আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 121

in #photography3 months ago
আসসালামুআলাইকুম

ব্যাপারটা এত চটপট এবং ওরকম সিরিয়াস কথার পর ঘটল যে রঞ্জনা হতবাক হল। ততক্ষণে কমালব্যাপারটারে তার গাল থেকে লিপিস্টিকের দাগ তুলে নিচ্ছে উপাসনা, 'তোকে কিছু খাওয়াতে কমান বের করে পয়েন্টমেন্ট লেটার পেলি অথচ সেলিব্রেট করব না, এ হয় নাকি।' শব্দ করে হাসল উপাসনা।
উঠে দাঁড়াল রঞ্জনা, 'আমি চলি।'
'হ্যাঁ। এসো।' আচমকা গলার স্বর বদলে গেল উপাসনার।
ঘর থেকে বেরিয়ে এল রঞ্জনা। বেরিয়ে দেখল হরিপদবাবু দাঁড়িয়ে আছেন। ও তাকাতেই তিনি বললেঘর আমাদের কাছে কলকাতার সেলিব্রেটিদের একটা লিস্ট আছে। আপনি সেটা দেখতে পারেন।
'বেশ তো। কাল এসে দেখব।' রঞ্জনা খুশি হল।
মাথা নেড়ে অদ্রলোক চলে গেলেন। রঞ্জনা এগোল। তাকে দেখে রিসেপশনিস্ট মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে নির্মল হাসল। ওর হাসি দেখে বোঝা গেল খবরটি পেয়ে গেছে। মাথা নেড়ে বেরিয়ে এল রঞ্জনা।
এখন এই বাড়িতে কোনও শব্দ ছিল না। খাওয়ার টেবিলের চারপাশে বসে থাকা চারটি মানুষ যেন কথা খুঁজে পাচ্ছিল না। মিনিট তিনেক আগে মা, বাবা আর দাদাকে ডেকে তিতিরের সামনে সংবাদটা পরিবেশন করেছে।

1732332112137.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

তিতির বসেছিল একটু কুঁকড়ে। দাদা ওর দিকে যেভাবে তাকাল যেন কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অপরাধীকে দেখছে। খবরটা শোনার পর দাদা চিৎকার করতে পারত কিন্তু করেনি। চুপ মেরে গিয়েছিল। দাদাই প্রথম কথা বলল, 'বাবা, তুমি কী বলো?'
বাবা একটু সময় নিলেন, 'কেউ তো তোমরা শিশু নও। নিজের ভালমন্দ কীসে হয় সেটা বোঝার বয়স তোমাদের হয়ে গিয়েছে।'
'যদি কেউ সেটা না বোঝে, জেনেশুনেও যদি কেউ আগুনে ঝাঁপ দিতে চায় তা হলেও তাকে ওই কথা বলবে?' দাদার গলার স্বর টানটান।
'মুশকিল কী জান সুবীর, যতক্ষণ না আমি জানতে পারছি ওটা আগুন ততক্ষণ কী করে নিষেধ করি?' বাবা ছেলের দিকে তাকালেন।
'আশ্চর্য! ও এতটা দূর এগিয়ে গেছে, আমাদের কাউকে জানাবার প্রয়োজন বলে মনে করেনি। দু'দিন পরে যে শুটিং করতে যাবে তাকে নিশ্চয়ই রাতারাতি ডেকে কেউ কাজ দেয়নি। দিনের পর দিন যাচিয়ে দেখেছে।' দাদা এবার উত্তেজিত।
ঠিক। । তুমি এতদিন ব্যাপারটা আমদের কাছে গোপন রেখে ঠিক করোনি!' তাকালেন। তাঁর গলায় রুক্ষতা। বাবা মেয়ের দিকে
তিতির কথা বলল, 'কাজটা যে হবেই, আমাকে যে ওরা পছন্দ করবে তা আমি আশাই করিনি। ভেবেছিলাম যদি নির্বাচিত হই তা হলে জানাব।'

1732332112089.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'দ্যাখো, কী যুক্তি দিচ্ছে! চমৎকার। সিনেমায় চান্স পেতে গেলে মেয়েদের কী কী করতে হয়
সেটা সবাই জানে!' দাদা মুখ ঘোরাল।
'দাদা।' চিৎকার করে উঠল তিতির। 'তুমি আমাকে অপমান করছ!'
'যা সত্যি তাই বলছি। সিনেমার ম্যাগাজিনে এসব কথাই লেখা হয়। নায়িকার পার্ট পাওয়ার জন্য মেয়েরা কতদূর অবধি নামতে রাজি তা তো ওইসব কাগজেই লেখা হয়। যাদের টাকায় ছবি হবে তারা সুযোগ নেয়। তুই চিৎকার করলে তো সত্যিটা মিথ্যে হয়ে যাবে না।' দাদা হাসল।
'বাবা, আমার ক্ষেত্রে এরকম কোনও ব্যাপারই হয়নি। বিভাসদা অত্যন্ত ভদ্রলোক। অশোক নন্দী আমাকে আপনি বলে কথা বলেন। উলটে বিভাসদা আমাকে সতর্ক করে দিয়েছেন, স্টুডিয়োতে আমি যেন কাজের বাইরে কারও সঙ্গে না মিশি।' তিতির দ্রুত কথাগুলো বলে গেল।
বাবা জিজ্ঞাসা করলেন, 'বিভাসবাবু কে?'
মা জবাব দিল, "চার দেয়াল' বলে যে সিরিয়াল হচ্ছে ওটা ওঁর। খুব ভাল সিরিয়াল। বউমাও রোজ দেখত।'
দাদা উঠে দাঁড়াল, 'আমি যাচ্ছি।'
'মা বলল, 'যাচ্ছিস মানে? ও কী করবে?'
'আমি তো ওর অভিভাবক নই। তোমরাই বলে দাও।'
বাবা বললেন, 'শোনো, সুবীর, তিতির যখন প্রস্তাবটা অ্যাকসেপ্ট করে ফেলেছে তখন পিছিয়ে যাওয়া মানে ওদের বিপদে ফেলা। তাই বলি, এই কাজটা ও করুক। ভাল না হলে মিটে গেল, কেউ ডাকবে না, এটাই শেষ।'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @taskiaakther,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.23
JST 0.033
BTC 93873.12
ETH 2633.12
SBD 0.43