আকাশভ্রমণে ভয় কেন?
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মারাত্মক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর অনেকের মনেই আকাশপথে ভ্রমণে ভয় কাজ করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আকাশপথে ভ্রমণ নিরাপদ। প্রকৃতপক্ষে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আশঙ্কা খুব কম। যেমন ২০১৭ সালে ৪১০ কোটি মানুষ আকাশপথে যাত্রা করেছেন, কিন্তু গত বছরে একটিও বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। তবে একেবারেই যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে না, তা নয়।
ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৭ সালে স্পেনের টেনেরিফে। ওই দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন মারা যান। দুটি বিশাল বিমানের রানওয়েতে সংঘর্ষের কারণে এত মানুষ মারা যান। ইকোনমিস্টের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র প্রতি আট ঘণ্টায় ওই পরিমাণ মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর চেয়ে বেশি মানুষ রাস্তা পারাপারে বা বজ্রপাতে মারা যান।
বিমান সংস্থা বোয়িংয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব ধরলে টানা ৩৯৮ দিন যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। এতে ২০১৭ সালটিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে নিরাপদ বছর বলা যায়।
২০১৭ সালের বিমানের মডেল ও দুর্ঘটনার হিসাব করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বোয়িং। ওই প্রতিবেদনে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ও সাধারণ দুর্ঘটনাও হিসাবে ধরা হয়েছে। ১৯৫৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক বিমানের হিসাব ধরে দেখানো হয়েছে, এ সময় মোট ১ হাজার ৪২৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বোয়িংয়ের প্রতিবেদনে সবচেয়ে নিরাপদ বিমান হিসেবে তালিকায় রাখা হয়েছে বোয়িং ৭৮৭, বোমবারডায়ের সিআরজে ৭০০ / ৯০০ / ১০০০, এয়ারবাস এ৩২০ / ৩১৯ নিও, বোয়িং ৭১৭, এয়ারবাস ৩৮০, বোয়িং ৭৪৭-৮, বোমবারডায়ার সি-সিরিজ, এয়ারবাস এ ৩৫০, এয়ারবাস এ-৩৪০।
গত বছরের নভেম্বরে এয়ারলাইন র্যাংকিংস নামের বিখ্যাত একটি ওয়েবসাইট নিরাপদ এয়ারলাইনসের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় রয়েছে এয়ার নিউজিল্যান্ড, আলাস্কা এয়ারলাইনস, অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ক্যাথি প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজ, ইভিএ এয়ার, ফিন এয়ার, হাওয়াই এয়ারলাইন্স, জাপান এয়ারলাইনস, কেএলএম, লুফথানসা, কোয়ান্টাস, রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইনস, স্ক্যানডিভিয়ান এয়ারলাইন সিস্টেম, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, সুইস, ভার্জিন আটলান্টিক ও ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া।