রহস্যময়ী নারী (প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ) পর্ব -১

in #lovelast year

download (1).jpeg
### রহস্যময়ী নারী

বিমল, পলাশ আর কেয়া এই তিন জন খুব ভালো বন্ধু। ছোট থেকেই তিন জন এক সাথে প্রথমে school, college তারপর university থেকে ডিগ্রী অর্জন করেছে। ওরা যেখানেই যায় একসাথে যায়। খাবার শেয়ার করে খায়। এমনকি একটি নামী আই টি কোম্পানিতে চাকরি করে ওরা একসাথে। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ এই অতিমারীর কারণে একে অপরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে অফিস বন্ধ, এখন কেবল মাত্র এই ফোন টাই ভরসা।

প্রাত্যহিক জীবনে যাত্রাতেও ইন্টারনেট ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে আমাদের জীবনে video call এই কথা চলে বন্ধুর। বিমল এই বন্ধুদের মধ্যে একটু বেশি ভালো সব কিছুতো লেখাপড়া তো আছেই তার সাথে সাধারণ জ্ঞান ও।

বিমল বলে শোন শোন. We are all now connected by the Internet, Like neurons in a giant brain বুঝলি যথা আজ্ঞা না বলে কেয়া। পলাশ বলে... তুই এতো কিছু জানিস কি করে ?? –

বিমল হেসে ওঠে বলে ... তুই চিরটাকাল বোকাই রয়ে গেলি। আরে যদি এসব না থাকতো তাহলে তুই পারতিস এই ভাবে ফোনে কথা বলতে?????..... ইন্টারনেট হচ্ছে ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক এর সংক্ষিপ্ত রূপ ...... -বুঝলি পাগলা । এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে নেটওয়ার্কগুলি কে একে অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়।ইন্টারনেটকেই প্রায়ই আমরা নেট বলে থাকি বুঝি গাধা!!!'........ হা.. হা... হা... হাসে কেয়া।
.... হাসবি তো! আমি গাধা তাই তো????... বলে পলাশ।... আমি আর কথাই বলবো না, যা .... ?? এই বলে ফোন টা কেটে দেয়
'হুম....
পলাশ। কেয়া বলে.... দেখলি তো বিমল পলাশ রাগ করে ফোন টাই কেটে দিলো!! পাগল একটা?? .... হা.. হা. হাসে কেয়া।

কয়েক মাস পর

অভিমারীর মধ্যেও শুভ অনুষ্ঠান হওয়া কিন্তু বন্ধ হয়নি। সমস্ত সিকিউরিটির কথা মাথায় রেখেই আজ শুভ বিবাহ সম্পন্ন হতে চলেছে পলাশ এবং
কেয়ার, ওরা একে অপরকে ভালোবাসতো। দুই বাড়ি থেকেই সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে বিবাহের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে বিমল কিন্তু
বাদ পড়েনি। যতই হোক ওদের বাল্যকালের বন্ধু । কিন্তু বিমলের পক্ষে বিয়েতে হাজির থাকা সম্ভব নয় কারণ সে এখন জেল খাটছে।।

নিউজ চ্যানেলের প্রতিটি হেডলাইন এর মেইন আকর্ষন একটি খবর .....
" প্রখ্যাত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিমল চক্রবর্তী কে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে? তার বিরুদ্ধে হ্যাকিংয়ের কেস করা হয়েছে। জানা গেছে বিভিন্ন সংস্থা থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি হ্যাকিং করে চুরি করতেন?
সেই সমস্ত তথ্যই চড়া দামে আমাদের দেশের বাইরে অন্যান্য দেশে সাপ্লাই করতেন।". কিন্তু কেনা?

https://www.digistore24.com/redir/283755/Subrata8116/

পলাশ এবং কেয়ার বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আজ ওদের বিবাহিত জীবনের প্রথম রাত, ফুলশয্যার রাত। ওরা তিনজন খুব ভালো বন্ধু হলেও পলাশ বরাবরই কেয়া কে ভালোবাসতো; কিন্তু কোনদিনও বলে উঠতে পারেনি। ওই বিয়েটা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হিসাবেই হয়েছে। কারণ পলাশের বাবা এবং কেয়ার বাবা একে অপরের বন্ধু ছিলেন। কোভিড এর কারণে আক্রান্ত কেয়ার বাবা মৃত্যুর আগে পলাশের বাবার কাছে তার মনের ইচ্ছে প্রকাশ করে যান। তিনি বলেছিলেন কেয়া কে যেন তিনি পুত্রবধূ করেন। বাল্যবন্ধুর শেষ ইচ্ছেটা পলাশের বাবা পূর্ণ করেছিলেন। সেই কারণেই কেয়ার মতামত নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। এছাড়াও পলাশ ও কোম্পানিতে একটা উঁচু জায়গায় আছে কেয়া নিজে প্রতিষ্ঠিত। আর মেয়ে হিসেবে কেয়া খুবই নরম স্বভাবের। মা-বাবা সব কথাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। তাই যখন পলাশের সঙ্গে ওর বিয়ের কথা ও কে জানিয়েছিল, তখনই ও বলেছিল....... বাবা আমি কোনদিনও তোমার কথার অমান্য করিনি, আজও করব না। তুমি আমার জন্মদাতা, আর মা আমার গর্ভধারিনী। তোমাদের চেয়ে আমার ভালো আর কেউ ভাবতে পারবে না। তোমরা যেটা বলবে আমি সেটাই করব।...........

মেয়ের কথায় সেদিন ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। বাবা ও মা।

ফুলশয্যার ঘরে কেয়া বসে আছে। পলাশ আসে, কেয়া পলাশের দিকে একবার চোখ তুলে তাকিয়ে বলে..... বদমাশঃ তোর মনে মনে এই ছিল। আমাকে ভালবাসিস আগে বললেই তো পারতিস। ....

বাকি পর্ব টা লিখতে পারি নি , কাল লিখে জনাব...🙏🙏

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.17
JST 0.028
BTC 68552.89
ETH 2454.37
USDT 1.00
SBD 2.36