দেনা পাওনা নাটক সিরিজ রিভিউ।। এপিসোড ৭-৮।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে চলে এলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে দেনা পাওনা নাটক সিরিজের সপ্তম ও অষ্টম এপিসোডের রিভিউ শেয়ার করবো। নাটকটি মোটামুটি ভালোই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নাটকের কমেন্টগুলো পড়লে সে বিষয়টা বুঝা যায়। কিছু কমেন্ট পড়লাম তার মধ্যে একটি কমেন্ট ছিল নাটকের এপিসোড বন্ধ করলে আন্দোলন শুরু হবে। এই কমেন্টের মাধ্যমে বুঝা যায় দর্শকরা এই নাটকটিকে খুবই পছন্দ করেছে। বাস্তব জীবনের ঘটনাবলী উল্লেখ করে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।
নাটকের প্রয়োজনী কিছু তথ্য
নাটকের নাম:- দেনা পাওনা
পরিচালনাঃ- কে এম সোহাগ রানা
প্রযোজক:- সোহাগ তালুকদার
অভিনয়েঃ- শহিদুজ্জামান সেলিম, অ্যালেন শুভ্র, ডা. এজাজুল ইসলাম, শিল্পী সরকার অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, সুষমা সরকার, মুসাফিরে সৈয়দ বাচ্চু, সোহাগ খান, এমএনইউ রাজু, এবি রোকন, তানজিম হাসান অনিক, তাবাসসুম জাসান ছৈয়া, সুবহানা, তানজিম হাসান সহ আরও অনেকে।
মুক্তির তারিখঃ- ২৬শে নভেম্বর ২০২৪
সময়ঃ- দুটি এপিসোড ৪০ মিনিট
দেশঃ- বাংলাদেশ
ভাষাঃ- বাংলা।
সংক্ষিপ্ত রিভিউ-
গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম খাইরুল তার বাবার সাথে ঘুমাতে পারছিল না। আবার বড় ভাই শহীদের সম্মানের দিকে তাকিয়ে দারোয়ান গফুর চাচার সাথেও ঘুমাতে পারছিল না। যার ফলে সে সিদ্ধান্ত নিল, সে সারা রাত ছাদে কাটিয়ে দিবে। খাইরুল কে বাসায় দেখতে না পেয়ে নিপা খাইরুলকে খুঁজতে খুঁজতে ছাদে চলে যায়। সেখানে সে খায়রুলের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। তারপর রাতের বেলা খাইরুলকে নিয়ে যখন বাসায় ফেরে তখন খাইরুলের ভাবি বিষয়টাকে নেগেটিভ ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করে। নিপার মা নিপাকে একটি থাপ্পর মারে, অন্যদিকে খাইরুল এর বাবা খাইরুলকেও একটি থাপ্পড় মারে। কিন্তু খাইরুলের ভাবি এই বিচারে সন্তুষ্ট না হয়ে সে বলে বাড়িটা নাকি নোঙ্গরখানা হয়ে গেছে। এই কথাটি শহিদুজ্জামান এর সম্মানে আঘাত লাগে। যার ফলে সে রাতের বেলায় তার স্ত্রী এবং ছেলে খায়রুলকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। যাওয়ার সময় গফুর মিয়ার সাথে দেখা হলেও কোন কিছুই গফুর মিয়াকে বলে না।
রাতের বেলা রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেও ঢাকা শহরে তাদের থাকার মত আর দ্বিতীয় কোন ঠিকানা ছিল না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে এক রিক্সাওয়ালা তাদেরকে দেখে এগিয়ে আসলো। এসেই শহিদুজ্জামানকে সালাম দিয়ে বলে স্যার আমি আপনার ছাত্র। আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন আমি আপনার কাছে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়েছিলাম। তারপর শহীদুজ্জামান হোসেনকে অনেক সুন্দর করে বেশ কিছু উপদেশ দেয়। হোসেন জিজ্ঞেস করে স্যার আপনি কোথায় যাবেন..? চলেন আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আসি। কিন্তু শহীদুজ্জামান তার ছাত্রের কাছে পারিবারিক কোনো বিষয় শেয়ার করতে চাচ্ছিল না, আবার তার কোথাও যাওয়ার জায়গা ও ছিল না। হোসেন বিষয়টি বুঝতে পেরে সবাইকে নিয়ে বস্তিতে তার বাসায় চলে যায়।
বস্তিতে তাদের থাকতে কিছুটা কষ্ট হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের কাছে আর কোন রাস্তা খোলা ছিল না। খাইরুল হোসেনকে বলে তাকে একটি রিক্সা ম্যানেজ করে দিতে। সে রিকশা চালাতে চাই। পরের দিন থেকে খাইরুল নিজেই রিক্সা চালানো শুরু করে। অপরদিকে শহীদের বাবা-মা ও ভাই বাসা ছেড়ে চলে আসলেও শহীদের বউয়ের সাথে তার প্রায় ঝগড়া হয়। কিন্তু শাশুড়ি বিষয়টা মিটমাট করে দেয়। এদিকে শহীদুজ্জামান পরের দিন নিজেই বৃদ্ধ বয়সে কাজের জন্য বের হয়। কারণ ঢাকা শহরে থাকতে হলে অনেক খরচ বহন করতে হবে। সেজন্য তিনি কর্মসংস্থানের জন্য বের হয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে শহীদুজ্জামানের আরেক ছাত্রের সাথে দেখা হয়। যে ঢাকা শহরে বর্তমানে ভালো অবস্থানে রয়েছে। সে আশ্বাস দেই খাইরুলকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে।
অপরদিকে নিপা আবার খাইরুলকে খুঁজতে খুঁজতে খাইরুলের গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরে চলে যায়। কিন্তু গ্রামে গিয়ে দেখে খাইরুল এবং তার বাবা-মা কেউ শ্রীপুর গ্রামের বাড়িতে যায়নি। তাছাড়া গ্রামের বাড়ি মেম্বারের কাছে বন্দক দেওয়া। নিপাকে মেম্বার বলেছে সে নাকি খাইরুলদের বাড়িতে একটি গরুর খামার করবে। নিপা সকালবেলা বাসা থেকে বের হয়েছিল। তাকে আবার না পেয়ে ফ্যামিলির সবাই টেনশন এর মধ্যে পড়ে গিয়েছিল।
নিপা গ্রামের বাড়ি শ্রীপুর ঘুরে এসে তার দুলাভাই সহ পরিবারের সবাইকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেছে। যে খাইরুন সহ আঙ্কেল আন্টি কেউ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়নি। তারা ঢাকা শহরে কোথাও রয়েছে। শহীদের শাশুড়ি শহীদ কে বলেছে তাড়াতাড়ি যেন তার বাবা মাকে খুঁজে বের করে। শহীদের বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে যায়নি এই খবর শুনে শহীদ কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এবং সে তার ভুল বুঝতে পারে। শহীদুজ্জামান তাকে বারবার বলার চেষ্টা করেছে তাদের বাড়িটা মেম্বার এর কাছে বন্ধক রয়েছে। আর সেই বন্ধুকের টাকা শহীদকে দিয়েছিল ব্যবসা করার জন্য। এখন দেখা যাক পরের পর্বে শহীদ তার বাবা মা ও ভাইয়ের জন্য কি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করে।
মতামত-
এই দুইটি পর্বের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম নিপা এবং খাইরুলের ছোট্ট একটি ভুলের কারণে শহিদুজ্জামান ও তার ফ্যামিলি অপমানিত হয়েছে। সেই সাথে তাদের বাসা ছাড়তে হয়েছে। অন্যদিকে দেখা যায় নিজের ছেলের বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেও নিজের এক গরিব ছাত্র তাদেরকে ঠিকই আশ্রয় দিয়েছে। নিজের ছেলে বাবার সমস্যা না বুঝলেও ছাত্র ঠিকই তার সমস্যা বুঝতে পেরেছে। দেখা যাক শহীদ পরের পূর্বে কি করে তাদের বাবা মাকে খুঁজে পাই।
নাটকের দুই পর্বের লিংক
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [2/1/2025 10:09 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
দেনা পাওনা নাটকটি এখনো আমি দেখার উপরে আছি।সপ্তাহে মাত্র দুইটা করে পর্ব আসে,তাই ধৈর্য ধরে বসে থাকতে হয়।নাটকটা যতই দেখছি ততই ভালো লাগছে। আজকে আপনি নাটকের ৭-৮ পর্ব খুব সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী নাটকটি অনেক সুন্দর। দর্শকরা চাচ্ছে। ধন্যবাদ।
নাটকের রিভিউ যদি পড়া হয়, তাহলে নাটক আর দেখা লাগে না। কারণ রিভিউর মাধ্যমে নাটকের পুরো কাহিনীটা সুন্দরভাবে জেনে নেওয়া যায়। সবাই অল্প সময়ের মধ্যে এই নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়ে নাটকের পুরো কাহিনীটা জেনে নিতে পারবে। আশা করছি আপনি এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে যাবেন। এটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী এই নাটকটি আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ।
নাটক রিভিউ করতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই আমিও মাঝেমধ্যে নাটক রিভিউ করে থাকি। সুন্দর একটা নাটক আপনি রিভিউ করেছেন ভাই। আপনার এই নাটকের ভিডিওটা দেখতে এবং ধারণা পেতে অনেক ভালো লেগেছে। বেশ কিছু জানতে পারলাম নাটক সম্পর্কে।
জী ভাই বাংলাদেশের নাটক গুলো দারুন হয়।ধন্যবাদ।
জী ভাই বাংলাদেশের নাটক গুলো দারুন হয়ে থাকে।
দেনা পাওনা নাটকের এই পর্বগুলোর রিভিউ খুবই সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে রিভিউ পোস্টটা পড়ে। এরকম নাটকগুলো যদিও খুব একটা দেখা হয় না, কিন্তু রিভিউ করতে অনেক ভালো লাগে। আশাকরি এইভাবে নাটকটার প্রতিটা পর্বের রিভিউ শেয়ার করে নিবেন। অপেক্ষায় থাকলাম এখন পরবর্তী পর্বের জন্য।
নাটকটির কাহিনী অনেক ভালো লাগলো। এ ধরনের নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে, যদিও নাটকটি এখনো দেখা হয়নি তবে রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছে পোষণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া নাটকটি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই নাটকের বেশ কিছু ক্লিপ ফেসবুকে দেখেছি। ইতিমধ্যে এটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি মনে হচ্ছে এটার নিয়মিত দর্শক। বেশ দারুণ রিভিউ দিয়েছেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।