আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 137

আসসালামুআলাইকুম

'হ্যাঁ।' রঞ্জনার মনে পড়ল। ওদের স্কুলে দু'ক্লাশ ওপরে পড়তেন তিনি।
'একদম পালটে গিয়েছে চেহারা। চিনতে পারিনি। আমি তমালিকা। এক স্কুলে পড়তাম। মনে আছে আন্তাকসরীতে আমি ফার্স্ট হয়েছিলাম, তুই সেকেন্ড।' তমালিকা হাসলেন। এবার মনে পড়ে
গেল রঞ্জনার।
'আপনি এখানে?'
'কমলিকা আমার বোন। ওর সঙ্গে এক জায়গায় যাব বলে এসেছি। তুমি সিনেমা লাইনে কাজ করছ নাকি?'
'না না। আমি চাকরি করছি। আমার সঙ্গে একটা মেয়ে পড়ত, নাম উপাসনা, তার কোম্পানিতে।'
'উপাসনা। হ্যাঁ হ্যাঁ। ওই নামটার জন্যই ওকে মনে আছে। তা কমলিকার সঙ্গে তোমার কথা হয়ে গেছে?'
কমলিকা চুপচাপ শুনছিলেন হঠাৎ বললেন, 'ঠিক আছে। আপনাদের যা ক্ষমতা তাই দেবেন।
আপনি দিদির পরিচিত বলে এটা বললাম।' কমলিকাও সম্মতিপত্র লিখে দিলেন।
রঞ্জনা যখন অফিসে ফিরে এল তখন প্রায় সন্ধে। উপাসনা তার চেম্বারে ছিল। শব্দ করে ঘরে
ঢুকতেই উপাসনা জিজ্ঞাসা করল, 'দেখা পাওনি?' 'পেয়েছি। না পেলেই হয়তো ভাল হত।' রঞ্জনা বলল।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

'বুঝতে পারলাম না।'
'শকুন্তলা এবং তমালিকা রাজি হয়েছেন। কিন্তু দশ হাজার টাকা করে চেয়েছেন।'
'তো?'
'অনেক অনেক বেশি চেয়েছিলেন। প্রচুর অনুরোধ করার পর দশে নেমেছেন।' 'তারপর?'
'আমার পক্ষে যা যা বলার তা বলেছি।'
'কিন্তু ওঁরা যে তোমার প্রস্তাবে রাজি তার প্রমাণ কী?' উপাসনা বলল। ব্যাগ খুলে কাগজ দুটো বের করে এগিয়ে দিল রঞ্জনা। সেই দুটোয় চোখ বুলিয়ে উপাসনা
হাসল, 'বাঃ। গুড। তুমি তো পাকা কাজ করে এসেছ। থ্যাঙ্ক ইউ।'
'কিন্তু টাকাটা-।' 'দেব। আসলে এই দু'জনের জন্য বাজেটে পঞ্চাশ হাজার ধরা ছিল।'
'সে কী!'
'অবাক হওয়ার কিছু নেই। ওঁদের গ্ল্যামারের দাম।'
'অধ্যাপিকা আর লেখিকার জন্য বাজেট আছে?'
'না। কারণ ওঁদের কোনও গ্ল্যামার নেই।' ইনটারকমে উপাসনা হরিপদকে আসতে বলল।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

হরিপদ এলেন, 'ইয়েস ম্যাডাম।' 'এই কাগজ দুটো রাখুন।'
কাগজ দুটো দেখে হরিপদ বললে, 'বাঃ, এই তো আপনি কাজটা করেছেন।'
উপাসনা বলল, 'নেক্সট দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিন ওকে।'
'আসুন।' হরিপদ বেরিয়ে গেলেন।
রঞ্জনা উঠে দাঁড়াতে উপাসনা বলল, 'শোনো, তুমি কিন্তু ভেবো না দারুণ কিছু করেছ। তোমাকে মাইনে দেওয়া হবে যে কাজের জন্য তুমি তাই করে এসেছ। না করলে মাইনেটা নিতে কী করে? কিন্তু তোমার কোনও কাজের জন্য কোম্পানির যদি বেশি লাভ হয় তা হলে তুমি স্পেশ্যাল ট্রিটমেন্ট পাবে। যাক এসব কাজের কথা। আজ সন্ধের পর তুমি কী করছ?'
'বাড়িতে যাব।'
'আঃ। সেটা তো যাবেই। ভাবছিলাম তোমার সঙ্গে আড্ডা মারব আজ।'
'আমি তো কিছু বলে আসিনি।'
'ফোন করে দাও।'
'আমাদের বাড়িতে ফোন নেই।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।