মেস লাইফের আড্ডা
একজন ছাত্রের জীবনে মেস জীবন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছাত্র জীবনে বেশিরভাগ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে মেসে থাকতে হয়। মেস জীবনে পরিবারের সদস্যদের পাওয়া যায় না,সেখানে থাকে জুনিয়র সিনিয়র এবং ব্যাচমেট।
নতুন কোন ছেলে মেয়ে প্রথমে মেসে ওঠার পর ১মে খুব খারাপ লাগে। পরিবার থেকে দূরে থাকা, বাড়ির পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন একটি পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়া। তবে কিছুদিন যাওয়ার পর আস্তে আস্তে যখন সবার সঙ্গে ভালো সখ্যতা গড়ে ওঠে, তখন আবার মেস লাইফ ভালো লাগতে শুরু করে।তখন মেসের সদস্যদের নিজের ভাইয়ের মত মনে হয়।মেস জীবনে পড়াশোনা থেকে আড্ডায় বোধহয় বেশি হয়। কারণ মেসে বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাধা ধরার নিয়ম থাকে না। আর স্বাধীনতা পেলে কে না তা উপভোগ করতে চায়। মেসের বন্ধুবান্ধব জুনিয়র এবং সিনিয়র ভাইদের সঙ্গে সময় পেলেই একত্রে ঘুরতে যাওয়া কিংবা সবাই মিলে এবারে খাওয়া-দাওয়া করা এসব হরহামেশাই হয় মেস জীবনে। এমন অনেক ছেলেমেয়ে আছে যারা হয়তো বাসায় থাকলে তেমন একটা ঘোরাঘুরি করতো না, তাদেরও আড্ডা বেড়ে যায় এই মেস জীবনে এসে। আবার অনেক সময় ম্যাচের ছেলেমেয়েরা নিজেরাই ছোটখাটো পিকনিকের আয়োজন করে রান্নাবান্নাও করে থাকে।
মেসে থাকা সব ছাত্রছাত্রীদেরই তাদের মেস জীবন খুব ভালোই লাগে।
খুব কম ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট মেস জীবন খারাপ লাগলেও বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা মেস জীবন খুব উপভোগ করে। তবে খুব কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মেসে না রাখাই শ্রেয়। কারণ মেস লাইফের স্বাধীন জীবনে তাদের বখে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মেস লাইফ টা আসলেই অনেক মজার একটা মুহুর্ত
জি ভাই ঠিক বলেছেন ম্যাচ লাইফ টা অনেক আনন্দময় হয়ে থাকে। প্রথম প্রথম ভালো না লাগলেও পরে এটা ঠিক হয়ে যায়। ম্যাচে লাইভে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা ঘুরতে যাওয়া গ্রুপ স্টাডি করা ইত্যাদি অনেক ইনজয় হয়ে থাকে।
যাইহোক ভাই আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। আর মেস লাইফ সম্পর্কে সকল বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। আপনার ক্যামেরা ডিটেইলস ও লোকেশন দিলে পোষ্ট কোয়ালিটি আরো বাড়তো।
যাই হোক পরবর্তী পোষ্টে সংশোধন করে নিবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
মেস লাইফের আড্ডা মানেই খাওয়া দাওয়া, সকলে মিলে এক সাথে খেলা দেখা।কত কত আনন্দ সেটা বলা বাহুল্য।আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
পরিবারের সকলকে ছেড়ে আমরা যখন মেসে থাকি তখন সত্যি খুব খারাপ লাগে। তবে ধীরে ধীরে যখন মেসের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখন সেখানে তৈরি হয়ে যায় এক নতুন পরিবার। অসুখ বিসুখে তারাই তখন পরিবারের মতো পাশে থাকে। সকলের সাথে হাসি আনন্দে কেটে যায় আমাদের প্রতিটি দিন। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেস লাইফের আড্ডা গুলো খুব মধুর হলেও,একটা সময় গিয়ে বুঝতে পারবেন এই আড্ডা গুলো আপনার সময় নষ্ট করেছে অনেক।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই বন্ধুদের সাথে এক সাথে থাকা আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
মেস কথাটাই কেমন অগোছালো। তবে যারা মেসে থাকেনি তাঁরা মেসের মর্ম বুঝবে না। স্বাধীনতা পাবার ব্যাপারটা তো আছেই সাথে আছে অন্যবদ্য কিছু বন্ধুত্ব প্রাপ্তি।
মেসের আড্ডাগুলো বড়ভাই বন্ধু খুব ভালোই জমে। দিন গুলো খুবই মনে পড়ে। আপনাদের সকলের জন্য আওল্লাহ্ জাযাকাল্লাহ দান করুক। আমিন
খুব সুন্দর করে মেস জীবনের কথা তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লাগলো পড়ে। নিজের ঢাকা কলেজ জীবনের হোস্টেলে থাকার কথা মনে পড়ে গেলো। মেসের দিনগুলি আসলেই একটু অন্যরকম। প্রথমে দু'চারদিন কিছুটা খারাপ লাগতে পারে। যখন রুমমেটদের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন আর খারাপ লাগে না। সবাই একসাথে মিলে ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখা আরো কত মজা, কতো আড্ডা। সে দিনগুলির কথা মনে পড়লে এখনও ভালো লাগে। ছবিতে অবশ্যই what3words লোকেশন কোড ব্যবহার করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।