আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 110
হবে। উঠে পড়ো।'
চোখ মেলল সুবীর। 'কী ব্যাপার বলো তো?'
বা খুব সিম্পল। বাবা যাচ্ছেন না, তোমাকে বাজারে যেতে হবে। তুমি যদি যেতে না চাও আমাকে
তিতিরকে যেতে হবে।'
'কেন? বাবার শরীর খারাপ?
'একটু তো টায়ার্ড। ছেলে মাঝরাতে মদ গিলে বাড়ি ফিরে বেলা পর্যন্ত ঘুমাবে, আর বাবা সাতসকালে বাজারে যাবে, এটা তো হতে পারে না। তোমার মদ খাওয়ার ব্যাপারটা অবশ্য এখনও উনি জানেন না।'
'তুমি এইসব কান্ড করবে বলে কালই ফিরে এসেছ?' 'এসব কাও? তুমি কি আমাকে জানিয়ে মদ খেয়েছিলে কাল?'
'না, মানে। বিশ্বাস করো রঞ্জনা, ওরা রোজ খেতে বলে আর আমি এড়িয়ে যাই। কাল তোমাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে এত রাগ হয়ে গেল যে ওরা বলতেই রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু বেশি খাইনি। দেড় পেগ। বিশ্বাস করো।'
'আমাকে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করছ কেন? খাওয়ার জিনিস খেয়েছ একথা না বলে এখন মিউ মিউ করার কোনও মানে হয় না। তোমার মা কাল রাত্রেই গন্ধ পেয়েছিলেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমি সত্যি কথাটা ওঁকে বলতে পারিনি। পারাটা উচিত ছিল।' রঞ্জনা বলল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'সর্বনাশ।' বিছানা থেকে নেমে এল সুবীর।
'কাছে এসো না।'
'কেন? এখনও কি মদের গন্ধ পাচ্ছ?'
'জানি না। ব্রাশ করো গিয়ে।'
সুবীর যখন ফ্রেশ হয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এল তখন রঞ্জনার বিছানা তোলা হয়ে গিয়েছে। সুবীর জিজ্ঞাসা করল, 'কাল বাপের বাড়ি থেকে কোথায় গিয়েছিলে বলো তো? তোমার ফোন
পাওয়ার পর আমি ছুটে গিয়েছিলাম।'
'কোনও দরকার ছিল না।'
'না, আসলে, তুমি সেলিনায় যেতে বললে আর আমি কী বলতে কী বলে ফেলেছি, তাই। গিয়ে শুনি তুমি যে সেই বেরিয়েছ আর ফিরে আসোনি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম।'
'না পেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মদ গিলতে গিয়েছিলে।'
'আঃ, আমি যে মদ খাই না, তা ভাল করেই জান। কাল হঠাৎ। যাকগে, কোথায় গিয়েছিলে তুমি?'
'সেটা জেনে তোমার কি কোনও লাভ হবে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'তুমি এভাবে কথা বলছ আমার সঙ্গে?'
'স্বাভাবিক কথা বলছি। শোনো, আমি একটা চাকরির অফার পেয়েছি।'
'চাকরি?'
'হ্যাঁ। আমার কলেজের এক বান্ধবীর ফার্মে। তোমার মা বাবাকে বলেছি। তোমাকেও কথাটা জানিয়ে দিলাম।'
'কী আশ্চর্য। দুম করে কালকেই চাকরিটা পেয়ে গেলে, না অনেক আগে থেকেই এ ব্যাপারে কথাবার্তা চলছিল।' সুবীরের মুখ শক্ত।
'আমি এখনও চাকরি পাইনি। প্রস্তাব পেয়েছি। বহু বছর পরে কালই ওর সঙ্গে দেখা হল।'
রঞ্জনা অসহিষ্ণু গলায় কথাগুলো বলল।
'এ তো দেখছি কাকতালীয় ব্যাপার। কেউ বিশ্বাস করবে?' হাসল সুবীর। 'কে বিশ্বাস করল কি করল না তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। কিন্তু তোমাকে স্পষ্ট বলতে
হবে তুমি কি ভাবছ আমি মিথ্যে বলছি?'
'না, মানে, ঠিক তা নয়।'
'তা হলে ঠিকটা কী?'
'রঞ্জনা তোমার কি চাকরি করা খুব দরকার?'
'কেন?'