জীবন ডায়েরীর পাতা থেকে.... ১০। পূর্বের কর্মস্থলে প্রত্যাবর্তণ.......
পূর্ব প্রকাশের পর:
পূর্বের কর্মস্থলে প্রত্যাবর্তণ.......
তিনি এতদিন ভাড়া রিকশা চালাতেন, এখন থেকে তার নিজের রিকশা হবে। তাকে বিদায় জানিয়ে আবার ফিরে চললাম হোটেলের উদ্দেশ্যে................
কাওরান বাজার থেকে বরিশালের পান এবং কাঁচা সুপারি কিনলাম, সাথে জলপাই এবং বোম্বাই মরিচ (নাগা) ও কিনে নিলাম। হোটেলে না গিয়ে ভয়ে ভয়ে সরাসরি বাসার ভেতরে ঢুকে গেলাম। দোতলায় উঠে কলিংবেল দিতেই বড়ভাবি দরজা খুলে আমাকে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলেন এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন, মনে হচ্ছিল হারানো কোন কিছু খুজে পেয়েছে।
সোহেল তুমি এসেছ?? এই ছোট্র দেখ কে এসেছে, ওমা...... মা..... দেখেন কে এসেছে? এভাবে চিল্লা চিল্লি করে বড় ভাবি পুরো বাসাকে মাথায় তুলে নিলেন। আমি শুধু অবাক হয়ে দেখছি। ছোট্র ভাবিও বের হয়ে সে কি আনন্দ....!! ভাবতে পারছিলাম না এরা আমাকে এত আপন করে নিবে। খালাও রুম থেকে বের হয়ে এলেন, আমাকে দেখে বললেন চেহারার কি অবস্থা করেছ, মনে হচ্ছে কবর থেকে উঠে এসেছে ইত্যাদি ইত্যাদি...... আরও অনেক কথা। খালাকে রুমের ভেতরে নিয়ে গেলাম, চুপি চুপি তার হাতে পান এবং সুপারি দিলাম, বললাম বরিশাল থেকে নিয়ে এসেছি। সে যে কতটা খুশি হয়েছে বোঝাতে পারব না। এরই মধ্যে রুমের মধ্যে ভাবিরাও ঢুকে গেল, খালার হাতের পান দেখে তো চিল্লাচিল্লি শুরু করল। তাদেরকে জলপাই এবং মরিচ দিলাম ঘুষ হিসেবে। দুই ভাবি দুই কান ধরে কি মলাটাই না দিল সেদিন, ভাগ্যিস খালা ছাড়িয়ে দিয়েছিল।
সবারই একটা প্রশ্ন আমি আসতে কেন এত দেড়ি করলাম। উত্তর একটাই, আমি অসুস্থ ছিলাম এবং এখনও পুরোপুরি সুস্থ হইনি। তিনজনই একই সাথে বলে উঠলেন হুম তোমার চেহারা দেখেই বুঝতে পেরেছি, শরিরের যা অবস্থা করেছ..!!
এবারের মত বেঁচে গেলাম। জিজ্ঞাসা করল সকালে নাস্তা করেছি কিনা, বললাম লঞ্চ থেকে নেমেই নাস্তা করে এসেছি। বলল তাহলে এবার গোছল করে ফ্রেশ হয়ে রেষ্ট কর। জি আচ্ছা বলে মনে মনে হাসলাম। কিছুক্ষণ পরে বাজার থেকে বাবুর্চি ভাই (হারুন) এসে বাসায় ঢুকলেন। আমাকে দেখে তিনিও আনন্দে আত্মহারা হয়ে জড়িয়ে ধরলেন। অনেক দিন পরে মনে হচ্ছিল প্রান ফিরে পেলাম। সারাদিন বাসার সবার সাথে অনেক বানিয়ে বানিয়ে বাড়িতে গিয়ে কি করেছি, দিন কাল কেমন কেটেছে ইত্যাদি নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে অনেক মিথ্যা গল্প করলাম। সেদিন আমার হারুন ভাইয়ের (বাবুর্চি) জিবনের গল্প শুনলাম।
হারুন ভাই তার মা বাবার একমাত্র ছেলে ছিলেন। তাদের অর্থ সম্পদের কোনই অভাব নেই। নরসিংদির ভুয়াকুরে তার জন্ম। মায়ের সাথেই ছিল তার সুখের সংসার, বাবা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। হাতি মার্কা বল সাবানের নাম হয়ত অনেকেই জানেন। সেই হাতি মার্কা বল সাবান কারখানাটি হারুন ভাইদের ছিল। হারুন ভাই একটি মেয়েকে অনেক ভালবাসতেন, আর এই ভালবাসাই তার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। তার বোন এবং ভগ্নিপতিরা তাকে ফ্যক্টরি থেকে টাকা নিয়ে উড়ানোর অপবাদ দিয়ে বের করে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে ঘুরে অবশেষে আজকের বাবুর্চিতে পরিনত হন। কিন্তু তিনি তার ভালবাসা আদায় করে নিয়েছেন। তার সেই মনের মানুষকেই তিনি বিয়ে করে আজ সংসার করছেন। তার জীবনে ঘটে যাওয়া আরও বিভিন্ন ঘটনার কথাই তিনি আমার সাথে শেয়ার করলেন।
পরের দিন থেকে কাজে যোগ দিলাম, এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করা শুরু করলাম। বেতন আগের থেকে দুইশত টাকা বাড়িয়ে দেয়া হল খালার অনুরোধে। অনেক দিন ধরে রোদে এবং ঢুলার মধ্যে ঘুরে ঘুরে শরীরের অবস্থাও বেশি ভাল না। তাই কাজ শেষ করেই বাসায় চলে যেতাম এবং সবার সাথে আড্ডা দিতাম। একদিন হারুন ভাই বলল সোহেল আমরা বিকেলে তো বসেই থাকি, কিছু একটা করলে কেমন হয় যাতে ঘোরাও হবে টাকাও হবে। চিন্তা করে তিনিই একটা দুষ্ট বুদ্ধি বের করলেন, কিন্তু আমাকে বললেন না। আমাকে বলল সোহেল আমার সাথে চল, কোথায় বা কেন কোন কিছু জিগ্যাসা করার সুযোগ দিলেন না, আমাকে নিয়ে চলে গেলেন নিকটস্থ ব্যাংক কলনি সংলগ্ন বস্তিতে। সেখানে থেকে মানুষের মাটির চুলা থেকে মাটি নিতে শুরু করল। আমি আর কোন প্রশ্ন করলাম না, এভাবে সে বেশ কয়েকটি চুলা থেকে বেশ খানিকটা মাটি নিয়ে বাসার দিকে চলল। বাসায় গিয়ে সেগুলোকে পানি দিয়ে নরম করে খামিরের মত বানাল। এর পরে সেগুলোকে হাতে নিয়ে পেপের বিচির মত ছোট্র ছোট্র বড়ি বানাচ্ছিল এবং মুখ টিপে টিপে হাসছিল ...........................
চলবে......................
Halo Dear Friends,
We can do anything for ourselves if we want. We do not have to pay any attention to this. So I have made the following decisions. The ones who complete the following steps will also give him the same reprisal.
Follow 👉 @sohelsarowar
👉 Resteem any post from my Blog
👉 Upvote any post from my Blog
I request be honest and kind, once you completed all steps then don't forget to leave your post URL in the comment box i will do sometime instant otherwise confirm in 4-24 hours. respect everyone. Thank You!
Note: Please do not post multiple Post URL in the same blog. 1 person Allow 1 URL then after 24 hours i will new post then you can give me the new one.
Thank you...