আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 108
'না-না।' টোস্টে কামড় দিল রঞ্জনা।
গোচর বললেন, 'তিতির যা, খোকাকে ডেকে তোল। অনেকদিন পরে সবাই একসঙ্গে চা খাচ্ছি,
ও বাদ যাবে কেন?'
শাশুড়ি বললেন, 'থাক, ওকে ঘুমাতে দাও।'
এবার তিতির মায়ের দিকে তাকাল, 'তোমাদের একটা ভাল খবর দেওয়া হয়নি।'
শাশুড়ি তাকালেন। শ্বশুর জিজ্ঞাসা করলেন, 'কী খবর?'
তিতির বলল, 'বউদির মুখ থেকেই শোনো। বউদি বলো।'
রঞ্জনার খুব অস্বস্তি হল। বলল, 'এমন কিছু নয়, তুমিই বলে দাও।' তিতির বলল, 'বউদি একটা চকরি পেয়েছে।'
শ্বশুর বললেন, 'অ্যাঁ, তাই নাকি? কোথায় পেলে? কী করে হল?'
রঞ্জনা বলল, 'কথা হয়েছে। আসলে আমার কলেজের এক বন্ধু ব্যবসা করে, ইভেন্ট
ম্যানেজমেন্ট। ও আমাকে অফারটা দিয়েছে।' 'মাইনে কত দেবে?' শ্বশুর জিজ্ঞাসা করলেন।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'এখন পাঁচ হাজার।' রঞ্জনা বলল।
'ভাল, খুব ভাল। তোমার তো কোনও এক্সপিরিয়েন্স নেই, তা সত্ত্বে যদি ওই অ্যামাউন্ট দেয় তা হলে বলতে হবে রীতিমতো ভাল অফার। ও. এই খবরটা পাওয়ামাত্র তোমার মনে হল এখানে চলে
আসা উচিত। তাই?'
'না, তা ঠিক নয়।' রঞ্জনা শাশুড়ির দিকে তাকাল।
তিতির বলল, 'মা, তুমি কিছু বলছ না কেন?'
'আমি আবার কী বলব। সবাই অ্যাডাল্ট, নিজের ভালমন্দ বোঝে।'
'আচ্ছা, তোমার মতামতটা জানাবে তো।'
'আমার মতামত তোমরা জান। মেয়েরা চাকরি করলে সংসারে সুবিধে যেমন হয় অসুবিধে হয়। বিস্তর। বিশেষ করে চাকরি করা মেয়ের বাচ্চা হলে তো কথাই নেই। সকালে বাচ্চাকে সামলে অফিসে যাও, সেখানে দিনভর পরিশ্রম করো, আবার সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে তার সেবায় লেগে যাও।
এতে শরীর টিকবে? বাচ্চাটাও বঞ্চিত হবে, নিজেরও কিছু থাকবে না।' শাশুড়ি বললেন। 'তুমি বেশি ভাবছ মা। বাচ্চা যতদিন না হচ্ছে ততদিন তো সমস্যা নেই।'
'বাঃ! কী বুদ্ধি।' শাশুড়ি বললেন, 'দেখতে সুন্দর বলে একটা বটগাছের চারাকে বাড়ির দেয়ালের পাশে বাড়তে দিলে ক'দিন পরে তার শিকড় যে পুরো বাড়িটাকেই ভেঙে ফেলবে, এটা বোঝো না?'
তা শ্বশুর বললেন, 'বউমার ক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা নেই। বাচ্চা হলে একটা আয়া রেখে দেওয়া যাবে।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
ছাড়া আমরা আছি, তুমি আছ।' 'খোকা জানে? শাশুড়ি তাকালেন।
'না। কাল রাত্রে বলার সুযোগ পাইনি।'
'দ্যাখো, সে কী বলে। তা। তোমার বন্ধুটি কি বিবাহিত?'
'হ্যাঁ, কিন্তু এখন ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে।'
'তার মানে ডিভোর্সি, একা থাকে? শাশুড়ি চোখ ছোট করলেন।
'হ্যাঁ।' রঞ্জনা মাথা নাড়ল।
তিতির বলল, 'মা বউদি চাকরি করবে অফিসে। যার অফিস তার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে নিশ্চয়ই মাথা ঘামাবে না। তুমি দুটো ব্যাপার এক করে ফেলছ, আর বউদির অফিসের মালিক পুরুষ নন, মহিলা।'
'তার মানে?' শাশুড়ি অবাক।
'তুমি এতক্ষণ যা ভাবছিলে তার উলটো। বউদির সঙ্গে পড়ত একজন মহিলা এই ব্যবসা করছেন। কাল তাঁর সঙ্গে বউদির দেখা হয়েছিল। তিনিই চাকরিটার অফার দিয়েছেন।' কথাগুলো বলে তিতির হাসতে লাগল।
শ্বশুরমশাই বললেন, 'বাঃ, এ তো খুব ভাল হল। তোমার মায়ের আর কোনও সমস্যাই রইল না। তা ছাড়া তিতির যদি চাকরির চেষ্টা করে, তা হলে বউমাই বা পারবে না কেন?'
রঞ্জনা বলল, 'মা যদি অসন্তুষ্ট হন তা হলে।'