মূল্যহীন অমূল্য ০৬
সেখান থেকে বিদায় নিয়ে গিয়েছিলাম পাহাড়ি ঝরনা দেখতে। আর গ্রাম থেকে আগেই বিদায় নিয়ে এসেছি। যদিও সেখানে থাকার ইচ্ছে ছিলো দুজনারি তাও চলে এসেছি। দিনটা পরিষ্কার ছিল।পাহাড়ি মনোরম দিন যেন সোনায় সোহাগা। জানিনা কখনো সেখানে ফিরতে পারবো কিনা। আসার সময় আদিবাসীদের কাছে উপহার পেয়েছি প্রচুর। তারা শুধু দিয়েই যাচ্ছিলো কিন্তু বহন করার ক্ষমতা বেশি ছিলোনা দুজনের। কিছু গ্রহণ করার ইচ্ছেও ছিলোনা তবে অগত্যা কিছু না নিয়ে পারলাম না। পেয়েছি সময়ের ব্যবধানে মূল্যবান অনেক কিছু। যা কখনো ভুলবো না। চন্দন কাঠের তৈরি বরবধূর পুতুল পেয়েছিলাম হিয়া আর আমি।কনেবউ এখনো আমার কাছে আছে। আর যা আছে সবি স্মৃতি।
পাহাড়ি নদী বেয়ে ঝরনা দেখার পথটা মোটেও সহজ ছিলোনা। কিন্তু ঝরনা আমরা দেখেছি একসাথে। দেখেছি রঙিন পাখপাখালি, পতঙ্গ, একটা গেছো সাপ, পাহাড়ি নদীর মাছ আরো কত কি।হিয়া সাপকে অনেক ভয় পায়।ও ভীষণ ভয় পেয়ে গেছিলো। যা দেখে অনেক হেসেছিলাম। কিন্তু কাজটা ঠিক হয়নি আমি জানতাম । ও একটু রাগ করেছিলো। সহসাই আমি তার ক্ষমা প্রার্থনাকারীতে পরিণত হোলাম।ঝরনা দেখে কিছুটা অভিমান কমেছিল অবশ্য।বেলা গড়িয়ে চলছে আপন গতিতে।ঝরনার মায়া ত্যাগ করে সমুদ্র খোজার নেশায় মেতে উঠলাম। তবে হাটতে হবে অনেক। কিন্তু মুক্তির স্বাদ না নিয়ে কি পারা যায়।বুনো ফলের মধুতে নিজেকে ভিজিয়ে আবার যাত্রা শুরু। খাওয়ার উপযোগী বুনো ফল চিনিয়ে দিয়েছিল আদিবাসী ছেলেরা। তবু হিয়ার মনে শঙ্কা ছিলো যদি তা খেয়ে কেউ মারা যায়। যদি তা বিষাক্ত হয়।এজন্য মিথ্যা নাটকে মেতেছিলাম আমি।একটা বুনো ফল গাছ থেকে পেরে আমি আগে খেয়ে দেখেছিলাম। খাওয়ার পরে প্রলাপ বকে গলায় হাত দিয়ে পাথরের উপরে শুয়ে পড়েছিলাম। তারপর তো বুঝতেই পারছেন কি হতে পারে।অভিমান যাও কমেছিল তাও বেড়ে সীমাহীন।
সব বাঁধা পেরিয়ে অবশেষে সমুদ্রকে পেয়েছিলাম।হয়ত পেয়েছিলাম মুক্তিকে ,হয়তবা না। কিন্তু তখন তা মাথায় আসেনি সমুদ্র পাওয়ার আনন্দে।এদিকে বেলা গড়িয়ে বিকেল হয়েছে। শীতল সাগর জলে নিজের জড়তাকে ধুয়ে ফেলার বৃথা চেষ্টা করলাম। দেহের জড়তা হয়ত মুছেছে কিন্তু মনের? জানিনা কিছু জানিনা। হিয়া পাশ থেকে বারণ করছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। পাগলামির পাঠটা চুকিয়ে দুজনে খালিপায়ে সাগরতীর ধরে ভেজা বালিতে অনেকদূর হাটলাম।সন্ধে হয়ে গেছে ফিরতে হবে নিজ নীড়ে। মনে হচ্ছিল দুজন এখান দুই মেরুতে চলে যাচ্ছি। অজানা শক্তি দুজনকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু যেতে তো হবেই। একটা শঙ্খ পেয়েছিলাম সাগরতীরে। চলে যাওয়ার সময় এটা ছাড়া আর কিছু দেওয়ার ছিলোনা হিয়াকে।তাই দিয়ে কিছু দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও শঙ্খটা নিয়েছে আর বলেছে সবসময় তা যত্নে রেখে দেবে।আর ও আমাকে দিয়েছিল কিছু কবিতা। যা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা। যা কখনো ভুলতে পারবো না।
আপনার পোষ্টটি খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। গল্পটি পড়ে খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য।
Congratulations! This post has been upvoted from the communal account, @minnowsupport, by rakibmaruf24 from the Minnow Support Project. It's a witness project run by aggroed, ausbitbank, teamsteem, theprophet0, someguy123, neoxian, followbtcnews, and netuoso. The goal is to help Steemit grow by supporting Minnows. Please find us at the Peace, Abundance, and Liberty Network (PALnet) Discord Channel. It's a completely public and open space to all members of the Steemit community who voluntarily choose to be there.
If you would like to delegate to the Minnow Support Project you can do so by clicking on the following links: 50SP, 100SP, 250SP, 500SP, 1000SP, 5000SP.
Be sure to leave at least 50SP undelegated on your account.
You have been defended with a 13.65% upvote!
I was summoned by @rakibmaruf24.
You got a 10.51% upvote from @moneymatchgaming courtesy of @rakibmaruf24! Please consider upvoting this post to help support the MMG Competitive Gaming Community.
This post has received a 2.37% upvote from thanks to: @rakibmaruf24!!!
For more information, click here!!!!
If you use our Robot before your post has 1 day and get an Upvote greater than 1%, you will automatically receive Upvotes between 1% and 10% as a bonus from our other robots.