পদ্মার চরে ঘোরাফেরা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফরিদপুরে এসে পদ্মার চরে ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি করার মুহূর্ত । আমাদের ফরিদপুরে ঘোরার জন্য আমাদের কমন কিছু জায়গা রয়েছে সে জায়গাগুলোতে আমরা সব সময় যাওয়ার চেষ্টা করি আর গেলেও খুব ভালো লাগে । এবার যখন ফরিদপুরে এসেছি তখন মনে মনে ঠিক করেছি যদি সুযোগ হয় তাহলে পদ্মারচর যাবো ।এই জায়গাটা এখন ধলার মোড় হিসেবে পরিচিত । এই জায়গাটা গেলে আমাদের কাছে খুব ভালো লাগে তাই মনে মনে এই জায়গাটাকে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা রেখে ছিলাম ।
এবার যেহেতু ফরিদপুরে অল্প সময়ের জন্য এসেছি তাই তেমন একটা কোথাও যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি । আসতে না আসতেই কোথা দিয়ে যে সময়টা চলে যাচ্ছে টেরই পেলাম না । আর মাত্র দুদিন এখানে রয়েছি । আসার পর দিনই আমরা ঠিক করলাম বাইরে একটু ঘুরতে যাব তাই যথারীতি আমি আর আমার ছেলে রেডি হয়ে চলে গেলাম ছেলের চাচা বাড়িতে ।সেখান থেকে ওর চাচা চাচি ও চাচাতো ভাইদের কে নিয়ে আমরা চলে গেলাম ঘোরার জন্য । সেখানে যাওয়ার আগে মনে মনে ঠিক করেছিলাম যে নৌকায় চড়বো । যখন আমরা সেই রাস্তা দিয়ে যাই চারদিক দিয়ে শুধু বালি উড়ছিল একেবারে একাকার অবস্থা হয়ে গিয়েছিল । আমরা যখন বাসা থেকে বের হয়েছি তার একটু পরে বাতাস শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে চারিদিকে ধুলাবালি আমাদেরকে একেবারে ভরিয়ে দিচ্ছিল । তারপরও অনেকদিন পরে এরকম খোলামেলা পরিবেশে ঘুরতে ভালোই লাগছিল ।
আমি সেখানে গিয়ে তো একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছি । পদ্মা নদীতে যেখানে থৈ থৈ পানি থাকে সেখানে এবার গিয়ে দেখলাম যে কোথাও পানির কোন ছিটে ফোটাও নেই শুধু বালু আর বালু । ওই তার ভেতরেই একেবারে লোকজনের কোন কমতি দেখতে পেলাম না । মানুষজন আসলে ঘুরতে খুব পছন্দ করে তাই যেখানে একটু ঘোরার পরিবেশ পাক না কেন সেখানে ছুটে যায় সবাই । আমাদেরও সেখানে গিয়ে খুব ভালো লাগলো । আমরা পদ্মার মাঝখানে চড় যেখানে চর জেগেছে সেখানে চলে গেলাম হাঁটতে হাঁটতে । সেখানে গিয়ে দেখলাম যে শুধু বালু এবং সেই বালুর ভিতরে হাঁটতে হাঁটতে আমরা বেশ খানিকটা দূরে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমরা কিছু সময় দাঁড়িয়ে ফটোসেশন করলাম এবং আশেপাশের কিছু ছবিও তুলে নিলাম ।
আশেপাশের সীমানার ভেতরে কোন পানির চিহ্ন দেখতে পেলাম না । পানি দেখতে হলে আমাদেরকে আরো অনেক দূর পর্যন্ত হাঁটতে হাঁটতে যেতে হবে । আমরা বাচ্চাদেরকে নিয়ে গিয়েছিলাম যার কারণে ওই ধুলাবলির ভিতরে খুব একটা দূরে গেলাম না । আমি ভেবেছিলাম এই সময় পদ্মা নদীতে পানি হয়তোবা কম থাকবে কিন্তু একেবারেই যে পানি থাকবে না সেটা আমি কখনো কল্পনাই করতে পারিনি । পানি তো কোথাও খুঁজেই পেলাম না এতটা পরিমাণে শুকিয়ে গিয়েছে । এখন এই জায়গাগুলো বিক্রি হচ্ছে খুব অল্প দামে । কেউ যদি ইচ্ছা করে কিনে নিতে পারে আবার দেখা গেল কিছুদিন পরে নদীর অথৈ পানিতে তলিয়ে গিয়েছে । এই জায়গাগুলো কিনে আসলে কোন লাভ নেই । একটা সময় মানুষের অনেক ঘরবাড়ি ছিল যেগুলো পদ্মা নদীতে ভেঙে গিয়েছে । সেই লোকজনগুলো এখন বিভিন্ন জায়গায় ঘর বাড়ি উঠিয়ে বসবাস করছে । পদ্মা নদীর তীরে কোন ঘরবাড়ি থাকলে সেসব ঘর বাড়ি নদীর ভাঙ্গনে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনায় বেশি থাকে ।
এইসব জায়গা গুলো এখন ঘোরাফেরা করার জন্য উপযুক্ত জায়গা । যখন পানি থাকে তখন নৌকা নিয়ে ঘুরতে খুব ভালো লাগে । গতবারও এসে আমরা নৌকায় করে অনেক দূর পর্যন্ত ঘুরিছি । আর এবার গিয়ে কোন পানি দেখতে পেলাম না । এই পদ্মার চরকে ঘিরে এখানে বিভিন্ন দোকানপাট তৈরি হয়েছে বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে খাবার দাবারের অনেক দোকান রয়েছে । অন্য কোন দিন বাচ্চাদের খেলনার আইটেম নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy

নদীর পাড়ে বা আশে পাশে বাড়ি হলে নদীর সুন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর যে সময় পানি শুকিয়ে যায় তখন নদীর চরে ঘোরাফেরা করা যায়,সময় কাটানো যায়। আপনার ফটোগ্রাফি ও বর্ণনার মাধ্যমে জানতে ও দেখতে পারলাম অনেক মানুষ চরে ঘুরতে এসেছে। জায়গাটা সত্যিই অনেক সুন্দর । ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ।
পদ্মার চরে দেখছি এখনো অনেক লোক ঘোরাফেরা করছে ।যদিও আমি গিয়েছিলাম যখন পানি ছিল তখন ।চর জাগার পর আর যাওয়া হয়নি। এখন প্রচন্ড গরম যার কারণে ওই দিকে যাওয়ার কথা ভাবতেই ভয় লাগছে ।তারপরেও আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
এখনকার কোন নদীই আসলে আর আগের মত নেই আপু। অধিকাংশ নদী প্রায় শুকিয়ে গেছে। তবে আমারও আসলে মনে হয় এসব জায়গায় জমি কিনে বিশেষ কোনো লাভ হবে না। যাইহোক, আপনারা সবাই মিলে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, সেটা জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। যদিও বালুর ভিতর ঘুরাঘুরি করতে আমার খুব বেশি একটা ভালো লাগেনা।
মনে হয় তাই এখন তো যে পরিমাণ রোদ পড়েছে নদী শুকানোরই কথা । আবার বর্ষার সময় গেলে তখন পানি থাকে দেখতে ভালো লাগে ।
হ্যাঁ আপু, ঠিক কথা বলেছেন। সত্যি কথা বলতে, বর্ষার সময় এসব জায়গার সৌন্দর্য অনেক গুণ বেড়ে যায়।