গিগাবাইট দৈত্য
ছেলেটির ‘উদ্ভাবনী গুণ’ ও ‘অনুসন্ধিৎসু মন’ জন্ম থেকেই। ছোটবেলায় বাবার কেনা ফলের গন্ধযুক্ত রাবার কামড়ে খোঁজার চেষ্টা করেছিল, কোথায় ফলের টুকরা লুকানো! আগুন শুধু চুলাতেই জ্বলে নাকি, তা পরীক্ষা করার জন্য ম্যাচ জ্বালিয়ে ময়লা ফেলার বালতিতে ছেড়ে দিয়েছিল! একটুর জন্য সেদিন ফায়ার সার্ভিসের শরণাপন্ন হতে হয়নি। ছোটবেলা ছেড়ে এবার বড়বেলায় আসি। কীভাবে খ্যাতিকে
ধরা যায়-এ চিন্তায় পিন্টু ডুবে আছে। একবার ভাবে, ‘মোটর সাইকেল’-এর জায়গায় ‘জেনারেটর সাইকেল’ তৈরি করে ফেললে কেমন হয়? বাইকে কোনো তেল ঢালা লাগবে না; নিজেই নিজের চলার শক্তি জেনারেট করে নেবে! পরক্ষণেই আবার ভাবে, রাস্তায় মাঝেমাঝে শোনা যায়, ‘তিনশ টাকার অ্যানার্জি বাল্ব মাত্র একশ টাকায়-কোম্পানির প্রচারের স্বার্থে।’ পিন্টু যদি এমন বাল্ব আবিষ্কার করতে পারে যা তিন টাকায় পাওয়া যাবে, তাহলেই তো মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে। রাতারাতি পিন্টুর নাম বাতির আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে!