আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 112
এটা আমার মনে লেগে গেল। আমি একবারও ভাবলাম না, কোনও মেয়ের স্বাধীনতা আছে সে কাকে বিয়ে করবে বা না করবে তা ঠিক করার। প্রথমদিন তো তুমি কিছু বলার সুযোগ পাওনি। কিন্তু যেই বললে আর একজনকে, তুমি ভালবাস, তাকেই বিয়ে করবে, অমনি তোমার দাদার মাথা এমন গরম হয়ে গেল যে আমার মনে হল তুমি আমাকে অপমানিত করলে।'
'দাদার মাথা গরম হল কেন?' তিতির হাসল।
'ছেলেটি কে, তার পরিচয় জানাচ্ছ না। সে চাকরি করে না বলছ। আসলে তোমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে যতটা নয়, তার চেয়ে বাইরের একটি ছেলের সঙ্গে তোমার ইনভলভমেন্ট ও মেনে নিতে
পারছিল না।' 'আচ্ছা, ধরো, ছেলেটির বাবা টাটা কিংবা বিড়লা। তা হলে?'
হেসে ফেলল রঞ্জনা, 'তোমার দাদাকে রাগটা হজম করতে হত।'
কিন্তু দাদাও তো তোমাকে।'
'ওইটাই মুশকিল। কেউ যখন নিজে প্রেম করে, তখন ভাবে ঠিক করছে। কিন্তু ছেলে-মেয়ে- বোন যদি প্রেম করে, তা হলে ভাববে ভুল করছে। কিন্তু তুমি যে বুদ্ধি করে গল্পটা বানিয়েছ তা ভাবতে পারিনি।' রঞ্জনা বলল।
'তার মানে দাদার অধিকারবোধে ঘা লেগেছে। এটা তো বাবার লাগা উচিত ছিল। আমি আগে
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
তার মেয়ে, পরে দাদার বোন।'
'তোমার বাবা ছেলের থেকে অনেক আধুনিক।'
তিতির জিজ্ঞাসা করল, 'আমার মনে আছে, তুমি বেশ রাগ নিয়েই এ বাড়ি থেকে অত রাত্রে
বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলে। হঠাৎ কী হল তোমার?'
'কী আবার হবে।'
'দাদার সঙ্গে তোমার ব্যবধান তৈরি হয়ে গিয়েছে, হয়নি?'
'কী করে বুঝলে? মা সেদিন জিজ্ঞাসা করলেন মাঝরাতে তোমার দাদা যখন ফিরেছিল তখন
ওর গায়ে কোনও গন্ধ পেয়েছি কি না। আমি বলেছি, পাইনি। আমি তো স্বচ্ছন্দে বলতে পারতাম, ও মদ খেয়ে বাড়ি ফিরেছিল। কিন্তু সে কথা তো বলিনি। ব্যবধান বাড়লে বলতাম।'
'হ্যাঁ, এটাও একটা অদ্ভুত ব্যাপার। কিন্তু যাই বল না কেন, এই চাকরির অফারটা পাওয়ার পর
তোমার মধ্যে পরিবর্তন এসেছে।'
সেটা ভাল না খারাপ?' '
'অবশ্যই ভাল।' তিতির বলল, 'তুমি ওদের জানিয়েছ?' 'জানাব। আমি মন স্থির করতে সময় নিচ্ছিলাম।'
'এতে আবার মন স্থির করার কী আছে?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'আছে। তুমি এখন সেটা বুঝবে না। বিয়ের পর দেখবে একটা অদৃশ্য শিকল তোমার পায়ে জড়ানো আছে। তোমার দাদার ইচ্ছে নয়, আমি চাকরি করি।'
'সে কী।' 'হ্যাঁ ।
'তুমি কী ঠিক করলে?'
'চাকরিটা নেব। আর এই কারণে ওর সঙ্গে ব্যবধান বাড়বে।'
'বাড়ুক। তোমাকে তো এবাড়িতে থেকে চলে যেতে বলতে পারবে না।'
'কেন পারবে না ।। এ বাড়িতে তো আমি ওর জন্যই এসেছিলাম।'
'না। দাদা নিশ্চয়ই উপলক্ষ ছিল, কিন্তু তোমার সঙ্গে আমার, মায়ের, বাবার যে সম্পর্ক তৈরি
হয়েছে, তা দাদার সঙ্গে সম্পর্কের চেয়ে কম দামি নয়। এখন শুধু দাদার কথাই শেষকথা নয়।' তিতির বলল।
'কিন্তু মা-ও তো চান না চাকরি করি।'
'মায়ের কথায় যুক্তি আছে তুমি বলতে পারো, যদ্দিন তোমাদের ছেলেমেয়ে না হচ্ছে তত দিন চাকরি করবে।'
রঞ্জনা হাসল।
তিতির বলল, 'আমি বলি কী, তুমি বাবার সঙ্গে কথা বলো। বাবা যদি অনুমতি দেয় তা হলে এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো।'...