আমার পরিচিতি
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
ইস্টিমিটের সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আশা করি সবাই ভাল আছেন।
এস্টিমিটে আমার প্রথম পোস্ট লিখতে শুরু করেছি আমার পরিচয় পর্ব দিয়ে।
আমি খালিদ সাইফুল্লাহ(সবুজ)।
পিতা মোঃ নুরইসলাম ভূইয়া,আমার বাড়ি মাগুরা জেলার শালিখা থানার শতখালী ইউনিয়নের শতখালী গ্রামে।
আমার ছোট্ট বেলার স্মৃতি
ছোট বেলায় আমি খুব বেশি দুষ্টামি করিনি। আমার মা আমাদের খুব বেশি শাসন করতেন।কারো সাথে মারামারি বা ঝগড়া লাগলে মা আমাদেরকেই বকা দিতেন, আমাদের দোষ থাক বা না থাক।
মা ও বাবার কথা ছিল যে
খাওয়া ও পরার সময় আল্লাদ আর কোন সময় ছাড় নেই।
মনে আছে, ছোট্ট বেলায় মক্তবে নিয়ে হুজুরকে বলেছিল চোখ কান বাদে মারবেন, হাড় আমার গোস্ত আপনার।
আমি চাই আমর সন্তান ভালো মানুষ হোক।
আমার লেখাপড়ার জীবন,,
মায়ের কাছেই আমার প্রথম হাতেখড়ি শুরু হয়।তার পর ভর্তি করিয়ে দেয় ছোট ওয়ানে শতখালী পূর্ব পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
দুই বছর পর আবার ভর্তি করিয়ে দেয় ব্রাকস্কুলে দ্বিতীয় শ্রেনিতে। ব্রাক থেকে পাশ করে বের হই।
আবার ভর্তি করিয়ে দেয় শতখালী দারুলউলুম দাখিল মাদ্রাসায়।
যখন ৮ম শ্রেনীতে পড়ি, তখন আব্বা আবার শতখালী বিশ্বাস পাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়। সময়টা ছিল ২০০৪ সাল। দীর্ঘ ৬ বছর কাটায় হাফেজি মাদ্রাসায়। হেফজ শোনানির জন্য পাড়ি জমায় ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার গাঘা তালসার। ওখান থেকেই শেষ হয় হাফেজি মাদ্রাসার পড়াশোনা।
তারপর এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে ২০১০ সালে ভর্তি হই ৮ম শ্রেনীতে। হাজী আলতাফ হোসেন হরিন্দীয়া আলিম মাদ্রাসা কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ। হরিন্দীয়া মাদ্রাসা থেকে ২০১৩ সালে দাখিলে ৪.৮৮ এবং২০১৫ সালে আলিম ৪.১৪ পেয়ে পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হই।
ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন
করি,তবে দুর্ভাগ্য চান্স হয়নি ।
তারপর ফাযিলে ভর্তি হই,,ছয়ঘরিয়া এ.বি.এস ফাযিল মডেল মাদ্রাসা, শালিখা মাগুরা। এবং ২০১৮সালে ফাজিল শেষ করি।
[Source](
https://g.co/kgs/TeyhjgW)
তারপর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কামিলে ভর্তি হই।কোটচাঁদপুর কামিল মাদ্রাসায়। করোনার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়ে কামিল শেষ হয় ২০২২ সালে।
[Source](
আবার ২০১৬-১৭ বর্ষে অনার্সে ভর্তি হয়েছিলাম যশোর এম এম কলেজে। অনার্স শেষ হওয়ার পর মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে ২০২৪ সালে মাস্টার্স পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে একাডেমিক পড়াশোনার ইতি টানলাম।
Source
পড়াশোনা চলাকালীন অনেক জায়গায়
ছোটখাটো দায়িত্ব পালন করেছি মসজিদ মাদ্রাসা,স্কুলে, এই দায়িত্ব পালনের সুবাদে কোট চাঁদপুর মহেশপুর ঝিকরগাছা যশোর সদর এলাকায় থেকেছি। অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে বন্ধুত্ব হয়েছে অনেককে খুব বেশি মনে পড়ে। দোয়া করি আল্লাহ সকল মানুষকে সুস্থ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করে। এবং যারা দুনিয়া থেকে চলে গেছে তাদেরকে যেন আল্লাহ জান্নাত দান করে।
আরো একটি কথা ছোটখাটো দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে নিজের পারিবারিক দায়িত্বটাও গ্রহণ করি ২০১৭ সালে বিবাহের মাধ্যমে। এখন আমার সাড়ে চার বছরের একটা কন্যা সন্তান আছে।
২০০৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ির বাহিরেই থাকতাম। বাড়িতে আসতাম বেড়াতে।
আলহামদুলিল্লাহ এখন বাড়িতেই থাকি গ্রামের মসজিদে দায়িত্ব পালন করি এবং বাড়িতে টুকটাক কাজ করি।