আমার লেখা কবিতা "২১-এ রাঙানো রক্তের মোহনা" (Poem of my writing "21. A mouthful of dyed blood")||(১০% লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- ২১-এ রাঙানো রক্তের মোহনা
- ২১,ফেব্রুয়ারী ,২০২৩
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার লেখা কবিতা শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নিজের কিছু অনুভূতির কথা
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয় ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। বিভিন্ন আন্দোলন এবং সংগঠন তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল গড়ে তোলা হয়। ভাষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি সাফল্যের সাথে পতাকা দিবস পালিত হয়। এদিকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা বন্দি মুক্তির দাবিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহমেদকে কারাগারে অভ্যন্তরে অনশন শুরু করেন। অত্যন্ত সংগঠিতভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি সফল করার প্রস্তুতি চলতে থাকে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গণতান্ত্রিক যুবলীগ পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম ছাত্রলীগ সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি সফল করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই ব্যাজ বিক্রি করে তারা অর্থ সংগ্রহ করে। এইদিকে সভা সমাবেশ বন্ধ করার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। তারা সকল বাধা অপেক্ষা করে সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ জনের অসংখ্য দলে বিভক্ত হয়ে মিছিল শোভাযাত্রা শুরু করে। রাষ্ট্রভাষা বাংলা ছায়াছবি স্লোগান দিয়ে ছাত্রদের মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সামনের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ তাদের উপর অতর্কিত লাঠিচার্জ, কাদানো গ্যাস এবং গুলি বর্ষণ শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবুল বরকত, আব্দুল জব্বার, আব্দুস সালাম এবং রফিক উদ্দিন শহীদ হন। সেই দিনের পর থেকে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হয়। শহীদদের স্মরণে কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
২১-এ রাঙানো রক্তের মোহনা
রক্তে রাঙানো অমর শহীদদের স্মৃতি ভাসে সেথায়;
মনে পড়ে যায় ৫২-র ঐ মহান দিনের কথা
লাখো মানুষের মনে সে কথা লাল তুলিতে আঁকা।
তাদেরই স্বার্থে আজ আমাদের বাংলায় কথা বলা,
দেশের জন্য যারা করিল নিজের স্বার্থ ত্যাগ
উর্দু ভাষীরা সেই মহানদের জীবন করিল শেষ।
কেন পথঘাট রাঙানো হলো তাদেরই রক্তের স্রোতে?
কেন তারা সেদিন অবুঝ শিশুর ভাষা কাড়তেই চাইল?
কেন তারা মমতাময়ী মা 'দের তনয়হারা করল?
রক্তের মোহনা বয়েছিল সেদিন আসে নাই তারা ফিরে
অনল যেন জ্বলিতেছে মনে দীপ্তির শিখা হয়ে
বীরবাহু তারা গর্ব মোদের আজীবন যেন থাকে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
ভাইয়া একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার এই কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শহীদের স্মরণে আপনি খুব ভালো কবিতা লিখেছেন। কবিতার ভাষা খু সুন্দর হয়েছে। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না।ধন্যবাদ সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একমাত্র বাঙ্গালী জাতি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে।সালাম,বরকত, রফিক ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। তাদের কে বাঙালি জাতি চিরজীবন স্মরণীয় করে রাখবে কারণ তাদের ত্যাগ আজকের এই বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছে।
আপনি অনেক সুন্দর কবিতা লিখেছেন ভাইয়া।৫২ এর দিন গুলো কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আসলে অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি। আজকে অনেক জনকে দেখলাম খুব চমৎকার চমৎকার কবিতা লিখেছেন। ঠিক একই রকম ভাবে আপনিও খুবই চমৎকার কবিতা লিখেছেন। আমি নিজেও কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। আপনার কবিতাটি পড়তে তেমন অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনি খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন কবিতাটির পড়ে খুব ভালো লাগলো। বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে ভাষা শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সুন্দরভাবে মনের অনুভূতিগুলো কবিতার ছন্দে ব্যক্ত করেছেন আমাদের মাঝে।
এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।