একটি ছোট্ট গ্রামে দুই বন্ধু ছিল, তাদের নাম রাহুল এবং সিমরন
দুই বন্ধুর গল্প
একটি ছোট্ট গ্রামে বাস করত দুই বন্ধু, রাহুল এবং সিমরন। তারা ছিল অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু, একসাথে স্কুলে যেত, খেলাধুলা করত এবং একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থাকতো।
গ্রামের পরিবেশ
গ্রামটি ছিল সবুজে ঘেরা, চারপাশে ছিল উঁচু উঁচু গাছ এবং একটি ছোট নদী। নদীর পাশে ছিল তাদের প্রিয় খেলার মাঠ, যেখানে তারা প্রতিদিন বিকেলে খেলতে যেত।
বন্ধুত্বের বাঁধন
রাহুল ছিল খুব মেধাবী, সে সব subject-এ ভালো করত। সিমরন ছিল ক্রীড়াবিদ, সে ফুটবল এবং ক্রিকেটে চমৎকার খেলত। একদিন, রাহুলের একটি পরীক্ষা ছিল, কিন্তু সে খুব নার্ভাস ছিল। সিমরন তখন তাকে সাহস দিলো।
"তুমি পারবে, রাহুল! তুমি কঠোর পরিশ্রম করেছ।"
রাহুলের মনে সাহস জাগল এবং সে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করল। সিমরনের জন্য সে খুবই কৃতজ্ঞ ছিল।
একটি চ্যালেঞ্জ
একদিন, গ্রামের একটি বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছিল। সিমরন তার দলের অধিনায়ক ছিল এবং রাহুলকে তার দলের জন্য নির্বাচিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাহুল ফুটবল খেলতে খুব একটা ভালো ছিল না।
সিমরন বলল, "চলো, আমরা একসাথে প্র্যাকটিস করি। তুমি শিখে যাবে।"
রাহুল প্রথমে দ্বিধায় ছিল, কিন্তু সিমরনের উৎসাহে সে রাজি হল। তারা প্রতিদিন মাঠে প্র্যাকটিস করতে লাগল।
টুর্নামেন্টের দিন
টুর্নামেন্টের দিন এল। রাহুল কিছুটা চিন্তিত ছিল, কিন্তু সিমরন তাকে সাহস দিলো। খেলা শুরু হলে, রাহুল ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠল। সে একটি গোল করল এবং পুরো দলের জন্য উল্লাসের কারণ হয়ে উঠল।
বন্ধুত্বের মূল্য
শেষ পর্যন্ত, তাদের দল টুর্নামেন্ট জিতল। রাহুল এবং সিমরন একসাথে বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করল। তারা বুঝতে পারল, বন্ধুত্বের শক্তি এবং একে অপরের প্রতি সমর্থন তাদেরকে সফলতা এনে দিয়েছে।
"দোস্ত, আমরা সবসময় একে অপরের পাশে থাকব," রাহুল বলল।
"অবশ্যই! আমাদের বন্ধুত্ব কখনো ভাঙবে না," সিমরন উত্তর দিলো।
এভাবেই রাহুল এবং সিমরনের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হলো, এবং তারা একসাথে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হলো।
শেষ কথা
এই গল্প আমাদের শেখায় যে, সত্যিকারের বন্ধুত্ব সবসময় একে অপরকে সমর্থন করে, এবং একসাথে কাজ করলে যে কোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.