"বন্ধুত্বের সেতু" গল্পের প্রেক্ষাপট: একটি ছোট গ্র
বন্ধুত্বের সেতু
প্রেক্ষাপট
একটি ছোট গ্রাম, নাম "শান্তিপুর"। এই গ্রামটি চারপাশে সবুজ পাহাড় ও নদীর মাঝে অবস্থিত। গ্রামটির মানুষেরা সাধারণত কৃষিকাজ করে জীবনযাপন করে। গ্রামটিতে দুইটি ভিন্ন সম্প্রদায় বাস করে - এক সম্প্রদায়ের মানুষরা কৃষক, আর অন্য সম্প্রদায়ের মানুষরা কারিগর।
গল্পের শুরু
শান্তিপুর গ্রামে ছিল দুই বন্ধু, রাহুল ও সোহান। রাহুল ছিল কৃষকের ছেলে এবং সোহান ছিল কারিগরের ছেলে। তারা একসাথে বড় হয়েছে, খেলাধুলা করেছে, এবং একে অপরের বাড়িতে গিয়ে সময় কাটিয়েছে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, তাদের মাঝে একটি অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হতে শুরু করল। কৃষক ও কারিগরের মধ্যে কিছু পুরনো বিরোধের কারণে তারা একে অপরের সাথে কম কথা বলতে শুরু করল।
বন্ধুত্বের সংকট
একদিন, গ্রামের নদীর কাছে একটি বড় বন্যা এল। নদীর পানি বেড়ে গিয়ে গ্রামের অনেক ফসল ও ঘরবাড়ি তলিয়ে গেল। রাহুলের পরিবার তাদের ফসল হারাল এবং সোহানের পরিবারও তাদের কারিগরি সামগ্রী হারাল। এই বিপর্যয়ে তারা বুঝতে পারল যে, তাদের বন্ধুত্বের মূল্য অনেক বেশি।
বন্ধুত্বের সেতু
রাহুল ও সোহান সিদ্ধান্ত নিল, তারা একসাথে কাজ করবে যাতে তাদের পরিবারকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে। তারা গ্রামে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করল, যেখানে কৃষকরা তাদের ফসলের জন্য কারিগরদের সাহায্য করবে এবং কারিগররা কৃষকদের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি তৈরি করবে।
গ্রামের মানুষদের মধ্যে তাদের বন্ধুত্বের উদাহরণ দেখে সবাই একত্রিত হল। তারা একসাথে কাজ করতে শুরু করল এবং অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রামটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হল।
সমাপ্তি
রাহুল ও সোহানের বন্ধুত্ব শুধু তাদের নিজেদের জন্য নয়, বরং পুরো গ্রামটির জন্য একটি সেতু হয়ে দাঁড়াল। তারা বুঝতে পারল যে, একতা ও সহযোগিতা ছাড়া কোন সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। শান্তিপুর গ্রামে বন্ধুত্বের এই সেতু আজও অটুট।
এভাবেই বন্ধুত্বের শক্তিতে তারা নতুন করে জীবন শুরু করল, এবং শান্তিপুর গ্রামটি আবারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.