বাড়ির পুকুর খননের মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি পুকুর খননের সুন্দর অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য। যেখানে দেখতে পারবেন বেশ কিছু লেবার দিয়ে পুকুর খনন করছিলাম।
আপনার অনেকেই জানেন, আমরা দুইটা ভাই দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষের সাথে জড়িত। আর সঠিক নিয়মে মাছ চাষ করতে হলে এর জন্য বেশ পরিশ্রম করা লাগে ও অর্থ খরচ করতে হয়। আমরা মূলত পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া মাছ চাষ করে থাকি। এছাড়াও অন্যান্য মাছ দেওয়া হয়। তবে পুঁজি হিসাবে খরচ করতে হয় পাঙ্গাশ আর তেলাপিয়া চাষে। তাই পাঙ্গাস মাছ শীতের পরে চাষে ফেলতে হয়। এই চাষে দেওয়ার পূর্বে পুকুরের বেশ অনেক যত্ন নিতে হয়। পুকুরের পানি নিষ্কাশন, পুকুরের পাড় গুলো ভালোভাবে মেরামত করা। আবার পুকুরে যথেষ্ট পানি দিয়ে সার সরিষার খৈল চুন লবণ ইত্যাদি প্রয়োগ করতে হয়। আমাদের বাড়িতে ছোট ছোট দুইটা পুকুর রয়েছে। বাড়ির উত্তরে এবং দক্ষিণে পুকুর দুইটা। শীতের পরে দক্ষিণের পুকুরটাতে প্রায় এক হাজার পাঙ্গাস মাছ দেওয়া হয়। তবে এ পুকুরের চারিপাশে বেশ খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। তাই প্রত্যেক বছর পানির নিষ্কাশন করেই পুকুরটাকে মেরামত করতে হয়।
এবার শীতের মধ্যে পুকুরটা থেকে পানি নিষ্কাশন করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আশেপাশে বেশ কয়েকটা পুকুর থাকায় একদম নিচের অংশ শুকাতে দেরি হয়। ওই মুহূর্তে দেশে বেশ তাপদাহ চলছিল। ২০২৪ সালে মার্চ মাসে থেকে এপ্রিল মে জুন মাস কঠিন সময় গেছে আমাদের মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা এলাকায়। দেশের অন্যান্য স্থানে যেমন তাপমাত্রা বেশি ছিল তার চেয়ে আমাদের এই এলাকাতে একটু বেশি ছিল। তবুও পুকুরের দল দেশের পানি যেন সহজে শুকাতে চায় না। যাইহোক সময়মতো পুকুরে একদম মাটি শুকিয়ে যায়। আর সেই সুযোগে আমরাও পুকুরটা ক্ষরণ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দীর্ঘদিন মাটিকাটা গাড়ি আসবে আসবে করে অবশেষে যখন আসলো সেই দিন রাতে বৃষ্টি হয়ে যায়। এইজন্য মাটি কাটা গাড়ি দিয়ে আর পুকুর খনন করা হলো না।
আব্বা ভেবেচিন্তে দেখলেন এভাবে পড়ে থাকলে মাছ চাষের সময় পার হয়ে যাচ্ছে, আবার কখন না জানে বৃষ্টি হয়ে পুকুর পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই বৃষ্টির পরের দিনেই বেশ অনেক লেবার ডেকে পুকুরের চারিপাশে এভাবেই মাটি খনন করে পুকুরটাকে সুন্দরভাবে রিপেয়ার করা হচ্ছিল। এই মুহূর্তে আম গাছে বেশ আম ছিল। আমাদের এই পুকুরপাড়টা অনেক ভালো লাগার স্থান। গরমের সময় আমরা ঠিক এই আম গাছের নিচে বসেই অনলাইনে কাজ করে থাকি। আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের ফ্যামিলি থেকে চারজন ইউজার এখানে রয়েছে। তার মধ্যে তিনজন রয়েছে একটিভ ইউজার। মূলত আমরা এখানে বসে আমাদের অনলাইনের কাজ সম্পন্ন করি। কারণ প্রচন্ড গরমের দিন এই জায়গাটায় আমাদের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। তাই আমরা লেবার দের বলেছিলাম আমাদের বসে থাকা স্থানগুলোতে একদালি করে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে। যেন সম্পূর্ণ স্থানটা উচু হয়ে যায় এবং আমাদের বসার জন্য সুবিধা জনক হয়ে ওঠে। এইজন্য পুকুর থেকে মাটি ডালিতে করে এনে লিচু গাছের গোড়া থেকে আমাদের বসার সম্পূর্ণ জায়গাটা পরিপূর্ণ করে দিয়েছিল। আর এভাবেই পুকুর ক্ষরণ ও আমাদের বসার জায়গাটা মাটি দিয়ে ভরাট করে নেয়া হয়েছিল। এভাবেই আমরা লেবার দিয়ে তিন চার দিন ধরে পুকুর খনন করে নিয়েছিলাম এবং এরপর পুকুরটা মাছ চাষের উপযুক্ত করে, পাঙ্গাস মাছ দিয়েছিলাম।
বিষয় | পুকুর খনন |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
09_01_24
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাড়িতে পুকুর খননের মুহূর্ত টা অনেক সুন্দরভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। চোখের সামনে কত সুন্দর সুন্দর আম ঝুলছে। আমগুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। এত সুন্দর আমের পাশ থেকে ফটো ধারণ করেছেন লেবারদের। সব মিলে কার্যক্রমের মুহূর্তটা বেশ মনোমুগ্ধকর।
হ্যাঁ ভাই তখন উপস্থিত ছিলাম।
অনেকদিন পর দেখতে পারলাম আমাদের পুকুর খননের সেই চিত্র। এখানে পুকুর খনন করতে গিয়ে বেশ অনেকজন গান বলেছিল। আমার মনে আছে পুকুরের মাটি গুলো লিচু গাছের গোড়া থেকে আমাদের বসার জায়গা গুলোতে দেওয়া হয়েছিল। তাই বেশ কয়েকদিন সেখানে বসাও অসুবিধা হয়ে গেছিল। অনেকদিন পর মাটি খননের চিত্র দেখতে পেরে খুব ভালো লাগলো।
বিশেষ করে সিরাজ কাকার গান।