আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 174
'মানে?'
'নবীন দত্ত তোমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।'
'তুমি খুশি হলে না বলে মনে হচ্ছে।'
'আমি যা বলেছি তা অফিসের জন্যে। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনও ভূমিকা নেই। তাই প্রশংসাটা আমি পার্সোনাল লেভেলে নিচ্ছি না।'
'বাঃ। চমৎকার। তোমাকে আজ রাত্রে ডিনার খাওয়াব।'
অনেক ধন্যবাদ । কিন্তু
কিন্তু কী?' 'আবার কিন্তু কী।
'গতরাত্রে সুবীর মাথা ফাটিয়ে বাড়ি ফিরেছে। আজ সকাল সকাল আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি। তাই সন্ধের মধ্যেই ফিরে গেলে ভাল হয়।'
উপাসনা কোনও কথা বলল না। শুধু মাথা নাড়াল। বেরিয়ে এল রঞ্জনা। তাকে দেখে হরিপদবাবু বললেন, 'আপনার ফোন এসেছিল।'
'কে, কিছু বলেছে।'
'মা। নেই শুনেই লাইন কেটে দিল।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
পনেরো
দরজা খুলে দিল তিতির। হেসে বলল, 'আমি তোমাকে ফোন করেছিলাম।'
'শুনেছি। আমি তখন টিফিনে গিয়েছিলাম।' রঞ্জনা বলল।
'করে ভাবলাম না করলেই হত।' তিতির হাসল।
'কেন?' প্রশ্নটা না করে পারল না রঞ্জনা।
'দাদার যে তেমন কিছু হয়নি সেটা তো তুমি দেখেই গিয়েছ। নেহাত মায়ের চাপেই ডাক্তার ডেকে আনতে হয়েছে।' রঞ্জনা ভেতরের দিকে পা বাড়াতে গিয়েও থামল, 'তোমার দাদা কি বাড়ি থেকে বের হয়নি?'
'হয়েছিল। পাঁচ-দশ মিনিটের জন্যে। ও হ্যাঁ, তোমাদের ঘরে দাদার বন্ধু সুমিতাভবাবু বসে আছেন।'
'সুমিতাভবাবু ? অবাক হল রঞ্জনা। ।। সুমিতাভ যে আজ আসবে দুপুরে বলেনি তো।
রঞ্জনা আর কথা না বাড়িয়ে ডাইনিং কাম সিটিং স্পেসটায় চলে আসতেই দেখতে পেল শাশুড়ি
চায়ের কাপে চিনি মেশাচ্ছেন।
'ও, তুমি এসে গেছ। এত তাড়াতাড়ি?'
'চলে এলাম। কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল।'
'তোমাদের ঘরে খোকার বন্ধু এসেছে। তিতিরের ঘরে গিয়ে জামা-কাপড় ছেড়ো।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
আমার তো তাড়া নেই। সুমিতাভবাবু নিশ্চয়ই অনেকটা সময় থাকবেন না।' '
'আচ্ছা, তুমি এত কম বোঝ কেন বলো তো? অফিসের কাপড় ছেড়ে যদি তাড়াতাড়ি আসো
তা হলে এই চা-জলখাবার তো তুমিই দিতে পারো ওদের।'
'বেশ তো, আমি দিচ্ছি। আমার এই কাপড়-জামা তো নোংরা নয়।'
শাশুড়ি সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এমন ভঙ্গিতে যে বোঝা গেল আর কথা বলবেন না।
অতএব ঘরের দরজায় গিয়ে দাঁড়াল রঞ্জনা। সুবীর বালিশে হেলান দিয়ে আধাবসা, সুমিতাভ
পাশের চেয়ারে। দু'জনের হাতেই সিগারেট। তাকে দেখতে পেয়েই সুবীর বলে উঠল, 'ও তুমি এসে গেছ, সুমিতাভ তোমার কথা জিজ্ঞাসা করছিল। বললাম, অফিসে এত কাজের চাপ যে আসার
হতভম্ব হয়ে গেল রঞ্জনা। এ কোন সুবীর কথা বলছে?
সময়টা ঠিক থাকে না।'
উঠে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করেছিল সুমিতাভ, 'না জানিয়ে এসে বোধহয় বিব্রত করলাম।'
'না না-! বসুন।' রঞ্জনা ঘরে ঢুকে টেবিলে ব্যাগ রাখল।
'সুমিতাভ বলছিল ওর অফিস তোমার অফিসের খুব কাছাকাছি', আমিই তোমার অফিসের ঠিকানাটা বললাম। তুমি ওর অফিসটা জেনে রাখো, প্রয়োজন-ট্রয়োজন হলে' সুবীর বলল।......