কোটা আন্দোলন
আসসালামু আলাইকুম,,
এখন আপনারা তো দেখতে পাচ্ছেন।বর্তমানে কোটা আন্দোলন এর জন্য চারিদিকে শুধু হাহাকার শুনেছি।
ChatGPT 3.5
Log in
কোটা আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
ChatGPT
কোটা আন্দোলন: বিস্তারিত তথ্য
পটভূমি:
কোটা আন্দোলন মূলত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন, যা কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শুরু হয়। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটা ব্যবস্থা থাকায়, এই ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল।
কোটা ব্যবস্থা:
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সাধারণত চার ধরনের কোটা ব্যবস্থা বিদ্যমান:
জন্মগত কোটা: মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য।
স্থানীয় কোটা: পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের জন্য।
বর্ণ ও উপজাতি কোটা: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর জন্য।
মহিলা কোটা: নারীদের জন্য।
আন্দোলনের সূচনা:
২০১৮ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনটি দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং ছাত্র সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে।
প্রধান দাবিসমূহ:
কোটার পরিমাণ কমানো।
কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার দাবি।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং Merit ভিত্তিক নির্বাচন।
প্রতিক্রিয়া:
সরকারInitially আন্দোলনকারীদের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানায়, কিন্তু আন্দোলন তীব্র হলে সরকার এক পর্যায়ে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের ঘোষণা দেয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সরকার কোটার সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং কিছু পদে সম্পূর্ণ কোটা বাতিল করার কথা বলা হয়।
মাথাব্যথা:
আন্দোলন চলাকালীন সময় ছাত্রদের উপর পুলিশি হামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি ঘটেছিল, যা আন্দোলনকে আরও সহিংস করে তোলে। প্রতিবাদকারীরা রাস্তা অবরোধ ও মানববন্ধন করে তাদের দাবি তুলে ধরে।
ফলস্বরূপ:
আন্দোলনের ফলে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার কোটা সংস্কারের প্রস্তাব দেয়, কিন্তু বাস্তবে তার প্রভাব ও কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকে।
বর্তমান অবস্থা:
বর্তমানে কোটা আন্দোলনের সাপেক্ষে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান। কিছু অংশ কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিলের পক্ষে, আবার অনেকে যুক্তিসঙ্গত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন।
উপসংহার:
কোটা আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং চাকরির ক্ষেত্রে ন্যায্যতার দাবিতে এক নতুন উদ্যম তৈরি করেছে।