আবহাওয়া নিয়ে দুঃসংবাদ, আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ; বিস্তারিত জেনে নিন
মৌসুমি লঘুচাপের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিলেও, দেশের উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, খুলনা বিভাগেও শুরু হবে।
আর জানুয়ারিতেই দেশের ওপর দিয়ে হালকা থেকে তীব্র কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১টি মাঝারি (৬ ডিগ্রি-৮ ডিগ্রি সে.), ১টি তীব্র (৪ ডিগ্রি-৬ ডিগ্রি সে.) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ, অন্যত্র ২ থেকে ৩টি মৃদু (৮ ডিগ্রি ১০ ডিগ্রি সে.) বা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এরইমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে গেছে। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় তামপাত্রা সবচেয়ে নিচে নেমেছে তেঁতুলিয়ায়। সেখানে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে জানুয়ারিতে ঘন কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কাও করছে সংস্থাটি। এক মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কখনও কখনও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
জানুয়ারিতে দেশের সার্বিক বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক থাকবে। দৈনিক গত বাষ্পীভবন হবে ২ দশমিক ২৫ থেকে ৩ দশমিক ২৫ মিলিমিটার। আর সূর্যকিরণের কার্যকাল বেড়ে হবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।
আবহাওয়া অধিদফতর অন্য এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। আর উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
আবহাওয়ার গতি প্রকৃতির এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় এবং সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের