ওজন কমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ কী না জানায়? অনেকে আছেন, যাঁরা দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি খবরই পোস্ট করেন ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ সাইটে। গবেষকেরা বলছেন, ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানানোয় আখেরে লাভই হয়। এতে করে ঝরে যেতে পারে আরও কয়েক কেজি ওজন!
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভার্চ্যুয়াল সম্প্রদায় বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে কাজ করেছেন। এতে দেখা গেছে, একজন মানুষ যখন তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেন, তখন ওই লক্ষ্য অর্জনের তাড়না বেড়ে যায়। দৈহিক ওজন কমানোর ব্যাপারে ভার্চ্যুয়াল জগতে করা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বেশি তৎপর হওয়ার কারণে সত্যি সত্যিই ওজন কমে যায় কয়েক কেজি।
গবেষক দলের সদস্য ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সহকারী অধ্যাপক টোনিয়া উইলিয়ামস ব্রাডফোর্ড বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে ওই সব ব্যক্তিই ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন করতে বেশি সফল হন, যাঁরা জনসমক্ষে এ বিষয়ে ঘোষণা দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের সফলতার খবর জানানোর অভ্যাস যাঁদের আছে, তাঁদের সফলতার হার বেশি থাকে। বিশেষ করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি আরও বেশি কার্যকর।’
গবেষণায় চার বছর ধরে ওজন কমানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি গোষ্ঠীর কাজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দেখা গেছে, এই দুটি গোষ্ঠীর সদস্যরা ভার্চ্যুয়াল সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়ে ওজন কমাতে বেশি উৎসাহিত হন। ব্রাডফোর্ড বলেন, ‘জনসমক্ষে প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষার একটি বিষয় সামনে চলে আসে। অনেকেই নিজেদের ওজন কমানোর পুরো পরিকল্পনাই অনলাইনে প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে ভার্চ্যুয়াল জগতের সদস্যরা একে-অন্যকে উৎসাহ দেন। এটি একজন ব্যক্তির সামাজিক অবস্থানের সঙ্গেও সম্পর্কিত। কারণ, প্রতিশ্রুতি রক্ষার মধ্য দিয়ে অনেকে নিজেদের ভাবমূর্তি ভালো রাখার চেষ্টা করেন।’
জার্নাল অব ইন্টারেকটিভ মার্কেটিংয়ে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই পুরো প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে একটি সম্প্রদায় গড়ে ওঠে বা সম্প্রদায়ের মধ্যকার বন্ধন শক্তিশালী হয়। একই সঙ্গে এটি সম্প্রদায়ের সদস্যদের দায়িত্বশীল করে তোলে।