ফটোগ্রাফি!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি। ঐ সবমিলিয়ে বেশ ব্যস্ততায় দিন কাটছে। ঈদের পরে বাড়ি থেকে আসার পরে খুব একটা ভালো লাগছে না। এটাই সম্ভবত নিজের শহরের প্রতি টান। প্রথম কয়েকদিন মনটা বেশ খারাপ ছিল অবশ্য। কিন্তু এখন কিছুটা ঠিক হয়েছে। এবার বাড়িতে গিয়ে মোটামুটি ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলাম। সেই সাথে করেছিলাম বেশ অনেক ফটোগ্রাফি। সেই ফটোগ্রাফি গুলো রেখে দিয়েছি। সেখান থেকেই আজ কিছু ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। আশাকরি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
- এটা হলো আমাদের ঈদগাহ ময়দান এবং আমাদের মসজিদ। এবার বেশ দারুণ ভাবে রঙিন আলো দিয়ে মসজিদ এবং ঈদগাহ ময়দান টা সজ্জিত করা হয়েছিল। দেখে বেশ দারুণ লাগছিল। একদিন সন্ধ্যার পরে আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। মনটা আমার এখনও এখানেই পড়ে আছে।
- এই ফটোগ্রাফি টা দিনের বেলাতে করা। এটা ঐ ঈদগাহ এবং মসজিদের ফটোগ্রাফি। ঈদের সময় রঙিন পতাকা দিয়ে দারুণ ভাবে সজ্জিত করা হয়। তখন একেবারে দুপুর বেলা। ঐ রোদে দারুণ লাগছিল জায়গাটা। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এটা হলো আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। কুমারখালী এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাএ ছিলাম। একটা সময় এই মাঠে কত খেলেছি। কত দৌড়াদৌড়ি করেছি। ঈদে বাড়িতে গিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে ইফতার পার্টি করতে। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। কী অসাধারণ ছিল মূহূর্তটা। জায়গাটা এখনও আগের মতোই রয়েছে।
- এটা হলো আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেইন গেট। অন্য সুপ্রশস্ত রাস্তা। মেইন গেটটা স্কুলের ১৫০ বছর পূর্তিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। এবং মেইন গেইট থেকে স্কুলে আসার জন্য বেশ কিছুটা পথ অতিবাহিত করতে হয়। এইটা হলো সেই রাস্তা। যদিও এখন বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অনূভুতি টা সেই ৬ বছর আগের মতোই রয়েছে। কিছুই পরিবর্তন হয়নি।
- শেষ চারটা বছর কুষ্টিয়াতে কাটিয়েছি বলা যায়। যেহেতু ওখানে কলেজ ছিল বাড়ির থেকে বেশি থাকতাম কুষ্টিয়াতেই। কলেজ শেষ করে দুপুরে ট্রেনের জন্য চলে যেতাম কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে। এই জায়গাটাই আমার রয়েছে অসংখ্য মূহূর্ত অসংখ্য স্মৃতি। বাড়িতে গিয়ে একদিন রাতে চলে গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া। ঐসময় এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম।
- সবুজ ঘাস সুন্দর মাঠ ধানক্ষেত এসব দেখেই ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি। হঠাৎ করে যখন এগুলো অনেক দিন পরে দেখি তখন বেশ ভালো লাগে। এবার বাড়িতে গিয়ে বিকেলে বেশ কিছুটা সময় বিকেলে মাঠে অতিবাহিত করতাম। দুইপাশে সবুজ ধানক্ষেত। এবং মাঝ দিয়ে ঘাস বেষ্টিত রাস্তা। এ যেন অন্যরকম একটা অনূভুতি।
- আমার গ্রাম টা খুব একটা বড় না। যদিও এটাকে গ্রাম বলা যায় না। শহরের সবরকম উপাদান এটার মধ্যে রয়েছে আবার গ্রামের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। গ্রামের মাঝ দিয়ে রাস্তা এবং দুইপাশে গাছপালা না হয় বাড়িঘর। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। তখন মনে হচ্ছিল এর চেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গা হয়তো পৃথিবীতে আর নেই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1910980756136247445?t=nkwrVVb4NmIWfM1GmB1Owg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910981022881321457?t=bqZmQkeoIx28N1P7kQowQg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910981262493245701?t=n4L-ddOjcTIwAwSuCkRJyQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910981452180734248?t=TeiLTY7nMuoxjpKvVTOMkA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910981596049760452?t=V_8mixXgHKHxEhYuMuH_mw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910981897628582197?t=uEIR4p5Q1z9DN_eeFF5vMg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910982134065742130?t=7H9eXwbklou5c8ri1vuQ6Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জীবনের সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমরা যেখানে কাটাই সে জায়গাগুলো তে গেলে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। আপনি গ্রামে গিয়ে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। সবুজ ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফি তো অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
মানুষ বাঁচে শিকড়ের টানে তাইতো জন্ম স্থানের প্রতি মানুষের এক অপ্রকাশিত ভালোবাসা বিদ্যমান থাকে। যাই হোক ঈদের ছুটিতে বাসায় এসে চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছিলেন। সে সকল দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি গুলির মধ্য হতে সবু জ ধানক্ষেত এবং আপনাদের মসজিদ ঈদগা ময়দান সহ প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো।
নিজের পরিবারের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। ঠিক তার মানে আপনি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং চারপাশের কিছু ফটোগ্রাফিও আমাদের মাঝে শেয়ার করুন। আসলে এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখতেও সুন্দর দেখায়। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বর্ণনা আমার কাছে দারুণ লাগলো।