আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 102
'আরে এই ভদ্রমহিলা তাঁর সময়ের পুরুষদের অবহেলায় নাচাতেন। আমার খুব ভাল লগে
ওঁকে। কী খাবি?' 'কিছু না।' 'দূর। আয়।' কিচেনে ঢুকল উপাসনা। ওর দিকে তাকিয়ে একটু আড়ষ্ট হল রঞ্জনা। পাতলা
জামার নীচে কোনও অন্তবার্স পরেনি উপাসনা। জামাটাও শরীরের সঙ্গে সেঁটে রয়েছে। ফ্রিজ খোলার সময় ওর শরীরের ভাঁজগুলো এমনভাবে নড়াচড়া করে উঠল যে চোখ সরাতে বাধ্য হল সে। মাইক্রোওভেনে রেডিমেড খাবার ঢুকিয়ে দিয়ে দিয়ে সুইচ অন করল উপাসন উপাসনা। এই বস্তুটি তার বাবা বা শ্বশুরের নেই।
'চা খাবি নাকি?'
'না।'
স্যালাড তৈরি করছিল উপাসনা। করতে করতে জিজ্ঞাসা করল, 'তোর বর লোকটা কীরকম?
খুব ভাল মানুষ।' 'তোর কী মনে হয়?' পালটা প্রশ্ন করল রঞ্জনা।
'পুরুষমানুষ কখনও ভাল হয় না। ভাল হওয়ার ভান করে। দেখবি, স্বার্থে যা লাগলেই ওদের মুখোশ খুলে যায়।' উপাসনা মাইক্রোওভেনের সুইচ অফ করল, 'বাচ্চা হয়নি কেন? তুই চাসনি?' রঞ্জনা হাসল, 'ওই আর কী।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে যখন বোঝা গেল নিজেদের অজান্তেই ঘটনাটা ঘটে গিয়েছে তখন
মাথায় যেন বাজ পড়েছিল সুবীরের। এত তাড়াতাড়ি বাবা হতে সে কিছুতেই চায়নি। তা ছাড়া একটু গুছিয়ে না নিয়ে বাচ্চা মানুষ করার ঝামেলায় পড়তে চায়নি সে। সায় ছিল রঞ্জনারও। অনেক ভেবেচিন্তে বাপের বাড়িতে যাচ্ছে বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে সে বেরিয়েছিল স্বামীর সঙ্গে। সুবীরের এক বন্ধু নার্সিংহোমের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সকাল আটটায় গিয়ে বিকেল তিনটের সময় নিষ্কৃতি পেয়ে গিয়েছিল সে। খুব ভয় ছিল অসুস্থ না হয়ে পড়ে। কিন্তু কিছুই হয়নি। স্বচ্ছন্দে ট্যাক্সিতে চেপে বাপের বাড়িতে যেতে পেরেছিল।
কিন্তু তাকে দেখে মায়ের চোখে সন্দেহ ঝলকে ওঠে। সুবীর সরে যেতে জিজ্ঞাসা করেছিল, 'কী
হয়েছে তোর?'
বেমালুম মিথ্যা কথা বলেছিল রঞ্জনা, 'এবার খুব বেশি হচ্ছে, সেইরকম পেইনও। তাই চলে
এলাম রেস্ট নিতে।'
মা বলেছিল, 'এগুলো ইগনোর করা ঠিক নয়। চেপে রাখতে রাখতে দেখা যাবে টিউমার ফর্ম করেছে। তুই ভাল গাইনি দেখা।'
'দেখাব। আগে ঠিক হয়ে নিই।'
দিন তিনেক মা তাকে প্রায় তুলোয় করে রেখেছিল, নড়তেও দেয়নি। একজন প্রৌঢ়াকে ওভাবে ঠকাবার জন্য লজ্জা লেগেছিল খুব, কিন্তু এ ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। জীবনের প্রথম সন্তানকে বিসর্জন দিয়ে এসেছে জানলে মা তাকে ক্ষমা করত না।
চিকেন কাবারের প্লেটটা হাতে ধরিয়ে দিল উপাসনা, 'দেখ, কেমন লাগে। আমি তো নিজে রান্নাবান্না করি না, এখন তো সবই আধারান্না পাওয়া যায়, বাড়িতে গরম করে নিলেই হল। চা খেলি না, বিয়ার খাবি? এর সঙ্গে ভাল জমবে।' উপাসনা হাসল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'পাগল।' আঁতকে উঠল রঞ্জনা, 'তুই মদ খাস?'
'মদ!' হতভম্ব হয়ে গেল উপাসনা, 'বিয়ারকে মদ বলা হয় না রে। তুই একদম বুদ্ধ আয়।' টেবিলে প্লেট আর বিয়ারের গ্লাস রেখে সোফায় শরীর এলিয়ে বসল উপাসনা। ওর পাশে বসতে সংকোচ হচ্ছিল রঞ্জনার। আধশোয়া ভঙ্গির জন্য উপাসনার পাতলা বেগুনি ফ্রক প্রায় হাঁটুর
কাছে উঠে গিয়েছে এবং তাতে ওর কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। এরকম মসৃণ পায়ের কথা কল্পনা করতে
পারেনি রঞ্জনা।
খাবার খেতে ভাল লাগছিল। বিয়ারে চুমুক দিচ্ছিল উপাসনা। কিন্তু প্রায়ই টেলিফোন বাজতে লাগল। ওগুলো যে কাজের ফোন বুঝতে অসুবিধা হল না। রঞ্জনার হঠাৎ ভাল লাগতে লাগল। এরকম একটি পরিবেশে সে কখনও আসেনি। কোনও পুরুষ নয় তার মেয়ে বন্ধু এক পুরুষের মতো একা এই ফ্ল্যাটে রয়েছে। ওর বিয়ারে চুমুক দেওয়া, চামচে মাংসের টুকরো তুলে জিবে ফেলা, বাঁ হাতে তুলে কর্ডলেসের রিসিভার কানে চেপে কথা বলা- এসবের মধ্যে পুরুষালি ব্যাপার রয়েছে।