**গল্পের বিষয়: "বন্ধুত্বের সেতু"** গল্পের মূল
বন্ধুত্বের সেতু
একটি ছোট্ট গ্রামে বাস করত দুই বন্ধু, রাহুল এবং সোহান। তারা একে অপরের সাথে ছোটবেলা থেকে খেলাধুলা করে বড় হয়েছে। রাহুল ছিল খুব চঞ্চল এবং সাহসী, অন্যদিকে সোহান ছিল শান্ত এবং চিন্তাশীল। তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল অটুট, কিন্তু একদিন একটি অঘটন তাদের বন্ধুত্বের পরীক্ষা নিল।
গ্রামের কাছে একটি বড় নদী ছিল, যার উপর একটি পুরনো সেতু ছিল। সেই সেতুটি অনেকদিন ধরে ব্যবহার করা হয়নি এবং এখন তা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। রাহুল সেতুর উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে একটি পা পিছলে পড়ে যায়। সোহান দ্রুত তাকে ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু সেতুটি ভেঙে পড়তে শুরু করে। সোহান রাহুলকে শক্ত করে ধরে রাখে এবং অন্যদিকে টেনে নিয়ে যায়। কিন্তু সেতু ভেঙে পড়ার কারণে তারা দুইজনই নদীতে পড়ে যায়।
নদীর স্রোত খুবই প্রবল ছিল, কিন্তু সোহান রাহুলকে সাহস দিয়ে বলল, "ভয় পাস না, আমরা একসাথে পার হবো।" তারা একসাথে সাঁতার কাটতে শুরু করে। সোহানের চিন্তাশীলতা এবং রাহুলের সাহস তাদেরকে নদীর স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করল। অবশেষে, তারা নদীর অপর পাড়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনার পর, তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারে যে, সত্যিকারের বন্ধুত্ব মানে একে অপরের জন্য সবকিছু করা। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, গ্রামে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ বিপদে না পড়ে।
গ্রামের সবাই তাদের কাজে সহযোগিতা করতে আসে। রাহুল এবং সোহান একসাথে পরিকল্পনা করে এবং সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে, সেই সেতুটি তৈরি হয় এবং গ্রামের মানুষের জন্য একটি নিরাপদ পথ হয়ে ওঠে।
এই ঘটনার মাধ্যমে রাহুল ও সোহানের বন্ধুত্বের সেতু তৈরি হল, যা শুধু তাদের নয়, বরং পুরো গ্রামের মানুষের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে রইল। তারা বুঝতে পারল যে, বন্ধুত্বের শক্তি সব বাধাকে অতিক্রম করতে পারে এবং একসাথে কাজ করলে যে কোনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
এভাবেই বন্ধুত্বের সেতু তাদের জীবনকে বদলে দিয়েছিল এবং তাদের বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট হয়ে রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.