আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 107
'দয়া করে আর আমাকে জ্বালিয়ো না। তুমি আজ আমার পাশে শুয়ো না। মদের গন্ধ আমার বোধহয় হবে না।' অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে থাকল সুবীর। তারপর ধীরে ধীরে বাথরুমের দিকে এগিয়ে গেল। হঠাৎ কীরকম নিশ্চিন্ত বোধ করল রঞ্জনা। কেন তা সে নিজেই জানে না।
আজ সকাল সকাল উঠেছিল রঞ্জনা। শাশুড়ি রান্নাঘরে ঢোকার আগেই তার পাঁউরুটি সেঁকা হয়ে গিয়েছিল। শাশুড়ি অবাক হয়ে বলেছিলেন, 'ওমা, তুমি এত আগে উঠেছ!'
রঞ্জনা হাসল, 'রোজই কাজটা আপনি করেন, আজ না হয় আমি করলাম।' শাশুড়ি বললেন, 'এরকম কথা শুনলে ভাল লাগে।'
রঞ্জনা প্রসঙ্গটা এড়াতে বলল, 'চায়ের জল গরম হয়ে গেছে, চা ভেজাব?' 'দাঁড়াও, আগে সবাই উঠুক, নইলে কড়া হয়ে যাবে। তোমার শ্বশুরমশাই অবশ্য বাথরুমে গিয়েছেন। রাত্রে ঘুমায় কোথায়। অন্তত তিনবার বাথরুমে যায়।' রঞ্জনা বলল, 'তা হলে ভিজিয়ে ফেলি। আপনি তিতিরকে ডেকে দিন।'
'কিন্তু খোকার তো উঠতে এখনও, ঠিক আছে পরে না হয় ওর জন্য আর একবার চা করে দেওয়া যাবে। তিতির, এই তিতির।' শাশুড়ি চিৎকার করলেন। 'কী হল? সাতসকালে চেঁচাচ্ছ কেন? ছাদের সিঁড়ি থেকে তিতিরের গলা ভেসে এল। নেমে
আসছে সে।
'ওমা! তুই কখন উঠলি। ছাদে গিয়েছিলি কেন?'
ফ্রি হ্যান্ড করতে।'
শাশুড়ি অবাক হলেন, 'সে কী রে। তোর কী হল! তুই ব্যায়াম করছিস?'
রঞ্জনা মন্তব্য করল, 'ভালই তো, গায়ে শক্তি হওয়া দরকার।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
মেয়েমানুষের শরীরে বেশি শক্তি না থাকাই ভাল।' শাশুড়ি বললেন। '
'হ্যাঁ।' নেমে এল তিতির, 'তা তো বলবেই। মেয়েরা চিরকাল পুরুষের হাতে মার থাক এটা
তো তোমাদের জেনারেশনের মেয়েরাই চেয়ে এসেছে।' 'মাখন না জেলি।'
রঞ্জনা শব্দ করে হেসে ফেলল, তিতির চোখ বড় করল, 'আজ তুমি কিচেনে?'
'এমন করে বোলো না, লোকে শুনলে ভাববে আমি খুব খারাপ।' 'একদম সেঁকা পাঁউরুটি। নো ক্যালরি। দাদা উঠেছে বউদি?'
'তিনি কি ছুটির দিনে তাড়াতাড়ি ওঠেন?' হঠাৎ শাশুড়ির গলা খাদে নেমে এল, 'কাল খোকার কী হয়েছিল?'
'কেন? কিছুই তো হয়নি।' জলে চা পাতা ঢালল রঞ্জনা।
'খোকার গা থেকে কোনও গন্ধ পাওনি?' শাশুড়ির গলায় এবার সন্দেহ স্পষ্ট। 'কীসের গন্ধ। আমি তো শুয়ে পড়েছিলাম। ঘেমে নেয়ে এসেছিল, বাথরুমে ঢুকে গেল। আমি
তো খেয়াল করিনি।' রঞ্জনা মন দিয়ে চা-পাতা ভেজাচ্ছিল। 'কিন্তু আমার ভুল হয়নি। ও আসামাত্র ধক্ করে গন্ধটা নাকে লাগল। আর দেখলাম ও খুব চটপট আমার সামনে থেকে সরে গেল।'
'গন্ধটা কীসের বলবেন তো?' 'মদের গন্ধ।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রঞ্জনা হেসে ফেলল, 'আপনার ছেলে ওসব ছোঁয়ই না। বন্ধুবান্ধবদের পার্টিতে গেলে ও শুধু
খাবার খায় বলে সবাই নাকি ঠাট্টা করে।' তিতির বলল, 'তুমি মিছিমিছি টেনশন করছ মা। হয়তো দাদা ওর বন্ধুদের সঙ্গে অনেকক্ষণ
বসেছিল তাই গন্ধটা ওর গায়ে লেগেছিল। তুমি টের পেলে আর বউদি পায়নি, এটা হতে পারে?' এইসময় শ্বশুরের গলা পাওয়া গেল, 'কই, চা হয়েছে?' টেবিলে চা টোস্ট নিয়ে যাওয়া হল। চায়ে চুমুক দিয়ে শ্বশুর বললেন, 'তুমি এত তাড়াতাড়ি চলে এলে, তোমার মা অসন্তুষ্ট হয়নি তো।