আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 177

আসসালামুআলাইকুম

রঞ্জনার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল সুমিতাভর অভিনয়ের কথাটা সুবীরের মুখের উপর ছুড়ে মারে। মেরে বলে, এই হল তোমাদের মতো পুরুষ মানুষের আসল চেহারা। সবসময় এক-একটা মুখোশ পরে ঘুরে বেড়াও তোমরা। সুমিতাভ ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ঘটনাটা বলেছে, রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাওয়াতে চেয়েছে অথচ তোমার কাছে এসে ভিজে বেড়ালের মতো মুখ করে বসেছিল।
সুবীর তখনও তাকিয়ে আছে।
রঞ্জনা বলল, 'এ বিষয়ে কথা বলতে বিরক্ত লাগছে।'
'চাকরিতে ঢোকার পর তোমার অনেক পরিবর্তন হয়েছে রঞ্জনা।
'আমার এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। আই অ্যাম টায়ার্ড।' তারপরেই মনে পড়ে যাওয়ায় জিজ্ঞাসা করল, 'অফিসে ফোন করেছিলেন কেন?'
হকচকিয়ে গেল সুবীর, 'আমি?'
'তুমি ছাড়া কেউ আমি নেই শুনে ফোন নামিয়ে রাখবে না।'
সুবীর হাসল, 'এখন আমি তোমার কাছে ডাস্টবিন। যা নোংরা সব আমির ওপর চাপাবে।'
'তার মানে তুমি আমাকে ফোন করোনি?'
'আমার কি দরকার। স্বামী অসুস্থ জেনেও যে স্ত্রী সেজেগুজে অফিসে যেতে পারে তাকে ফোন করতে বয়ে গেছে আমার। নিজেকে অত ইম্পর্টেন্ট ভাবছ কেন?'

1737431256197.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'তুমি আজ বাড়ি থেকে বের হওনি?'
'হয়েছিলাম। সিগারেট কেনার দরকার ছিল।'
হঠাৎ জেদ চেপে গেল রঞ্জনার। চটি পায়ে গলিয়ে সে বাড়ির পোশাকেই বেরিয়ে পড়ল, গলির মুখেই টেলিফোনের বুথ। এখন খদ্দের নেই বলেই ছেলেটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে। রঞ্জনাকে মোটামুটি চেনে। সে দোকানের সামনে যেতেই বলল, 'খালি আছে, আসুন।'
'না ভাই, একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে এলাম।'
'বলুন।'
'আমাদের বাড়ি থেকে কেউ ফোন করতে এসেছিল?'
'হ্যাঁ। প্রথমে তিতির এসেছিল। ও আপনাকে পায়নি। তারপর সুবীরদা এসেছিলেন।'
'সুবীর ফোন করেছিল।'
'হ্যাঁ। উনিও আপনাকে পাননি।'
'তুমি কী করে বুঝলে সুবীর আমাকে ফোন করেও পায়নি।'
'বাঃ। দু'জনের নাম্বার তো একই ছিল। দাঁড়ান।' ছেলেটি ভেতরে গিয়ে কাগজপত্র হাতড়ে দুটো রসিদ নিয়ে এল, 'এই তো, একই নাম্বার। কী হয়েছে বউদি।' ছেলেটি এবার জানতে চাইল। ।। তিতির কথা বলেছিল, সুবীরদা বেশি কথা বলেনি।

1737431256221.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'আর বোলো না। অফিসের একজন ফোন নিয়ে সবাইকে হ্যারাস করছে। জরুরি ফোনও তাই অনেকে পাচ্ছে না। আচ্ছা, ওই কাগজগুলো পেতে পারি? অফিসে দেখাব।
'নিশ্চয়ই, এটা তো কাস্টমারের নিয়ে যাওয়ার কথা। ওরা নেননি।'
কাগজ দুটো নিয়ে বাড়ি ফিরে এল রঞ্জনা। রাগে তার শরীর জ্বলছিল। শাশুড়ি দরজা খুলে দিয়ে
জিজ্ঞাসা করল, 'ওরকম ঝড়ের মতো কোথায় বেরিয়ে গেলে?'
'এস টি ডি বুথে।'
'কেন?'
'দরকার ছিল মা।'
'টেলিফোনের বুথে লোকে দরকারেই যায়। কিন্তু এটা তোমার উত্তর দেবার ধরন হল?'
'মা, আমি আপনাকে তো অসম্মান করতে চাইনি।'
'তোমাদের মতো শিক্ষিত মেয়েদের তো ওটাই সুবিধে। এমন কথার কায়দা যে চেপে ধরলে
ঠিক ফাঁক রেখে দাও বেরিয়ে যাওয়ার।'
'বেশ। আমি যে কারণে গিয়েছিলাম সেটা শুনতে আপনার ভাল লাগবে না তাই বলিনি।'
রঞ্জনা একটু জোরে কথাগুলা বলতেই তিতির তার ঘর থেকে বেরিয়ে এল, 'কী হয়েছে? মা.
তুমি কী বলেছ?' '
ও, যখনই কিছু হয় তখন আমিই বলি।' শাশুড়ি চেঁচিয়ে উঠলেন।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96671.20
ETH 2774.98
SBD 0.66