ব্যবহৃত-অপ্রয়োজনীয় জিনিসের নতুন রূপ-১
ব্যবহৃত-অপ্রয়োজনীয় জিনিসের নতুন রূপ দেয়া আমার পুরনো অভ্যাস!
প্রথমবার এচিভমেন্ট পোস্ট করবো তাই একটু বেশিই এক্সাইটেড ছিলাম।
নতুন প্লাটফর্ম, নতুন মানুষজন। সমবয়সী, সিনিয়র-জুনিয়র সবাই অপরিচিত। তাই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার পন্থা হিসেবে প্রথম এই কাজটাকেই বেছে নিয়েছিলাম। ভাবলাম সবাই যেটা সাদা কাগজে লিখেছেন সেটাকে আমি আমারমতো করে কাস্টমাইজড করে ফেলি। যদিও এটা পরে জেনেছি এটা সাদা কাগজেই লিখতে হয়।
আমি বরাবরের মতোই এইবারও অপ্রয়োজনীয় কিছু খুঁজছিলাম যেটা সুন্দরভাবে আবার প্রয়োজনীয় করে তুলতে পারি। এটা আমার পুরোনো অভ্যস। অপ্রয়োজনীয় বা ব্যবহৃত কোনো জিনিস-ই আমি ফেলে দেই না। এটাকে নতুন রূপ দেই, নতুন ফ্রেমওয়ার্ক দেই, নতুনভাবে ব্যবহার করি।
টেবিলে বসে ভাবতে ভাবতে চোখ পরলো টেবিলের ২০২৩ সালের স্টেন্ড ক্যালেন্ডারে। তৎক্ষণাৎ একটা পার্ট আলাদা করলাম।
আমার টেবিলের এককোণে প্যাইন্টিং করার যাবতীয় সরঞ্জামাদি থাকো। পড়তে পড়তে যখনই মনে হয় ছবি আঁকি তখনই শুরু করে দেই। যখনই মনে হয়!
রং-তুলি নিয়ে কম্পাসটা পাচ্ছিলাম না। তাই মিনি ট্যারারিয়াম বানানোর জন্য যে কাঁচের জারটা রেখে দিয়েছিলাম সেটা নিয়ে পতাকার মাঝখানের সার্কেলটা টেনে নিয়ে রংয়ের কাজ শুরু করে দিলাম।
এখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ আছে তাই ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের পতাকা আঁকার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং লাল-সবুজে পতাকার সেইপ দাড় করালাম।
তারপর আমারা স্টিমিটের লোগো এবং নাম, যেটা প্রথম স্টিমিটে ডুকতেই চোখে পরে। তারপর নাম এবং দেশের নাম।
কাজ শেষ করে রং শুকানোর সময় না দিয়েই ছবি তুলে পোস্ট করি। কিন্তু এচিভমেন্ট পোস্ট করার নিয়ম অনুযায়ী সাদা কাগজে এটা করতে হয় যেটা আমি পরে জানতে পারি। তাই পরে আবার সাদা কাগজে লিখে পোস্ট ইডিট করি।
আমার অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে আমি এভাবেই যত্নসহকারে দেয়ালে যায়গা করে দেই।
বিঃদ্রঃ "ব্যবহৃত-অপ্রয়োজনীয় জিনিসের নতুন রূপ" নামে আমি আমার আইডিয়গুলো শেয়ার করবো, ইন শা আল্লাহ্।