আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 176
খাঃ, বেশ ভাল তো। তা হলে আজ উঠি সুবীর, কাল বেরুবে।'
'বিকেলে এলো।' সুমিতাভ উঠতেই সুবীর তার সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে এল। ডাইনিং টেবিলের সামনে মা দাঁড়িয়ে কিছু করছিল, বললেন, 'চললে।
'হ্যাঁ মাসিমা। সুবীর, মিসেসকে বলো।' চলে গেল সুমিতাভ। দরজা বন্ধ করে ফিরে আসছিল তিতির বেরিয়ে। এল ঘর থেকে, 'দাদা।'
'বল।' সুবীর দাঁড়াল।
'তুমি নাকি আমার অভিনয় করাকে সমর্থন করেছ।' তিতির জিজ্ঞাসা করল।
'কে বলল তোকে?'
যেই বলুক, কথাটা শোনার পর নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না।'
'যেটা পারছিস না সেটা কষ্ট করে করার কী দরকার।'
'কষ্ট কেন করব? তোমার মুখে উত্তরটা শুনতে চাইছিলাম।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
"তুই কি মনে করিস, বাইরের লোকের সামনে যদি বলতাম আমার বোনও ইচ্ছের বিরুদ্ধে চিরিয়ালে নেমেছে, আমাকে তোয়াক্কা না করে গোল্লায় যেতে চাইছে তা হলে আমার সম্মান বাড়ত।'
'ও তাই মিথ্যে কথা বললে?' তিতির জিজ্ঞাসা করল।
ছাড়া উপায় কী? তোদের জন্যে কোথায় আমাকে নামতে হচ্ছে।' সুবীর বলল।
'এ তিতির চুপ করে শুনছিল। রঞ্জনা পাশে এসে দাঁড়াল, 'তোমার যদি কোথাও নামতে ইচ্ছে হয়
তা হলে সেই দায়িত্ব তোমার। তার দায় অন্যের কাঁধে চাপাচ্ছ কেন?'
'তার মানে?'
'আমি একটি ভদ্র অফিসে চাকরি করছি, তিতির তার সম্মান বজায় রেখে টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করছে-এগুলো তোমার কাছে গোল্লায় যাওয়া। আর মদ খেয়ে পাশের টেবিলের লোকজন নিজেদের মধ্যে কী বলছে তা তোমার কানে যেতেই তুমি মাতাল হয়ে মারপিট শুরু করে দিলে এটা
কি খুব সম্ভ্রান্ত ব্যাপার?' স্পষ্ট গলায় জানতে চাইল রঞ্জনা।
তুমি কী বলছ আমি বুঝতেই পারছি না।' সুবীর ফ্যালফ্যাল করে তাকাল। '
'যেখানে বসে মদ খাচ্ছিলে তার পাশের টেবিলে কেউ কাউকে জরুকা গুলাম বলতেই তুমি
পুরুষ সিংহ হয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়নি?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'তুমি, তুমি এ কথা জানলে কী করে?' সুবীরের গলা ফ্যাসফেসে হয়ে গেল।
'কথাটা কি মিথ্যে?'
'নিশ্চয়ই সনৎ বলেছে, কিন্তু সনতের সঙ্গে তোমার দেখা হয় কী করে?'
'দ্যাখো, তোমার এই সনৎ নামক বন্ধুটির সঙ্গে আমার একবার আলাপ হয়েছিল, তুমিই করিয়ে
দিয়েছিলেন কিন্তু তার মুখের চেহারাও আমার মনে নেই।
'তা হলে?'
'তা হলে আবার কী! বন্ধুদের কাছে বলে বেড়িয়েছ তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমি চাকরি করছি। সেই দুঃখে মদ খেতে শুরু করেছ। নোংরামি যদি কেউ করে থাকে তবে তুমিই করেছ। আবার হঠাৎ ভেক বদলে বাইরের লোকের সামনে মহৎ হতে চাইছ। এটাও তো নোংরামি।' রঞ্জনা টুকটাক ঘরের কাজ করতে করতে স্বাভাবিক গলায় কথাগুলো বলে গেল।
তিতির আর দাঁড়াল না।
বোনের চলে যাওয়া দেখে সুবীর গলা তুলল, 'চমৎকার, এসব কথা তিতিরের সামনে বলতে পারলে?'
'তুমি নিজেই তো আর আড়াল রাখতে চাইছ না।'
'কিন্তু মারপিটের ঘটনা কে বলেছে তা তোমাকে বলতেই হবে।'
'শুনলে তাকে গিয়ে ধমকাবে না ঘুষোঘুষি করবে?'
'নিশ্চয়ই সুমিতাভ তোমাকে বলেনি। ওর সঙ্গে দেখা হয়নি তা তো বুঝতেই পারলাম।'
'কী করে?'
'বাঃ, দেখা হলে কি ও আমাকে বলত না। তা ছাড়া তোমার সঙ্গে যে ভাবে ও কথা বলল তাতেই বোঝা গেল।'
দারুণ লিখেছেন - খুব ভালো লাগলো
0.00 SBD,
1.95 STEEM,
1.95 SP