টঙ্গের চায়ে কিছু সময় ||@shy-fox 10% beneficiary
ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের । আমি সময় পেলেই অনেকটা মুক্ত পাখির মতো ঘোরাফেরা করার চেষ্টা করি। কারণ মাঝে মাঝে নিজেকে বিচরণ করতে ভালো লাগে। এইতো কিছুদিন আগে আমার এলাকার কিছু ছোটভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম টঙ্গের চায়ের দোকানে । সেখানে মূলত,চায়ের আড্ডায় মেতে উঠে ছিলাম কিছুটা সময় । যাইহোক আমার প্রিয় পাঠক, আজকে সেই ঘটনা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে ।
ইচ্ছা করেই সেদিন চেম্বার থেকে তাড়াতাড়ি উঠেছিলাম। খুব একটা বেশি চাপ ছিল না, তাই মোটামুটি সন্ধ্যার পরে বেশ ফাঁকা সময় পেয়েছিলাম কয়েক ঘন্টার জন্য । আমি মূলত অনেকটা রোবটিক জীবনযাপন করি, এটা হয়তো আপনারা অনেকেই ভালোভাবে জানেন। তাই যখনই আমি একটু ফাঁক-ফোকর পাই,সেই সময়টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি নিজের মতো করে ।
কর্পোরেট ফোনটার ডায়াল লিস্ট ঘেঁটে, কয়েকটা নাম্বার খুঁজে বের করলাম । যে কয়েকটা নাম্বার খুঁজে বের করলাম, সেগুলো হচ্ছে আমার বাল্যকালের বন্ধু ও এলাকার কিছু ছোট ভাইয়ের নাম্বার । যাইহোক সোজা তাদেরকে ফোন দিয়ে দিলাম এবং বললাম যে, আয় ঐ পুকুর পাড়ের নতুন দোকানটায় । চা খাব আর গল্প করবো ।
এলাকার ভিতরে খুব বেশি ঘোরাঘুরি করা হয়না । তাই এলাকার পরিস্থিতি কখন কি হচ্ছে, এ সম্পর্কেও আমার তেমন খুব একটা ভালো আইডিয়া নেই বললেই চলে। যাইহোক এলাকায় তো রীতিমতো অনেক নতুন নতুন দোকানপাট হয়ে গিয়েছে, বিশেষ করে খাবারের দোকানপাট। যেগুলো অনেকটা সন্ধ্যার পরে জমজমাট থাকে, এলাকার ছেলেপেলেদের নিয়ে ।
দীর্ঘদিন পরে যখন এলাকার ভিতরে ঢুকেছি, অনেকটা নিজের কাছে নিজেকে বোকা বোকা লাগছে। কারণ যেই দেখছে, সেই কুশল বিনিময় করার চেষ্টা করছে। ব্যাপারটা এমন যে, মনে হচ্ছে আমি দীর্ঘদিন পরে এলাকার ভিতরে ঘোরাঘুরি করছি। যাইহোক ব্যপারগুলো সঙ্গে অনেক স্মৃতিকাতর আবেগ ও অতীত জড়িয়ে আছে, যাইহোক সেদিকে আর না যাই ।
পুকুরের এক কোনা ঘেঁষে, ছোট্ট বাঁশের মাচা দিয়ে নতুন একটি দোকান গড়ে উঠেছে, নাম টঙ্গের চা । যাইহোক ব্যাপারটা আমাকে বেশ আকর্ষনীয় করে ফেলেছে । কারণ সেখানকার আলোকসজ্জা ও খাবার পরিবেশনের ব্যাপারটি খুব ছিমছাম পরিবেশে সাজানো-গোছানো ভাবে খাবার পরিবেশন,সব মিলিয়ে বেশ ভালো একটা পরিবেশ ।
আমরা তিন বন্ধু মিলে সেখানে গিয়েছি এবং সঙ্গে এক ছোটভাই ছিল । যাইহোক তাদের নিয়ে বসে, মোটামুটি সেখানকার মেনু বুক ঘেঁটে, তাদের রেগুলার চা এবং সঙ্গে তিনটা ফিস কাটলেট অর্ডার করলাম । যদিও ফিস কাটলেট দেখে, আমি কোনভাবেই ভাবিনি যে খুব একটা গরম হবে। কিন্তু মুখে দেওয়ার পরে, যেই কামড় দিয়েছি তখন একদম আমার মুখের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে গিয়েছে । কারণ ফিস কাটলেট গুলো অনেক গরম ছিল । যেটা আমি মুখে দেওয়ার পরে বুঝেছি ।
অবশেষে ফিস কাটলেট খাওয়া শেষ হলে, তারপরে ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপে গল্প শুরু হয়ে গেল। সেই যে গল্প শুরু হইলো, চলেছে প্রায় ঘন্টা খানেকের মতো । ব্যাপারটা বেশ ভালই লাগল । কারণ দীর্ঘদিন পরে অতীত জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এরকম মনোরম পরিবেশে, হিমশীতল ঠাণ্ডা বাতাসের ভিতর চা খেতে খেতে গল্প করতে বেশ ভালই লাগছিল ।
হুট করে বড় ফোনটা বেজে উঠলো এবং অপর প্রান্ত থেকে হিরামনি কর্কশ গলায় বলে উঠলো, কি হল তোমার বাসায় আসার সময় হয়নি। আর কতক্ষণ বাহিরে থাকবে, এদিকে তো বাবু কান্নাকাটি করছে । যাইহোক আমি বুঝতে পারলাম যে, বাসায় আমার একটু ঝামেলা হয়েছে। যাইহোক ওদেরকে বললাম, ঠিক আছে আমি বিলটা পরিশোধ করে যাচ্ছি। তোদের সঙ্গে অন্য দিন দেখা হবে ।।
সত্যি বলতে কি, এই এখন থেকে দশ বছর আগেও বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে যে শান্তি পেতাম , এখন আর সেই শান্তি পাই না। এখন সংসারের মায়ায় পড়ে গেছি, অনেক পিছুটান কাজ করে । চাইলেও আর আগের মতো সময় বের করতে পারিনা । সত্যি জীবনটা পাল্টে গিয়েছে, হয়তো সেটা সময়ের পরিক্রমায় ।।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ভাইয়া মনে হচ্ছে দুটি মাস্ক ব্যবহার করেছেন🤗। বেশ ভালো লাগলো।
আর দোকানে এতরকমের চা পাওয়া যায়? আমি এতরকমের চায়ের নাম শুনিনি ও দেখিওনি। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে সময় কাটালে মনটা ভালো থাকে।
যাইহোক এখন খুব জানতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া,ভাবির মেজাজ কী বেশি খারাপ ছিলো? আপনাকে বকাঝকা করছেকিনা,,,😊
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
আপনার মত আমিও সময় পেলেই নিজেকে মুক্ত পাখির মতো চলার চেষ্টা করি। আর সময় পেলেই বন্ধুদের সাথে রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে চা খাওয়ার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করি। কিন্তু সময়ের কারনে সেগুলো এখন আর তেমন হয়ে ওঠে না।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ভাইয়া আপনি অনেক ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এটা আমরা সবাই জানি। আপনি আপনার এই ব্যস্ত জীবনে একটুখানি সময় বার করে আপনার সেই ছোটবেলার প্রিয় মানুষগুলোর সাথে দেখা করেছেন এবং চা খেতে খেতে আড্ডা দিয়েছেন এটা অনেক ভালো লাগলো। নিজের মনকে ভালো রাখতে এবং ফ্রেশ রাখতে মাঝে মাঝে প্রিয় বন্ধু গুলোর সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। তবে আমাদের এই রোবটিক জীবনযাত্রার ফলে আমরা আমাদের পুরনো দিনের বন্ধুদের থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। কারণ আমরা প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। এই ব্যস্ততার মাঝে এখন আর আড্ডা দেওয়ার মত সময় হয়না। কারণ সবাই যে যার মতো তাদের জীবন পার করছে। তবে আপনি অনেক সুন্দর একটি পরিবেশে সকলের সাথে আড্ডা দিয়েছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। জায়গাটি সত্যিই অনেক সুন্দর। ফিস কাটলেট গুলো দেখে তো লোভ লেগে গেলো। আপনার কাটানো সুন্দর এই মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। আপনার আগামী পথ চলা আরো বেশি সুন্দর হোক এই কামনা করছি ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন সময়ের পরিক্রমায় আমাদের জীবন পাল্টে যাচ্ছে। আমাদের জীবনের চলার পথ, হাসি-আনন্দ সবকিছুই সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে। পুরনো স্মৃতিগুলো আজকাল খুব মনে পরে। সকলের সাথে আড্ডা দেওয়া, খেতে যাবা সেগুলো খুবই মিস করি। কিন্তু সেই সময়টা আর হয়ে ওঠে না। আর যদিও সেই সময় হয়ে ওঠে এখন আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব একটা ভালো লাগে না। কেনো জানি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। হয়তোবা সময়ের পরিবর্তনের কারণে নিজেরও পরিবর্তন হয়েছে। আগে যে বিষয়গুলো খুবই ভালো লাগত বা ঘুরতে যেতে ভালো লাগত এখন কেন জানি সেই চিরচেনা ভালোলাগা গুলো অচেনা হয়ে গেছে। হয়তো সবই সময়ের পরিক্রমা। সময় বড় কঠিন জিনিস। জীবনের গতিপথের সাথে সাথে আমাদের চলার পথ গুলো বদলে যায়। সেই চলার পথের দিশা খুঁজতে গিয়ে আমরা জীবনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাই। হয়তো এভাবেই আমাদের ছোট এ জীবন চোখের পলকেই শেষ হয়ে যায়। তবে যাই হোক আপনি আপনার এতো ব্যস্ততার মাঝেও কিছুটা সময় বের করে আপনার পুরনো দিনের বন্ধু ও ছোট ভাইদের সাথে চা খেতে গিয়েছেন ও আড্ডা দিয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি আপনি সেই মুহূর্তটি খুবই উপভোগ করেছেন। এভাবেই কাটুক আপনার প্রতিটি মুহূর্ত এই কামনাই করছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
নামটি টঙ্গের চা নাম হলেও দেখতে কিন্তু সাধারণ টঙ্গের মতো নয়।
পুরনো মানুষদের সাথে আড্ডা মানেই দারুণ কিছু।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
বাল্য বন্ধুদের সঙ্গে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।পেশাগত জীবনের ব্যস্ততার কারণে আপনি সব সময় হয়তো ঘুরাঘুরি কিংবা আড্ডা দেয়ার সময় পান না।ফলে এলাকার লোকজনও আপনাকে অতিথির মত অ্যাপায়ন করছে।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ভাই যাই বলুন না কেন দোকানটার পরিবেশ আর ডেকোরেশন টা কিন্তু আমার বেশ ভাল লেগেছে। সেই সঙ্গে অনেক রকমের চা আর দাম গুলোও ছিল একদম হাতের নাগালে। সব মিলিয়ে দারুন ছিল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।