।' হাসল রঞ্জনা। 'হতে পারে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি কোনও পরিচিত মহিলাকে বোঝা বইতে দিইনি। ওটা
দিলে বাধিত হব।'
অতএব সুটকেসটা দিতে হল। রঞ্জনা জিজ্ঞাসা করল, 'কবে এলে?'
কুড়িদিনের ছুটি। আজ সাতদিন হয়ে গেল।' '
দাদার বাড়িতেই উঠেছ?' '
'ওটা আমারও বাড়ি। ঠাকুরদা তৈরি করেছিলেন।' নিমগ্ন হাসল, 'হ্যাঁ, ওখানেই।'
স্ত্রীকে নিয়ে এসেছ?' '
'না। যাঁকে বিয়ে করেছিলাম তিনি আমাকে ত্যাগ করেছেন।'
' ও। ছেলে-মেয়ে?'
ঈশ্বর দেননি। তোমার কথা বলো।'
' 'আমার কথা? সংসার করছি। স্বামী খুব ভাল। ছেলে-মেয়ে আমারও হয়নি। আমি একদম হাউস ওয়াইফ।'
ঠিক এই সময় ট্রেন এসে দাঁড়াল। মোটামুটি ভিড় থাকলেও রঞ্জনা লেডিস সিটে বসতে পারল,

1726084172276.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

এদিকে কোথায় এসেছিলে?' '
তখন ট্রেন ছুটছে। তার প্রবল শব্দে নিমগ্ন প্রশ্ন শুনতে পেল না।
যখন কোনও স্টেশন আসছে তখন শব্দ কমছে। প্রশ্নটা আবার করতে গিয়েও করল না।
রঞ্জনা। উত্তর শোনার আগেই চাকা দুরন্ত শব্দ তুলবে।
নেতাজিভবন স্টেশনে ওরা ট্রেন থেকে নামল। উপরে উঠতে উঠতে নিমগ্ন বলল, 'ক'টা দিন
এখনও রয়েছি। তোমার সঙ্গে কি আর দেখা হতে পারে না?'
'কেন?'
'আমার ভাল লাগত।'
'জীবনটা অনাবশ্যক জটিল করে কোনও লাভ আছে নিমগ্ন?'
'জটিল কেন হবে ? আমরা বন্ধুর মতো দেখা করতে পারি। তুমি তোমার স্বামীকে নিয়ে চলে আসতে পারো অস্ট্রেলিয়াতে। আমার গেস্ট হয়ে থাকবে। এতে অসুবিধে কোথায়?'
'আমাদের আর কোথাও যাওয়া হবে না।' অদ্ভুত বিষণ্ণ শোনাল রঞ্জনার গলায়। সেটা ওর নিজের কানেই খারাপ শোনাল।
'কেন?' নিমগ্ন জিজ্ঞাসা করল।
'অ্যাই, তুমি এত প্রশ্ন করো কেন?' হাসল রঞ্জনা। ওরা এবার উপরের রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে।
'কতকাল পরে দেখা। একটু তো জানতে ইচ্ছা করে।' 'তখন করোনি কেন? কেন পঁচিশে বৈশাখের সকালে আমাকে জোড়াসাঁকো যেতে বলে নিজে যাওনি?'
'তোমাকে তো বলেছি, একদম ভুলে গিয়েছিলাম।'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.18
JST 0.033
BTC 87161.65
ETH 3057.00
USDT 1.00
SBD 2.75