স্বপ্নের মেট্রোরেল ভ্রমণ
নমষ্কার,,
স্বপ্নের মেট্রোরেল। সত্যিই যেন এটা স্বপ্নের মতোই বাংলাদেশের মানুষের জন্য। জনজীবনে কতোটা গতি যোগ করেছে এবং কতোটা সময় যে বাঁচিয়েছে এই মেট্রোরেল সেটা যারা ব্যবহার করছে তারাই শুধু বুঝতে পারছে। অনেক দিন হয়ে গেল রাজধানীর মানুষজন এই সুবিধা ভোগ করে চলেছে। আমি এর মধ্যে অনেকবার ঢাকা গেলেও মেট্রোতে ওঠার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে নি একবারের জন্যও। তবে এবার এই সুযোগ টা মিস করিনি একদমই। মেট্রোতে যাওয়া আসা করে নিজে অনুভব করেছি যে এই অনুভূতি টা কেমন হতে পারে।
শ্যামলী বা আগারগাঁও থেকে পনেরো মিনিটে পল্টনে যাবে এটা কি কেউ কখনো ভাবতে পেরেছে!! আমি তো অন্তত করি নি। মোটামুটি দুই ঘন্টা সময় চোখ বুজে লেগে যেত। আর তার সাথে জ্যামের ফ্রী ভোগান্তি। হাহাহাহাহা। যাই হোক সে সব এখন অতীত। জীবন এখন আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে।
আগারগাঁও স্টেশনে ঢুকতেই মনে হলো আমি যেন আর বাংলাদেশে নেই। এ যেন অন্য কোন রাজ্যে চলে এসেছি। আমি একা অবশ্য ছিলাম না। আমার সাথে আরেক জন ছিল। উনি আবার বেশ পরিচিত এইসবে। অনেক বার যাতায়াত করেছেন। তাই ভেতরে ঢুকে কোথায় কিভাবে কি করতে হবে এসব নিয়ে খুব একটা সমস্যায় ভুগতে হয় নি একদমই। লাইনে দাঁড়িয়ে দুইজন দুটো টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মের দিকে এগিয়ে গেলাম।
সত্যি বলতে আমরা ভেবেছিলাম দুপুরের দিকে হয়তো অতোটা ভিড় হবে না। কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখি মানুষে ভরপুর একদম। আমাদের গন্তব্য ছিল সচিবালয় স্টেশন। যে ট্রেন টা আসলো তাতে বেশ ভিড় ছিল। অনেকটা গুতোগুতি করেই ভেতরে উঠলাম। তবে ভেতরে দাড়িয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় নি। মেট্রোতে ওঠার অভিজ্ঞতা আমার আগেও ছিল। ইন্ডিয়ায় বেশ কয়েকবার উঠেছি। তবে বাংলাদেশে এমন কিছু যে পাব এটাই ছিল অবাক করার মত। একের পর এক স্টেশন ক্রস করে যাচ্ছিলাম আর যেন স্বপ্নের মতো লাগছিল সবটাই।
আমি মূলত অফিশিয়াল কিছু কাজেই গিয়েছিলাম পল্টনে। একদম ঠিক সময়ে পৌছে সবটা করতে পেরেছি এই মেট্রোর কল্যাণে। কাজ শেষ করে সন্ধ্যার দিকে আবার মেট্রোতে করেই আগারগাঁও ফিরি। ঐ সময় অতোটা ভিড় পাই নি। প্রথম দিনে সত্যিই দূর্দান্ত একটা অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য। দেশ যে এগিয়ে চলেছে এটায় কোন সন্দেহ নেই। আরো এগিয়ে যাক আমার প্রিয় মাতৃভূমি। এটাই প্রত্যাশা করি সবসময়।
আপনি অনেকবার ঢাকায় এসেও মেট্রোরেলে অনেকদিন পরে চড়লেন । কিন্তু আমরা ঢাকায় বসবাস করার পরেও এইতো চার পাঁচ দিন আগে মেট্রোরেলে চড়েছি । শুধু শুধু চড়েছি কোন কারণ ছাড়াই সবাই মিলে চড়তে ভালো লেগেছিল । আমরাও সচিবালার স্টেশন থেকে একেবারে উত্তরার শেষ পর্যন্ত গিয়েছিলাম । ঠিকই বলেছেন গাড়িতে করে যেতে জ্যামে পড়ে থাকতে হতো । আর কয়েক মিনিটের ভিতর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে চলে যায় খুবই ভালো লাগে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে ।
বাড়ির কাছের মানুষ ট্রেন মিস করে বেশি আপু। হিহিহিহি। তবে সত্যিই বেশ মজার একটা অনুভূতি প্রথমবার মেট্রোতে চড়ে যাওয়ার। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আজকে আপনি স্বপ্নের মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পেরেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো দাদা। আমিও যেদিন এই মেট্রোরেলের প্রথম উঠেছিলাম সত্যিই মনের ভিতরে অনেক ভালো লাগা কাজ করছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে মেট্রোরেল স্বপ্নের মত। ঢাকার ভিতরে খুব অল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য মেট্রোরেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মতিঝিলের ঐ পাশটায় মারাত্বক জ্যাম থাকে সব সময়। তাই এই প্রজেক্ট টা একটা নতুন গতি যোগ করেছে এক কথায়। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
স্বপ্নের মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে গিয়ে দেখছি চমৎকার মহূর্ত উপভোগ করেছেন দাদা। যদিও আমি এখন ও যাইনি আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি যাবো ইনশাআল্লাহ। দাদা আপনাকে দেখতে মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর লাগতেছে। একদমই ঠিক বলেছেন দেশ অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
খুব তাড়াতাড়ি উঠে পড়ুন ভাই মেট্রোতে। চমৎকার একটা অনুভূতি কাজ করবে এক কথায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লিমন ভাই সব সময় সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যাক শেষমেষ মেট্রোরেলে চড়লেন ৷ দাদা শুনে ভালো লাগছে যে মেট্রোরেলে করে অফিসিয়াল কাজ গুলো খুব স্বাদসন্দে করতে পেরেছেন ৷ এটা সত্য যে দেশের কিছু কিছু উন্নয়ন কাজ সত্যি অসাধারণ ৷ যা হোক আপনার কাছ থেকে মেট্রোরেলে উঠার সেই ফটোগ্রাফি সবমিলে খুব ভালো লাগলো ৷
দেশ টা অনেক এগিয়ে গেছে ভাই, মেট্রো তে না উঠলে এটা বুঝতেই পারতাম না। এটা এক অন্য রকম ভালো লাগা। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আমিও এই স্বপ্নের মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছি। আমার মেট্রোরেল ভ্রমণ করার স্মৃতিগুলো আমি এখানে শেয়ার করেছি। আসলে খুবই দারুণ লাগে এবং প্রথম যখন আমি এই মেট্রোরেলে চড়েছিলাম তখন আমার অনুভূতি ছিল অসাধারণ। তবে আপনিও দেখছি স্বপ্নের মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছেন এবং সেখান থেকে খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে মেট্রোলে ভ্রমণ করা খুবই মজার। ধন্যবাদ আপনাকে খুবই মজার একটা সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রথম প্রথম মেট্রোতে ওঠার অনুভূতি সত্যিই অন্য রকম পুরো। দেশ টা আরো এগিয়ে যাক। আর ভালো কাজ হোক এটাই চাওয়া সব সময়। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আগে আমি জ্যামে আটকে থেকে চিন্তা করতাম যে কোনোভাবে যদি দ্রুত যাওয়া যেত তবে এখন দ্রুত যাওয়ার মাধ্যম হয়ে গিয়েছে। আগারগাঁও থেকে পল্টন যেতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় আসলে ভাবতেই অবাক লাগে। তবে মেট্রোরেলে তুলনামূলক একটু ভিড় থাকে কারণ সবাই স্বল্প সময়ে ভোগান্তি বিহীন যাত্রা উপভোগ করতে চায়।
এটা ঠিক ভাই, মেট্রোরেলে ভিড় টা এখন অনেক বেশি। তবুও আমার কাছে মনে হয় এইটা মেনে নেওয়ার মতোই। এসি থাকার কারণে মানুষের কষ্ট অনেকটাই কম হয়। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মেট্রো রেল এতদিন ধরে চালু হয়েছে আমিও মাত্র গত সপ্তাহে প্রথম উঠেছি। ঠিক বলেছেন ভাইয়া স্টেশনে ঢোকার পর মনে হয় যে বিদেশে চলে এসেছি। তাছাড়া আমি যখন উঠেছিলাম তখন প্রচন্ড পরিমানে ভিড় ছিল। কিন্তু তারপরও মনে হয়েছে অফিসগামী লোকজনের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ এই মেট্রো রেল। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন নাকি? ড্রেস আপ তো দেখে তাই মনে হচ্ছে।
আপু আপনাদের দোয়ায় একটা প্রাইভেট চাকরির অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার আনতে গিয়েছিলাম ঐ দিন। আপনার খুব কাছাকাছি চলে আসলাম। এবার আর কোন খাওয়া দাওয়া মিস করছি না। 😊