আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 175
আপনাদের অফিসটা তো ওই উঁচু বাড়িটায়। তা ওটার পরে তিনটে বাড়ি ছেড়ে দেখবেন একটা হলদে তিনতলা বাড়ি, নীচে একটা ট্রাভেল এজেন্সি আছে, তার দোতলায় অফিস', বলল সুমিতাভ। ততক্ষণে রঞ্জনা বুঝে গিয়েছে আজ দুপুরে দেখা হওয়ার কথা সুমিতাভ সুবীরকে বলেনি কথাটা না বলার কারণটা কী? এখন এমন ভাব করছে যেন আজ দেখাই হয়নি। রঞ্জনার ইচ্ছে
হচ্ছিল কথাটা তোলে। এই ভানগুলোকে স্পষ্ট করা দরকার। এই সময় শাশুড়ি ট্রে নিয়ে ঢুকলেন, 'নাও বাবা একটু খেয়ে নাও।'
চায়ের কাপের পাশে প্লেটে ওমলেট। সুমিতাভ বলল, 'এসবের কী দরকার ছিল মাসিমা।
খামোকা পরিশ্রম করতে গেলেন।' 'ওসব আমাদের অভ্যেস আছে। বউমা যদ্দিন চাকরি করেনি তদ্দিন তো দু'জনে মিলে করতাম,
মেয়ে তো ভুলেও হেঁসেলে ঢুকত না।' শাশুড়ি হাসলেন। সুবীর প্রতিবাদ করল, 'একদম ঢুকত না বোলো না। মাঝেমাঝেই ও মাংস রাঁধে।'
'হ্যাঁ, শখ হলে। এখন তো সিনেমায় নেমে আর সময় পায় না।' শাশুড়ি বললেন। 'সিনেমায় নেমেছেন?' চোখ বড় হয়ে গেল সুমিতাভর।
'সিনেমা নয়, টিভি সিরিয়াল।' প্রতিবাদ করল সুবীর, 'এখনতো টিভি সিরিয়াল ভদ্রবাড়ির শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা তৈরি করছে, অভিনয় করছে। অনেকটা গ্রুপ থিয়েটারের মতো ব্যাপার।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না রঞ্জনা। এ কী শুনছে সে?
সুমিতাভ বলল, 'তোমার আপত্তি ছিল না?'
'প্রথমদিকে একটু অস্বস্তি হয়েছিল। তারপর সব দেখে শুনে মত বদলালাম।'
'দ্যাখো বউমা, তোমরা সবসময় বলো ও রাগারাগি করে কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক তা নয়।' শাশুড়ি
কথাগুলো বলে বেরিয়ে গেলেন।
সুমিতাভ বলল, 'আপনি বসুন, অফিস থেকে এসেছেন।'
'আপনারা গল্প করুন, আমি একটু আসছি।'
'আরে, পাঁচ মিনিট বসে যাও না।' সুবীর অনুরোধ করল।
চায়ে চুমুক দিয়ে সুমিতাভ বলল, 'নাঃ রাতারাতি তোমার দেখছি বেশ পরিবর্তন হয়েছে। ওর
চাকরি করা নিয়ে তোমার খুব আপত্তি ছিল। বিশেষ করে প্রাইভেট ফার্মে।' রঞ্জনা এতক্ষণে সুযোগ পেল, 'আমাকে নিয়ে আপনাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে নাকি?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
সুবীর হাত নাড়ল, 'আরে না! ওই প্রথম প্রথম আমি তখন ঠিক বুঝতে পারিনি।'
রঞ্জনা মাথা নাড়ল, 'ও! আমি ভেবেছিলাম আমার ওপর খেপে গিয়ে তুমি মদ খাওয়া ধরেছ।'
'ধ্যাৎ। কী বাজে কথা বলো। এরা খেত, দেখে দেখে মনে হল আমিও খাই। সেই খেয়ে কাল যা কান্ড করলাম তারপর আর লজ্জার শেষ নেই।' সুবীর বলল।
'কিন্তু চাকরি নিয়ে এত আপত্তি ছিল তোমার, প্রাইভেট ফার্মের ওপর ভরসা করতে পারোনি, বোনের অভিনয় করাটাকে এত সহজে নিলে কী করে?' হাসল সুমিতাভ, 'তার মানে কিন্তু একটাই। মিসেসের ওপর ভরসা কম, সবসময় হারাই হারাই ভাব।'
রঞ্জনার মনে হল দুটো পুরুষ মানুষ সমানে ন্যাকামি করে যাচ্ছে। সে বাড়িতে পরার শাড়ি- জামা বের করে নিয়ে বলল, 'সুমিতাভবাবু, আপনার বন্ধু হয়তো বোনকে যতটা বিশ্বাস করে বউকে
তা করে না। কী আর করা যাবে।'
সুবীর গলা তুলল, 'আশ্চর্য। আমি বারংবার বলছি যে মতামত বদলেছি।'
রঞ্জনা কথা না বলে বেরিয়ে যেতে সুবীর গলা পালটাল, 'পুরনো কথাগুলো তোলার কী দরকার
ছিল ? দেখলে তো কীরকম খেপে গেল।'
'আরে আমি রসিকতা করছিলাম।' সুমিতাভ হাসল।
'বিয়ে করোনি তো, বউকে সামলানো যে কী ঝামেলার ব্যাপার তা বুঝবে না।'
'হবে হয়তো। তোমার বোনের নামটা কী যেন!'
'তিতির।'
'বাড়িতে আছেন? ডাকো না, অভিনেত্রীর সাথে কখনও কথা বলিনি।'
'অভিনেত্রী হিসেবে ডাকলে আসবে না। ডাকতে পারি কিন্তু ওসব কথা তুলো না।'
'কেন? পছন্দ করেন না?'
'ও ওর বউদির থেকেও তেজি।'