আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 150
গোবিন্দ হাসল যার মানে এমন অনুমতি না পেলে সে এঁদের নিয়ে আসত না। তিতির বলল, 'কী ব্যাপার আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।'
এবার স্বপন দত্ত বললেন, 'আমি একই সঙ্গে একটা মেগা সিরিয়াল আর ছবি প্রোডিউস করতে যাচ্ছি। রাজাবাবু ছবিটি পরিচালনা করবেন আর সিরিয়াল করবে তিন জনের একটা বোর্ড। আসলে মেগা বড় হলে একজনের পক্ষে হ্যান্ডেল করা কঠিন হয়ে যায়। গতকাল আপনার কাজ আমরা ফ্লোরে দাঁড়িয়ে দেখে গেছি। দুটোতেই আপনাকে চাই। সেই ব্যাপারেই কথা বলতে এসেছি।'
তিতির হতভম্ব হয়ে গেল, 'কিন্তু!' সে গোবিন্দর দিকে তাকাল।
রাজা নন্দী জিজ্ঞাসা করল, 'কিন্তু কী?'
তিতির বলল, 'বিভাসদা অনুমতি দিয়েছেন?'
উনি বলেছেন আমরা আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি। কেন বলুন তো?' স্বপন দত্ত পালটা প্রশ্ন করলেন।
তিতির একটু ভাবল। বিভাসদা তাকে বলেছিলেন এই সিরিয়াল টিভিতে না দেখানো পর্যন্ত সে যেন অন্য কাজ না করে। তা হলে তিনি এদের অনুমতি দিলেন কেন? ওকে চুপ করে থাকতে দেখে রাজা নন্দী জিজ্ঞাসা করল, 'আপনি কি এদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
তিতির মাথা নাড়ল, 'না। আসলে আমি তো পেশাদারি অভিনেত্রী নই। বাড়ি থেকে এই একটা কাজ করতেই অনুমতি দিয়েছে। ওঁদের জিজ্ঞাসা না করে আমি কিছু বলতে পারব না।'
'বেশ তো। আপনার বাড়ির ঠিকানা দিন। আমরাই কথা বলব।' স্বপন দত্ত হাসিমুখে বললেন।
ফাঁপরে পড়ল তিতির। বিভাসদার সঙ্গে কথা না বলে এদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া উচিত হবে না। ঠিক এই সময় দরজায় সুবর্ণাকে দেখতে পেল তিতির। তাকে দেখামাত্র সুবর্ণা চিৎকার করে উঠল, 'কীরে! তুই নাকি দারুণ অভিনয় করছিস। একদম ফাটাফাটি।' ঘরে এসে তিতিরের কাঁধ জড়িয়ে ধরল সে।
তিতির খুব অস্বস্তিতে পড়েছিল। সুবর্ণাকে দেখে তার ভাল লাগছে কিন্তু এই অচেনা লোকদের সামনে এমন উচ্ছ্বাস তার পছন্দ হচ্ছিল না। গোবিন্দ বলল, 'এই যে দিদি, বন্ধুকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেলে?'
সুবর্ণা বলল, 'তোমাকে আমি ভুলব? তুমি আমাকে ট্যাক্সিভাড়া দাওনি?'
জিভ বের করল গোবিন্দ।
স্বপন দত্ত জিজ্ঞাসা করলেন, 'আপনারা কি আগে থেকে পরিচিত?'
সুবর্ণা বলল, 'হ্যাঁ কেন?'
স্বপন দত্ত বললেন, 'আপনার অভিনয় আমি দেখেছি। আজ এখানে এসেছি তিতির দেবীর সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু উনি আমাদের প্রোডাকশানে কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না। বাড়ির আপত্তির কথা
বলছেন। আপনি একটু বলুন না।
সুবর্ণা জিজ্ঞাসা করল, 'সিরিয়াল?'
স্বপন দত্ত মাথা নাড়লেন, 'সিরিয়াল এবং ছবি।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
সুবর্ণা তিতিরের দিকে তাকাল, 'কী রে! তুই রাজি হচ্ছিস না কেন?'
'আগে নিজের কাজ টিভিতে দেখি, লোকে কী বলে শুনি!' তিতির হাসল, 'আমার কোনও তাড়াহুড়ো নেই।'
ওঁরা উঠে পড়লেন। রাজা নন্দী বলল, 'আমি বলি কী, আর একটা দিন ভাবুন। যদি মন চায় তা
হলে গোবিন্দকে বলবেন, আমরা চলে আসব।'
গোবিন্দ ওঁদের নিয়ে বেরিয়ে গেলে সুবর্ণা বলল, 'তোর কী কপাল রে! আমি এতদিন ধরে সিরিয়ালে অভিনয় করছি কিন্তু কেউ ছবির অফার নিয়ে আসেনি। আর তুই দু'দিন কাজ করতে না
করতেই।' জড়িয়ে ধরল তিতিরকে সে।
তিতির বলল, 'তুই এদের চিনিস?'
'ওই লোকটাকে চিনি। পরিচালক রাজা নন্দী।'
'ভাল লোক?'
'দ্যাখ তিতির, ওসব করলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। তুই যাবি, অভিনয় করবি চলে আসবি। কার চরিত্র কীরকম তা নিয়ে মাথা ঘামাবার কী দরকার? তুই তো বিয়ের সম্বন্ধ করছিস না। যাক গে, তোর তো শুটিং হয়ে গেছে শুনলাম, বেরুবি?' সুবর্ণা জিজ্ঞেস করল।