আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 86
কী ব্যাপার?' বাবা কিছুই বুঝতে পারছিল না।
'আমি একটা মিথ্যে বলেছি। কিন্তু আমি চাই ওই মিথ্যেটাকে দাদা বউদি সত্যি বলে ভাবুক।
তুমি ওদের কিছু বলবে না।' 'কথাটা কী তা বলবি তো।'
'ওই বেকার ছেলের কথা বানানো।'
'বানানো মানে?'
'ওরকম কেউ নেই। কারও সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক তৈরি হয়নি।'
'সে কী?' বাবা হতভম্ব।
'হ্যাঁ। তুমি আর এ নিয়ে দুশ্চিন্তা কোরো না।'
'তা হলে এসব কথা বললি কেন?'
'আমার এখনই বিয়ে করার কোনও বাসনা নেই। অথচ বউদি দাদা আমাকে এ বাড়ি থেকে সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমি এখানে থাকলে ওদের কী অসুবিধা সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। ওরা তো আমাকে জানিয়ে চন্দ্রাদি এবং তার জা-কে এখানে আনেনি। কী বাবা, তুমি জানতে যে ওরা আসবে?' তিতির প্রশ্ন করল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
বাবা হাঁ হয়ে তাকিয়েছিল মেয়ের দিকে। সেই অবস্থায় মাথা নেড়ে না বলল।। 'তবে? কেউ যদি ভেবে থাকে সে যা চাইবে তাই হবে তা হলে মেনে নেওয়া কি উচিত? বলো
বাবা? আমার কি কোনও বক্তব্য থাকতে পারে না?'
বাবা এতক্ষণে সহজ হল, 'ঠিকই। তবে তুই এখান থেকে যাতে চলে যাস তাই ওরা বিয়ের সম্বন্ধ আনছে এমনটা ভাবা ঠিক নয় মা। মেয়ের বয়স হলে তাকে সংসারী করার একটা দায় তো বাবা দাদার থাকেই। হয়তো তথাগত সত্যি ভাল ছেলে। তাকে স্বামী হিসাবে পেলে তুই সুখে থাকতে পারবি ভেবেই ওরা এগিয়েছে।'
'আমি একটা কথা বুঝতে পারি না। মেয়ের বয়স হলে তাকে সংসারী করার দায় কেন
তোমাদের ঘাড়ে চাপবে? ছেলে হলে তো একথা বলতে না।'
'তা ঠিকই। কিন্তু এটা একটা সামাজিক সমস্যা।'
'মোটেই নয়। যে সমাজের চেহারা তোমাদের মনে আছে সেই সমাজটার অস্তিত্ব বাস্তবে নেই। প্রয়োজন হলে আমি তোমার কাছে হাত পাতি, মায়ের কাছে চাই। কিন্তু অজানা অচেনা একটা মানুষের কাছে চাইব কী করে? তোমরা তাকে আমার স্বামী বলে স্বীকৃতি দিয়েছ বলে সব সংকোচ মান-অপমানবোধ ঝেড়ে ফেলতে হবে? ঝেড়ে ফেলতে পারা যায়? অসম্ভব।। তিতির তীব্র বেগে
মাথা নাড়ল। 'তোর মা বউদি পেরেছিল, এখনও অনেক মেয়ে পারছে।'
'তাদের অনেকেই যে কী ভয়ানক যন্ত্রণা নিয়ে বাস করছে সে খবর তুমি জান না বাবা। তার চেয়ে
বিয়ে না করে থাকা ঢের ভাল।'
'ঠিক আছে। তোর যদি এইরকম মনে হয় কেউ জোর করবে না। কিন্তু এই ফ্রিল্যান্স কাজের উপর নির্ভর না করে পাকাপাকি চেষ্টা কর। বি সি এস-টা দে, আমার বিশ্বাস তুই পারবি।' বাবা বলল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
মা আবার ঘরে এল। কথাটা কানে যেতে বলল,' বা, চমৎকার উপদেশ দিচ্ছ মেয়েকে। তোমার মাথাটা একদম গেছে।'
'মানে? এখনও বি সি এস পাস করা অফিসারের সম্মান কত তা জান?'
'জানি না। টুনির ছেলেটা বি সি এস পাস করে যে চাকরি করছে তার খবর জানি। আজ মেদিনীপুর, তো কাল কুচবিহার। একবার তো পুরুলিয়ার গ্রামের লোক ওকে কী না পেয়ে মারধোর করেছিল। তোমার মেয়ে যদি একা একা ওইরকম জায়গায় গিয়ে থাকে তা হলে রাত্রে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে।' মা প্রশ্ন করল।
'তা অবশ্য।' বাবা কীরকম থিতিয়ে গেল। তারপর বলল, 'কিন্তু পুলিশ তো নিশ্চয়ই প্রটেকশন দেবে। হ্যাঁ, প্রথমদিকে বাইরে বাইরে থাকতেই হয়।'
'ওই চাকরি করলে ওর জীবনে বিয়ে থা হবে না। কোন ছেলে বিয়ে করবে ওকে? স্বামী থাকবে একজায়গায় আর স্ত্রী কাজের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে আজ এখানে কাল সেখানে, এই অবস্থায় সংসার বলে কিছু থাকবে ওদের?'