স্মার্টফোনের দুনিয়ায় বড় ১০টি ঘটনা |
স্মার্টফোনের দুনিয়ায় বড় ১০টি ঘটনা |
স্মার্টফোন এখন সব জায়গাতেই আছে। এবং আপনার জীবনকে ভালো করার জন্য যে কোনো কিছু এবং সবকিছুই করছে।
এখন স্মার্টফোনহীন দুনিয়ার কল্পনাও যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই না? আপনি কোথায় খাবার পাবেন? কীভাবে একটি ক্যাব ভাড়া করবেন? অথবা সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট করে কীভাবে অন্যদেরকে ঈর্ষান্বিত করবেন? তার সবই করছে স্মার্টফোন। কি নতুন কি পুরাতন সব প্রজন্মের লোকদেরই জীবন এখন অচল স্মার্টফোন ছাড়া।
এহেন স্মার্টফোনের সঙ্গে বিশ্বকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আইবিএম। সেই ১৯৯২ সালে। আজ থেকে ২৫ বছর আগে। তবে ফোনটি বাজারে ছাড়া হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। এর নাম ছিল সিমন।
এটি ছিল একটি সেল ফোন এবং পিডিএ বা পারসোনাল ডিজিটাল অ্যাসিসটেন্ট।
দাম ছিল ৮৯৯ মার্কিন ডলার। এতে ছিল ৪.৫ ইঞ্চির মনোক্রোম এলসিডি স্ক্রিন। এতে ফ্যাক্স ও ইমেইল গ্রহণ-প্রেরণ করা যেত। এছাড়া এতে নোট রাখার কাজ করা যেত। সেসময় অবশ্য অ্যাপ বলা হতোনা কোনো ফিচারকে।
১৯৯৬ সালে নোকিয়াও স্মার্ট হয়ে উঠল। এমন একটি ফোন বাজারে আনল নোকিয়া যাতে ছিল একটি কোয়ার্টি কিবোর্ড এবং একটি এলসিডি স্ক্রিন। এতে ছিল ৮এমবি র্যাম আর ৩৩ মেগাহার্টজ এর প্রসেসর। সেসময়ের সবচেয়ে ক্ষমতা সম্পন্ন ফোন ছিল এটি। এতে মাইক্রোসফট অফিস ফাইল পড়া এবং এডিট করা যেত। তবে স্ক্রিনটি ছিল সাদা কালো।
২০০০ সালে জাপানের শার্প নামের একটি কম্পানি প্রথম ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ফোন বাজারে আনল। তবে জে-এসএইচ০৪ নামের ওই ফোনটি শুধু জাপানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তথাপি স্মার্টফোনের ইতিহাসে বড় একটি উল্লম্ফন ঘটিয়েছিল ওই ফোন।
২০০০ সালেই বাজারে প্রথম ‘স্মার্টফোন’ আনে সনি এরিকসন। আর৩৮০ নামের ফোনটিই বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এতেই প্রথম সিমবিয়ান ওএস ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এতে পিওপি৩/আইএমএপি ইমেইল, ক্যালেন্ডার, নোটস এবং ইন্টারনেট সংযোগও ছিল।
২০০২ সালে হাতের মুঠোয় চলে আসে বিশ্ব। বাজারে আসে পাম ট্রিও ২৭০। যাতে রঙিন স্ক্রিন ছিল। সহজেই ইমেইল পাঠানো যেত। এছাড়া ১৬ মেগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরি ছিল। ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের মতোই একে বলা হত পামটপ।
২০০৩ সালে ব্ল্যাকবেরি কোয়ার্ক নিয়ে এল প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ভয়েস কলিং। এরপর ব্ল্যাকবেরি আরো স্মার্টফোন বানিয়ে যেতে থাকল।
২০০৭ সালে অ্যাপল দুনিয়াকে বদলে দিল চিরতরে। স্টিভ জবস আইফোনের মোড়ক উন্মোচন করলেন। এমন জিনিস এর আগে কেউ দেখাননি। আকর্ষণীয় ডিজাইন, ব্যবহার করা সহজ এবং টাচ স্ক্রিন ছিল এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। যোগাযোগের দুনিয়াকে চিরতরে বদলে এই ফোন।
অ্যান্ড্রয়েড আসল ২০০৮ সালে। এইচটিসি ড্রিম ছিল প্রথম ফোন যাতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত করা হয়। লিনাক্স ভিত্তিক ছিল সেই ওএস। যাকে পরে গুগল কিনে নেয় এবং আরো উন্নত করে। এই ফোনটিতেই প্রথম কপি পেস্ট, পুল ডাউন নোটিফিকেশন এবং হোম স্ক্রিন উইডগেটস এর মতো ফিচার আনা হয়। গুগলের ফোন হওয়ায় এতে জিমেইল এবং ম্যাপসও ছিল।
২০১০ সালে এসে শুরু হয় স্যামসাং বনাম অ্যাপল সাগা। গ্যালাক্সি এস স্মার্টফোন দিয়ে অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করে স্যামসাং। ৫এমপি ক্যামেরা ও সুপার অ্যামোলেড টাচস্ক্রিন ছিল এতে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস দিয়েই স্মার্টফোনের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সুচনা করে স্যামসাং।
২০১৩ সালে শুরু হয় চীনা আগ্রাসন। আরো আগে থেকেই চীনারা স্মার্টফোন বানাচ্ছিল তবে এই বছরে এসেই হুয়াওয়ে এবং জেডটিই যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব বাজারে প্রবেশ করে। এরপর আসে শিয়াওমির মতো বড় কম্পানি। এশিয়ার বাজার দখল করে নেয় চীনারা।
Useful post
Ami vote dilam please apni amake vote den.
Ami vote dilam please apni amake vote den.