আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 151
'হ্যাঁ।'
চটপট তৈরি হয়ে নিচ্ছিল তিতির। হঠাৎ সুবর্ণা জিজ্ঞাসা করল, 'তোর সঙ্গে আর কে মেকআপ করেছে রে?'
'কঙ্কনা।'
'সর্বনাশ!'
'কেন। তুই চিনিস।'
'না। কিন্তু শুনেছি অদ্রমহিলা আকাশে নাক রেখে হাঁটেন।'
'তাই? কিন্তু অভিনয়টা খুব ভাল করেন।'
'না করলে এতদিন করে খাচ্ছে কী করে। তোর মেকআপ বক্স?'
'এখনও কিনিনি।'
এই সময় বিশু এল, 'দিদি ট্যাক্সি এসে গেছে।' সে এগিয়ে এসে তিতিরের ব্যাগ তুলে নিল। ওরা বেরিয়ে এল বাইরে। আজ স্টুডিয়োতে বেশ ভিড়। প্রচুর লোকজন বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। সুবর্ণা হাঁটতে হাঁটতে এর ওর সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছিল। তিতির চুপচাপ ট্যাক্সিতে উঠে বসল। ব্যাগ তুলে
বিশু টাকাটা এগিয়ে দিল, 'গোবিন্দদা দিয়েছেন। ভাড়া।' সুবর্ণা ওর পাশে বসে জিজ্ঞাসা করল। 'তোকে ট্যাক্সিভাড়া দিচ্ছে।'
'হ্যাঁ। এতটা অবশ্য লাগে না-!'
'দয়া করে আবার ফেরত দিতে যাস না।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'তুই কোথায় যাবি?'
'কোথাও না। আজ আমি মুক্ত।'
'মুক্ত! কাজ নেই?'
'নাঃ। মুক্ত এই কারণে যে শ্রীযুক্ত অনীকবাবু জানিয়েছেন। যে তিনি আবার প্রেমে পড়েছেন।'
হাসল সুবর্ণা।
'সে কী?' চমকে উঠল তিতির।
'অবাক হচ্ছিস কেন? আমি সময় দিতে পারি না। ও বেচারা কী করবে? তা ছাড়া ওর শর্ত ছিল আমাকে অভিনয় ছেড়ে দিতে হবে। প্রথম দিকে রাজিও হয়েছিলাম কিন্তু তখন বোনের বিয়ে হয়নি বলে অজুহাত দেখিয়েছিল। এখন তো প্রেমে পড়ে বিয়ের ভাবনা ভাবছে!'
'তুই কী বললি?'
'হে বন্ধু বিদায়।'
'তা হলে তোর কী হবে?'
'কী আর হবে। সম্পর্ক যখন বোঝা হয়ে যায় তখন তাকে নামিয়ে ফেলাই ভাল।' কথা বলতে বলতে আচমকা থেমে গেল সুবর্ণা। ট্যাক্সির জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকল।
তিতিরের মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে অনীকের ওপর রাগ করতে পারছে না। ও বেচারা আর কতদিন অপেক্ষা করবে? কবে সময় হবে সুবর্ণার তখন সে দেখা পাবে। ওর মনে হল যারা অভিনয় করে তাদের প্রেম করা উচিত না, বিয়ে তো দূরের কথা।
'অ্যাই।' তিতির ডাকল।
সুবর্ণা তাকাল। তিতির বলল, 'আমি একবার বিভাসদার অফিসে যাব। তুই সঙ্গে যাবি?'
'কেন?'
'নাঃ, তুই যা। আমি বাড়ি চলে যাই।' সুবর্ণা বলল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'দরকার আছে।'
'চল না বাবা। বেশিক্ষণ থাকব না।' আবদারের গলায় বলল তিতির। কাঁধ ঝাকাল সুবর্ণা।
বিভাসদা বসেছিলেন তাঁর অফিসে। ওরা ঢুকতেই মুখ তুললেন কাগজ থেকে। 'কী ব্যাপার? সাধা লক্ষ্মী পায়ে ঠেললে?'
সুবর্ণা বলল, 'তার মানে?'
বিভাসদা বললেন, 'তোমাকে বলিনি। বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করো।'
খুব অবাক হয়ে গেল তিতির, 'আপনি জানলেন কী করে?'
যে দারুণ গতিতে ছোটে।' বিভাসদা হাসলেন, 'একটা পুরনো গল্প। বলি। প্রবীণ অভিনেতা মন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা। তিনি তখন বেশ নাম করেছেন। ওঁকে খুব স্নেহ করতেন.......