My BCS plan
আমি সম্ভবত কোনদিন বিসিএস জব করবো না।
তবে নিজের জেনারেল নলেজের ধার দেখানোর নেশা পেয়ে বসলে হয়তো পরীক্ষাটা দিতে পারি,কারন মানুষকে চমকে দিতে আমার বেশ মজা লাগে।
সেক্ষেত্রে আমি ভাইভা বোর্ড তক গিয়ে আর আগাবো না।কারন আমার সরকারি চাকরি ভাল্লাগে না।
এইটুকু পড়ে অনেকেই হাসবেন। জানিয়ে রাখি,আমি ২০১১ সালে তৎকালীন বিসিএস ক্যান্ডিডেটদের সাথে কম্পিট করেই হিরো অফ দ্যা নলেজে বাংলাদেশে ১১তম হয়েছিলাম।
তখন আমি কলেজ সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।বয়স আঠারোও হয় নি।
একারনে,বহুদিন ধরে দূরে থাকা জেনারেল নলেজের ময়দান যদি একটা ডাক দেয়,একবার পরীক্ষা দিলেও দিতে পারি।সেটা শুধুই দেখে নেয়ার জন্য,মগজের ধার ঠিক আছে কি না।
বাংলাদেশ ব্যাংকে এক্সাম দেয়ার ইচ্ছা আছে,শেষমেশ সেটাও হবে বলে মনে হয় না।সরকারী চাকরি আমাকে টানে না।
আমাকে টানে সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র,নি
উট্রিশনের বিদ্যাটা যদি কোনদিন কাজে লাগানোর তৌফিক আল্লাহ দেন,সিরিয়া বা ইয়েমেন বা আফগানিস্তানে মানবতার সেবায় বিদ্যাটা কাজে লাগাতে চাই।
জীবনের ঝুকি আছে এমন জায়গায় কাজের স্বাদই আলাদা।সেই সাথে যদি যোগ হয় অসহায় মানুষের সেবার মানসিক আনন্দ,তাহলে তো কথাই নেই।পাচ মাস হল রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়েছি,এখনো সেখানকার কথা মনে পড়ে।তবে,রেফিউজি হিসেবে রোহিঙ্গারা যথেষ্ট বোরিং। অফিসিয়াল মিটিং আর কক্সের স্যাতসেতে গরম বাদে আমার কাজ করতে ভালই লাগতো।যেদিন বেশি অসুস্থ কোন বাচ্চাকে লাইন ভেঙ্গে বা ভিড় ঠেলে ওটিপিতে নিয়ে আসতে পারতাম সেদিন সবচেয়ে ভাল লাগতো।
এক ভলান্টিয়ার ছিল,নাম সাবায়ের,বেতন পেত আটাশশো টাকা।রোহিঙ্গা।ইংরেজী ভালই জানে।তার একটা হলুদ গেঞ্জি আর একটা সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি ছাড়া কোন পোশাক ছিল না।বেচারা ভাল একটা চাকরি চেয়েছিল,দিতে পারি নি।
কোনদিন বিসিএস চাকরির নিয়ত না থাকা এই আমিও কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিজের সবটূকু ঢেলে দিয়েছিলাম।আমার কাছে এটা আমার চাকরির প্রশ্ন ছিল না।এটা ছিল আমার ভাইদের ওপর হওয়া নির্যাতনের প্রতিবাদ।বাংলাদেশে ন্যায্য অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামা লাখো তরুণের অংশ হতে পেরে বুকের ভেতর ছিল এক অসম্ভব ভালোলাগা।
আন্দোলনকারীদের ডাটা সরকারের কাছে আছে,ভাল কথা।রাখেন ডাটা।সারাদেশের মানুষের ডাটাই আপনাদের কাছে থাকে,তো??
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জ্বনক প্রানী।
ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ায়,ছাত্রদের পালস বুঝতে পারায় প্রধানমন্ত্রী একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন।
ছাত্রদের খেপানোর জন্য যারা দায়ী,প্রধানমন্ত
্রীর উচিত তাদের চিনে রাখা।
অতি ভক্তি অবশ্যই চোরের লক্ষণ।এন্টি আওয়ামী লীগ একটা প্রজন্ম তৈরি করতে একজন মতিয়া চৌধুরীই যথেষ্ট।