সুপারনোভা বিস্ফোরণের ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিলেন সখের জ্যোতির্বিজ্ঞানী
অজান্তেই সুপারনোভা বিস্ফোরণের ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিলেন এক সখের জ্য়োতির্বিজ্ঞানী। নতুন ক্যামেরা পরীক্ষা করার সময় হঠাৎই বিরল এই মুহূর্ত ধরা পড়ে ফ্রেমে। গবেষকরা বলছেন, এই প্রথম কোনও সুপারনোভা বিস্ফোরণের মুহূর্তের ছবি ধরা পড়ল পৃথিবীতে পাতা কোনও ক্যামেরায়।
আর্জেন্তিনার রোজারিওয় নিজের ছোট্ট মানমন্দিরের দূরবীনে নতুন ক্যামেরা লাগিয়ে পরীক্ষা করছিলেন ভিক্টর বুসো নামে ওই সখের জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে এই পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন তিনি। বলে রাখি, আজেন্তিনার অন্যতম জনবহুল শহর এই রোজারিও। ফলে পথবাতির আলোয় রাতে আলোকদূষণের পরিমান বেশ ভালই। সেই শহরেই রাতের আকাশে ৮ কোটি আলোকবর্ষ দূরে NGC 613 নীহারিকার দিকে দূরবীণ তাক করেছিলেন বুসো। পর্যবেক্ষণে আলোক দূষণের পরিমান কমাতে এক ঘণ্টা ধরে ২০ সেকেন্ড এক্সপোজারের ১০০টি ছবি তোলেন তিনি। তাতেই ধরা পড়ে এই সুপারনোভা বিস্ফোরণ।একটি মরণাপন্ন নক্ষত্রের অন্তিম সময়ের বিস্ফোরণকে বলা হয় সুপারনোভা। এর আগে সুপারনোভা বিস্ফোরণের কয়েকঘণ্টার মধ্যে নক্ষত্রের ছবি তুলতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিস্ফোরণের ছবি এই প্রথম।
গবেষকরা বলছেন, এই ছবি অনেক কাজে লাগবে। বিশেষ করে ভবিষ্যতে সুপারনোভা বিস্ফোরণ চিহ্নিত করতে প্রামাণ্য হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন গবেষকরা। নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বুসোর তোলা সেই ছবি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন সুপারনোভার ছবি তোলা সত্যিই সময়সাপেক্ষ। কারণ, সুপারনোভা বিস্ফোরণের পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব।
বুসোর ছবি পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীদের মত, সুপারনোভা বিস্ফোরণের প্রাথমিক ধাপ এটি। এই পর্যায়ে বিস্ফোরণের জেরে প্রবল তরঙ্গ মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে।