স্বদেশ প্রেম নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি স্বদেশ প্রেম নিয়ে কিছু কথা নিয়ে। স্বদেশ অর্থ নিজের দেশ। নিজের দেশকে সকলেই ভালোবাসে , যেমনটি ভালোবাসে মাকে। আমার মনে হয় যারা দেশের বাইরে থাকে তাদের স্বদেশের প্রতি একটু বেশি টান থাকে, তাদের ভালোবাসা অন্যদের থেকে একটু গভীর হয়। প্রয়োজনের তাগিদে বা হয়তো কোন কাজে তারা দেশের বাইরে থাকে, কিন্তু তাদের মন পড়ে থাকে তাদের স্বদেশের দিকে। এই দেশেই তার জন্ম, এই দেশের আলো বাতাস পেয়ে সে বড় হয়েছে। স্বদেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা থাকে তাদের দেশের মানুষের প্রতিও তেমনি ভালোবাসা থাকে।
স্বদেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ।আমাদের নবী মুহাম্মদ (স.) বলেন, “স্বদেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।”পৃথিবীর সকল ধর্মেই স্বদেশপ্রেমকে উৎসাহিত করা হয়েছে । নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) তাঁর জন্মস্থান মক্কাকে অসম্ভব ভালবাসতেন। হিজরতের সময় তিনি বারবার মক্কার দিকে পেছন ফিরে তাকিয়েছেন এবং বলেছেন, “প্রিয় মক্কা! আমি তোমাকে ছেড়ে যেতাম না— যদি তারা আমাকে বাধ্য না করতো।” আমিও আমার সোনার বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার বাংলার মানুষকে। আমি অনেককেই দেখেছি নিজেদের দেশকে ছোট ও হেয় করতে কোন দ্বিধাবোধ করে না।নিজের স্বার্থের জন্য দেশকে গালি দেয়, দেশের মানুষকে গালি দেয়। দেশের বদনাম করতে সামান্যতম কুণ্ঠাবোধ করে না। তুমি কি এই দেশে জন্মগ্রহণ করনি?এই দেশে আলো বাতাসে বেড়ে উঠেনি? তাহলে কেমন করে পারো নিজের দেশকে গালি দিতে? নিজের দেশের বদনাম করতে? আবার আমাদের দেশের কাউকে কাউকে দেখেছি একজন মানুষ দোষ করলে পুরো দেশের মানুষকেই খারাপ করে ফেলে।প্রতিটি দেশের মধ্যেই ভালো খারাপ রয়েছে, তাই বলে কি পুরো দেশের মানুষই খারাপ? এই ধরনের মানুষ দেখে খুবই আফসোস হয়, নিজের দেশে খেয়ে পড়ে নিজের দেশেরই বদনাম করে সামান্য একটু স্বার্থের জন্য। দেশের প্রতি তাদের মায়া, ভালোবাসা, টান কিছুই নেই।
আজকে আপনাদের কাছে ছোট্ট করে আমার এক আত্মীয়ার গল্প শোনাচ্ছি। গতকাল আমার হাজবেন্ডের এক চাচাতো বোন এই দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক বয়স হবে তার, পাঁচ জন ছেলেমেয়ে। চার ছেলে এক মেয়ে, তিন ছেলে ও মেয়ে এদেশে বসবাস করে,আর বড় ছেলে আমেরিকায় থাকে। বাংলাদেশে তার কেউ নেই, তিনি বেশিরভাগ সময়ে এই দেশে এবং আমেরিকায় বসবাস করেছেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছেন তাকে যেন বাংলাদেশে দাফন করা হয় অথচ তারা সকলেই এখানে থাকে। যাইহোক এখন তাকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দেশের প্রতি তার ভালোবাসা ও টান রয়েছে বলেই এ কথা বলে গিয়েছেন।
তাই সবাইকে একটি মেসেজে দিতে চাই দেশকে ভালবাসুন, পারলে সুনাম করুন, কখনো বদনাম করবেন না। নিজের সামান্য স্বার্থের কারণে দেশকে বদনামের ভাগি দাড় করবেন না।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR

ওয়ালাইকুম আসসালাম,
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন দেশের বাইরে থাকলে দেশে প্রতি ভালবাসাটা আরও বেশি বেড়ে যায়। হিজরতের সময় প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারবার পিছন ফিরে তাকিয়ে ছিলেন আর বলছিলেন ওরা আমাকে বাধ্য না করলে আমি কখনো আমার নিজের দেশ ছাড়তাম না,এটা আমিও শুনেছি। আসলে আমাদের সবারই নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকা উচিত। নিজের দেশের আলো বাতাস পেয়ে নিজের দেশকে ছোট করা কখনোই উচিত না। সব সময় খারাপটাকে ভুলে গিয়ে ভালো দিকটা কে সমর্থন করা উচিত। আর হ্যাঁ একজনের জন্য পুরো দেশটাকে খারাপ বলা এটা একদমই উচিত না। কারণ সবার মনের খবর তো আর তিনি জানেন না। যাইহোক লাস্টে আপনি যে ব্যক্তির কথা বললেন উনার নিজ দেশের দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি আসলেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ।
অনেক ভাল লাগলো আপু পড়ে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, দেশের প্রতি আমার কত টান আমি সেদিন বুঝেছিলাম কয়েক বছর আগে যখন আমি ইন্ডিয়ায় আগ্রার তাজমহল দেখার জন্য ৭/৮ দিনের জন্য যাই।কি যে খারাপ লাগা ছিল আজ ও মনে পরে। সেদিন আমি বুঝেছি দেশের প্রতি আমার কত টান।কত ভালবাসা আছে।🥰 ভাল, খারাপ সব জায়গাতেই আছে। তাই বলে দু একজনের জন্য সবাই কেন খারাপ হতে যাবে? আমাদের উচিত খারাপ কে সাথে নিয়ে চলা। খারাপ কোন কিছু আমাদের জন্য আশির্বাদ।কারন খারাপ কোনকিছু আমাদের পাশে আছে বলেই আমাদের কাজের স্পৃহা কে বাড়িয়ে দেয়। আমাদের কে এগিয়ে যাওয়ার জন্য খুব বেশি উৎসাহ দেয়।অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য রইলো অনেক শুভকামনা।
ঠিকই বলেছেন আপু, আমরা সবাই নিজের দেশকে ভালোবাসি। যেহেতু আপনি দেশে নেই সে ক্ষেত্রে দেশের প্রতি টানটা সত্যিই একটু বেশি থাকবে। কিন্তু সবাই তো আমাদের মত ভাবে না। নিজের স্বার্থের জন্য পুরো দেশের বদনামি করে ফেলে। আসলে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই এরকম কাজে লিপ্ত। কিন্তু সবাই যে এটাও নয়। আমি মনে করি আমাদের সবারই নিজের দেশের প্রতি একটা টান অথবা ভালোবাসা থাকা দরকার হয় যেমনটা আপনি আপনার হাসবেন্ডের চাচাতো বোনের কথা বলেছেন। যিনি কিনা বাংলাদেশে কখনো থাকেইনা। কিন্তু তারপরেও তিনি নিজের জীবনের শেষে বাংলাদেশে কাটাতে চেয়েছে।
আপু দেশের প্রতি ভালোবাসা নেই বলেই আজ আমাদের এই অবস্থা। সবাই যার যার মত লুটপাট করে নিজের বাক্স গুচাচ্ছে কিন্তু দেশের প্রতি সামান্য চিন্তাও কারো নেই। দেশের প্রতি সবার ভালোবাসা উদয়হোক এটাই প্রত্যাশা।
একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকা আবশ্যক। কবির ভাষায় কবিতার দেশকে নিজের মায়ের সাথে তুলনা করেছে। তাছাড়া রাসূল (সঃ) দেশকে অনেক ভালবাসতেন সেটাও আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন । প্রতিটা মানুষ তাদের দেশকে ভালোবাসে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। কিছু কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নিজের দেশকে এবং দেশের মানুষকে বাজেভাবে উপস্থাপন করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে না। তাছাড়া সব দেশেই ভালো খারাপ মানুষ থাকে। একজন খারাপ নিকৃষ্ট মানুষের জন্য পুরো দেশের মানুষ খারাপ হতে পারে না। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে মানুষ এরকম কখনোই করতে পারে না। খুব সুন্দর লিখেছেন আপু। ভালো লাগলো লেখাগুলো পড়ে।
আসলে আপু যারা দেশের বাইরে থাকে তারাই দেশের মর্মটা বুঝতে পারে ।আর আমাদের দেশে যারা রয়েছে তারা অধিকাংশই দেশের খেয়ে পড়ে দেশেরই বদনাম করে। চোখের সামনে কিছু মানুষকে দেখতে পাচ্ছি যারা এই দেশের আলো হাওয়ায় বড় হয়েছে ,এ দেশেরই খেয়ে পড়ে মানুষ হয়েছে, তার পরেও এই দেশেরই বদনাম করে। আসলে এরা হচ্ছে দেশের অকৃতজ্ঞ মানুষ। স্বার্থের জন্য এই সব অকৃতজ্ঞরা এসব করে। মাঝে মাঝে মনে হয় এইসব অকৃতজ্ঞদের দেশ থেকে বের করে দিলে উচিত শিক্ষা হয়। অন্য দেশে যেয়ে তখন বুঝতে পারত দেশের মর্মটা। যাই হোক অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি। আর ভাইয়ার চাচাতো বোন মনে হচ্ছে সত্যি কারের একজন দেশ প্রেমিক মানুষ ছিলেন।ধন্যবাদ।
যে মানুষ নিজের দেশকে ভালোবাসে না, সে মানুষের না নিজের ধর্মের প্রতি প্রেম আছে, না নিজের জাতির প্রতি প্রেম আছে এটাই হওয়া স্বাভাবিক। যে দেশে জন্মালাম, যে মাটির ছোঁয়ায় বড় হলাম,সেই মাটির প্রতি এতোটুকু অনুরাগ না থাকলে, সে মানুষের কারো প্রতি কোনো অনুরাগ নেই। সে কিছুদিন পরে নিজের আপনজনদের আত্মীয়-স্বজনদেরও এক মুহূর্তে ছেড়ে দিতে পারে। আপনার আত্মীয়ার কথা শুনে বেশ ভালো লাগলো। দেশের প্রতি কতটা প্রেম থাকলে যে মৃত্যুর পরেও নিজের দেশেই কবর চায়, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।