আমার প্রথম সমুদ্র দেখা - স্মৃতিগল্প ০৪
স্মৃতিগল্প ০৪
বরাবরই আমার ন্যাচারাল জিনিস অনেক পছন্দ। আর্টিফিশিয়াল কোন পার্ক বা কোন কিছু বানানো সেখানে ঘুরতে যাওয়া আমি একদমই পছন্দ করি না। আমাকে শুধু সবুজ আর সবুজ যেখানে সেখানে ঘুরতে নিয়ে যাক আমি তাতেই অনেক খুশি। এমন সমুদ্র নদী পাহাড় এগুলো আমার অনেক পছন্দ। সামনে একটা নদী বা সমুদ্র আছে এমন জায়গায় আমার যদি সারাদিন বসিয়ে রাখে আমি সেখানে সারাদিন বসেই পার করে দিতে পারি। তো এ কারণে এসে সব সময় আমাকে গ্রীনারি আছে সেখানে ঘুরতে নিয়ে যায়। প্লান হয় যে আমরা কক্সবাজার ঘুরতে যাব। আমি তো সেই এক্সাইটেড।
সবসময় ফ্যামিলির লোকজনকে সাথে নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করি। যেদিন যাব সেদিন হঠাৎ করেই আমার ফোনটা চলে গেল। যাওয়ার সময় এরকম একটা ঘটনার কারণে মনটাও খারাপ হয়ে গেল।যাইহোক আমরা খুব ভালোভাবেই আমাদের গন্তব্যে পৌঁছায়। হোটেলে ব্যাগ পত্র রেখেই চলে গেলাম সমুদ্রের পথে। যতই সমুদ্রের কাছে যাচ্ছে এক্সাইটমেন্ট যেন বাড়ছে। আমাদের কিছুটা কাছাকাছি আসার পর সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাচ্ছিলাম। কখনোই দুই এক সেকেন্ডের জন্য সমুদ্র দেখার আকাঙ্ক্ষা যেন আরো বেড়ে গেল। আর একটু সামনে যেতেই পেরিয়ে যাই সমুদ্র দেখলাম।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
আমি তো দেখেই হতবাক। এত সুন্দরএ যেন চোখের শান্তি। যতদূর তাকাচ্ছি খালি পানি আর পানি। অদ্ভুত এক ভালোলাগা। তিন দিন ছিলাম অনেক ঘুরেছি সমুদ্রের কাছে বেশি সময় ছিলাম কিন্তু মনে হয়েছে নতুন কিছু দেখছি। শেষে যেদিন চলে আসছিলাম অনেক মন খারাপ লাগছিল। মানে ওইটুকু সময় থেকে আমার মন ভরেনি। আবদার করে বসলাম আমাকে আবার নিয়ে আসতে হবে। আবার আসবো এই খুশিতে নিজের গন্তব্যে চলে আসলাম। আবার সেই যান্ত্রিক জীবনে ফিরে আসলাম। আর অপেক্ষা করতে লাগলাম আবার কবে যাব সমুদ্র দেখতে।