**গল্পের বিষয়: "বন্ধুত্বের সেতু"** গল্পের প
বন্ধুত্বের সেতু
এক ছোট্ট গ্রামে ছিল দুটি ছেলে, রাহুল এবং সোহান। তারা ছিল একে অপরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তাদের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল যখন তারা দুজনেই স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। রাহুল ছিল মেধাবী এবং সোহান ছিল ক্রীড়াবিদ। তারা একে অপরের অভাব পূরণ করত এবং একসঙ্গে অনেক মজার সময় কাটাত।
গ্রামের পাশে একটি বড় নদী ছিল। নদীর অপর পাড়ে ছিল একটি সুন্দর বাগান, যেখানে বিভিন্ন রকম ফুল ফুটে থাকত। কিন্তু নদী পার হওয়া ছিল খুবই কঠিন, কারণ সেখানে কোন সেতু ছিল না। রাহুল এবং সোহান প্রায়ই নদীর পাড়ে বসে সেই বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করত, কিন্তু সেখানে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না।
একদিন, সোহান বলল, "আমরা যদি একটি সেতু তৈরি করি তাহলে আমরা সহজেই ওই বাগানে যেতে পারব!" রাহুল প্রথমে দ্বিধায় পড়ল, কিন্তু পরে সোহানের উৎসাহে রাজি হল। তারা সিদ্ধান্ত নিল যে, তারা সেতু তৈরির জন্য কাজ শুরু করবে।
তারা প্রথমে নদীর দুই পাড়ে গাছের ডাল এবং পাথর সংগ্রহ করতে লাগল। প্রতিদিন স্কুলের পর তারা নদীর কাছে এসে কাজ করত। মাঝে মাঝে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ত, কিন্তু একে অপরকে উৎসাহিত করে আবার কাজ শুরু করত। তাদের বন্ধুত্বের শক্তি তাদের কাজকে সহজ করে তুলল।
কিছু মাস পর, অবশেষে তাদের পরিশ্রমের ফলস্বরূপ একটি ছোট সেতু তৈরি হলো। সেতুটি ছিল শক্তিশালী এবং নিরাপদ। তারা আনন্দে চিৎকার করতে লাগল। সোহান বলল, "দেখো, আমরা আমাদের বন্ধুত্বের মাধ্যমে এই সেতু তৈরি করতে পেরেছি!"
রাহুল হাসতে হাসতে বলল, "হ্যাঁ, বন্ধুত্বই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।" তারা সেতু পার হয়ে বাগানে গেল এবং সেখানে বিভিন্ন রকম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করল।
সেতুটি শুধু তাদের জন্য নয়, গ্রামবাসীদের জন্যও একটি নতুন সুযোগ এনে দিল। এখন সবাই সহজেই নদী পার হয়ে বাগানে যেতে পারত। রাহুল এবং সোহানের বন্ধুত্বের সেতু গ্রামের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
এভাবেই বন্ধুত্বের সেতু তৈরি হলো, যা শুধু দুটি বন্ধুর মধ্যে নয়, বরং পুরো গ্রামের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করল। তারা শিখল যে, একসঙ্গে কাজ করলে কোন বাধাই অতিক্রম করা সম্ভব।
এবং সেই থেকে, রাহুল এবং সোহানের বন্ধুত্ব শুধু তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল না, বরং সেতুর মাধ্যমে পুরো গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.