আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 103
'এটাকে অফ করে রেখে দিই, বডড বিরক্ত করছে।' টেলিফোনের বোতাম টিপে রিসিভার রেখে।
দিল উপাসনা। রঞ্জনা না বলে পারল না, 'তুই ভাল আছিস।'
হ্যাঁ। আগের থেকে অনেক ভাল আছি। ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন পুরুষকে বহন করা কী যন্ত্রণাদায়ক তা আমি হাড়ে হাড়ে জেনেছি। আমি যাকে বিয়ে করেছিলাম তার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে এখন রুচিতে বাধে। কিন্তু তুই বিশ্বাস কর, পুরুষ জাতটা আর আমাকে আকর্ষণ করে না।'
উপাসনা বলল। 'সে কী? তুই আর বিয়ে করবি না?'
'এই বয়সে বিয়ে না করে পারবি?'
'পারছি তো।'
'তুই যে ব্যবসা করিস তা তো পুরুষদের সঙ্গেই।' রঞ্জনা হাসল। 'পুরুষ অর্থনীতিটা কন্ট্রোল করছে বলে করতেই হবে। কিন্তু যেই কেউ ব্যবসার বাইরে আমার
সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চায় আমি তাকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিই সে আমাকে একটুও আকর্ষণ করছে না।' সোজা হয়ে বসে রঞ্জনার কাঁধে হাত রাখল উপাসনা, 'হ্যাঁ, তোর কাছে বলতে আপত্তি নেই, মাঝেমাঝেই আমার শরীরের ভিতর যে শরীর আছে তার চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু সেই চাহিদা মেটাতে একজন
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
পুরুষের শরণাপন্ন হওয়ার কথা আমি ভাবতে পারি না।' অদ্ভুত মাতাল করা গন্ধ বের হচ্ছে উপাসনার শরীর থেকে যা বিয়ারের কটু গন্ধকে ছাপিয়ে
যাচ্ছে। রঞ্জনার মনে মায়া জন্মাল।
'তোর স্বামী তোকে খুব আদর করে?'
'আমি ঠিক বুঝতে পারি না।' 'তোর ইচ্ছার দাম দেয়?'
'সবসময় নয়।'
'তখন তোর কী মনে হয়?'
'রাগ হয়। অপমানিত হই। কিন্তু কী করব? আমার তো কোনও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই। তাই
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুখ বুজে থাকতে হয়।'
'রোজগার করার চেষ্টা করিস না কেন?'
'কী করে করব? একজন গ্র্যাজুয়েট মেয়েকে কে চাকরি দেবে? তা ছাড়া বয়সও তো হয়েছে।"
'কী এমন বয়স তোর? আমরা তো একই বয়সি। তুই আয়, আমাকে ব্যবসায় সাহায্য কর।
আমি আপাতত তোকে হাজার পাঁচেক দিতে পারি।'
'কী করতে হবে আমাকে।' রঞ্জনা জিজ্ঞাসা করল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'আমি মূলত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করি। একা পারা যায় না বলে কয়েকজন কর্মীর উপর নির্ভর করতে হয়। তুই আমার কথামতো তাদের দিয়ে কাজ করাবি। যে ভদ্রলোক এই কাজটা করত তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ক্যানসার। ভেবে দেখ করবি কি না।' রঞ্জনার গালে আঙুল বুলিয়ে দিল উপাসনা। সেই স্পর্শে এমন কিছু ছিল যা অস্বস্তিতে ফেলল রঞ্জনাকে। কাঠ কাঠ হাসি হেসে সে বলল, 'এই, এবার যেতে হবে।'
'যাবি?' 'হ্যাঁ।'
অনিচ্ছাসত্ত্বেও সোফা থেকে উঠে টেবিল থেকে একটা কার্ড তুলে রঞ্জনাকে দিল উপাসনা, 'আমার সবকিছু এতে লেখা আছে। কাল বিকেলের মধ্যে তুই আমাকে জানাবি। তোকে পেলে আমার খুব ভাল লাগবে।'
নীচে টেলিফোন করে উপাসনা ড্রাইভারকে নির্দেশ দিল রঞ্জনাকে পৌছে দিতে। ওর ফ্ল্যাট
থেকে বেরোবার সময় উপাসনা আবার রঞ্জনার কাঁধ এক হাতে জড়িয়ে ধরে আদর জানাল।
কয়েক মিনিট বাদে গাড়িতে বসে ধাতস্থ হল রঞ্জনা। এ সবই কীরকম কল্পনার মতো। উপাসনা যে খুব একা, তা ও মুখে যাই বলুক, বুঝতে অসুবিধা হয় না। এককথায় ও তাকে চাকরি দিয়ে দিল।
ও কী পারে অথবা পারে না তা যাচাই পর্যন্ত করল না। কেন? শুধু পুরনো বন্ধু বলে? কিন্তু এখন তাকে তো কেউ পাঁচ হাজার টাকা মাইনের চাকরি দেবে না। মরে গেলেও সে অমন......