Better life with steem || The Diary Game ||01 October 2024 ||
আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি এ প্লাটফর্মের সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। প্রতিদিন এর মত সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে ওযু করে নামাজ পড়ে আবার একটু কিছুক্ষণের জন্য শুয়ে পড়েছিলাম। পরবর্তীতে প্রায় সকাল ছয়টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে রান্না ঘরে চলে যায় সকালে নাস্তা বানানোর জন্য। তো আজকে সকালে রান্না করেছিলাম ভাত, কচুর মুখী ভর্তা, বৈশাখ আর চিংড়ি শুটকি ভর্তা। আর আমার মেয়ের জন্য রান্না করেছিলাম নুডুলস।
প্রতিদিন তার খাবারে কিছু না কিছু পরিবর্তন আনি, নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি। যেহেতু আমরা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান তাই হয়তো সেই ভাবে আমরা এক্সপেন্সিভ খাবারগুলো প্রতিদিন বাচ্চাকে দিতে পারি না।তবে অন্যসব বাবা মায়েদের মত নিজের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারি দেওয়ার চেষ্টা করি । তো নুডুলস খাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে প্রায় দুই ঘন্টা পরে সে দুই তিন পিস কেক খেয়েছিল। যার কারনে সকালে এবং দুপুরে মাঝামাঝি সময়টাকে তাকে আর অন্য কিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন পড়ে নেই।
দুপুর বারোটা নাগাদ আমি আমি আমার মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে রান্না করতে চলে চাই। তো আজকে রান্নার জন্য বাসায় তেমন কিছু ছিল না। তাই ডিম আর আলু দিয়ে একটা তরকারি রান্না করি আর সাথে দেশে ছোট পুটি মাছ ভাজি করি। এরপরে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে নেই। আমার হাজবেন্ড দুটো সময় বাসায় আসার পরে তাকে সাথে নিয়ে এবং পরিবারের অন্য সকল সদস্যদের সাথে নিয়ে প্রতিদিনকার মতো দুপুরের খাবার শেষ করি।
আজকে বিকালটা একটু অন্যরকম ছিল। আমার এক ননদ এসেছিল কিছু সুতি গজ কাপড় নিয়ে। এরপর বলল একটা প্লাজো কাটিং করে দিতে আমি যেরকম প্লাজু ইউজ করি আর কি। পরে তাকে প্লাজো কাটিং করে দিয়েছি। সচরাচর কোন দরকার না থাকলে সে আমার কাছে বেশি আসে না।স্টুডেন্ট মানুষ বেশি সময় পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সে আবার চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করছে। এজন্য বিভিন্ন বই সে পড়ে। তার কাছ থেকে চাকরি বিষয়ক অনেক বই আমি নিয়ে পড়েছি।আমার ননদ দেখতে শুনতে ভাল এবং বুদ্ধিও আছে মাশাল্লাহ। ইদানিং তার বিয়ের কথাবার্তা চলছে।
তো সে যাওয়ার সময় আমার বেবিকে সাথে করে নিয়ে গেছিল খেলার জন্য বিকেল বেলা। এই ফাঁকে আমি বিকেলে টুকটাক কিছু কাজ সেরে ফেলি। যেমন রোদে কাপড় শুকাতে দিয়েছিলাম সেগুলো তুলি,কিছু হাঁসের বাচ্চা আছে এগুলোকে তাদের ঘরে তুলি, ঘরগুলো পরিষ্কার করি ঝাড়ু দিয়ে, ঘরে কিছু খাবার পানি নিয়ে রাখি, সাথে আমার বাচ্চার জন্য রাতের খাবারটা নিয়ে যাই ঘরে। আমার কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমার ননদ আমার বাচ্চাকে নিয়ে চলে আসে।
তো সন্ধ্যার পরে আমার বাবুকে খাওয়াই।এবং কিছুক্ষণ খেলাধুলা করার পর সে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর আমিও চাকরির বই গুলো নিয়ে বসে পড়ি পড়ার জন্য।
আজকে আর লিখছি না। এখানে সমাপ্তি করছি আমার লেখা। সবাই ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।