আজ শুক্রবার দিনের কিছু অংশ।
Photo edited by canva
- আসসালামু আলাইকুম,
প্রথমেই আলহামদুলিল্লাহ, সৃষ্টিকর্তা তিনি খুব ভালো রেখেছেন, আমি যখন যেভাবে যে পরিস্থিতিতে থাকি না কেন তার জন্য শুকরিয়া আদায় করি। কারণ, আশেপাশের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় আমাদের থেকেও অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে মানুষ আছে।
![]() |
---|
বাড়ি থেকে আসার পরে সুস্থই ছিলাম তবে, হঠাৎ করে ঠান্ডা মনে হয় আমাকে ধরবে ধরবে একটা ভাব,নিজের ভিতরে টের পাচ্ছি , তবে সব সময়ই সতর্কতা ভাবে চলার চেষ্টা করছি, কিন্তুু আমি যেটা কে বেশি ভয় পাই সেটা এই আমার পিছু ছাড়ে না, ইদানিং আমি বেশ সুখী হয়ে পেড়েছি, যার কারণে একটু হলেই রোগ এসে ধরে বসে। জানিনা কথা কেন কতটুকু সত্যি তবে আমার মনে হয়।
দিন টা শুক্রবার,হাসবেন্ডের অফিস বন্ধ তাই রান্নার খুব তাড়া নেই কিন্তুু তবুও আমি খুব সকালে উঠেছি, এরপরে অজু করে কিছুটা সময় কোরআন শরীফ পড়লাম। এরপরে নিজের জন্য একটু আদা চা তৈরি করলাম যেহেতু ঠান্ডার একটু ভাব নিজের ভিতরে টের পাচ্ছি। গ্যাসের চুলায় চা বসিয়ে, প্রথমেই হালকা গরম পানির সাথে কয়েক টা খেজুর খেলাম।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চেষ্টা করি খেজুর খাওয়া তবে মাঝেমধ্যে ভুলে যাই। এরপরে চায়ের সাথে বিস্কুট নিয়ে খেয়ে নিলাম, হাজব্যান্ড কে ও ডেকে চা দিলাম।ভাবলাম শীতের সময় গরম গরম চা খাওয়া কম্বলের নিচে বসে মজা টা কিন্তু অন্যরকম,
তবে, আমার হাজব্যান্ড চা টা খুব ভালোভাবে খেয়ে নিয়ে বললো আমি নাকি তার ঘুম টা নষ্ট করেছি,, এজন্যই বলে পুরুষ মানুষের ভালো করতে নেই। যদিও কথাটা আমাকে খেপানোর জন্য বলেছে,,তাই বুঝে চুপ করেই রইলাম।। কারণ কথায় আছে এক মাঘে শীত যায় না।
![]() |
---|
যাই হোক, এরপরে ধীরে ধীরে রান্না বান্নার কাজে মন দিলাম। কারণ ভালো বন্ধু যাই হোক খেতে হলে কাজ করতেই হবে এটা একটা সংসারিক মহিলার ধর্ম। কাজ নাই তো ভাত নাই , যেহেতু হাজবেন্ডের ছুটি ছিলো তাই তিনি এই রুম গুলো পরিষ্কার করেছে, আর আমি অন্য দিকে দুপুরে রান্নাটা সেরে নিয়েছিলাম , রান্নাবান্না শেষ করে গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করলাম।।
নামাজ পড়ে বেশ খানিক টা সময় জায়নামাজের উপরে বসে ছিলাম,এর মাঝে কলিং বেল বেজে উঠলো, দরজা খুলে দেখি হাসবেন্ড নামাজ থেকে চলে এসেছে, এরপরে আমরা দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম, খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খানিক টা সময় বিশ্রাম নিবো ভেবেছিলাম।
![]() |
---|
আমার বাসার পিছনেই হাজারীবাগ থানা, বারান্দা থেকে থানা টা স্পষ্টভাবে দেখা যায়, আর তার পাশেই রয়েছে বড় ফ্যাক্টরি আমার যতদূর যায় না সেখানে জুতা তৈরি করা হয়।, আমি স্পষ্ট ভাবে দেখছিলাম বিল্ডিংটার একটা সাইটে অনেক আগুন লেগেছে এবং কালো ধোয়ায় ভরে গিয়েছে।
খুব একটা দূরে নয়,বারান্দা থেকে খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছিলো কয়েক জায়গা থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে ছিলো, আগুন নিভানোর পরে খানিক টা সময় পর আবারো অনেক টা জায়গা নিয়ে আগুন দেখা যাচ্ছিলো এরপরে অনেক সময় ধরে আগুন নিভানোর কাজ চলতে থাকে।
সারাটা বিকাল বারান্দায় বসে এগুলো দেখছিলাম, এবং খুব খারাপ লাগছিল না জানি ভিতরে কোন মানুষ জন ছিল কি না।বিপদ আমাদের মাঝে কখন আসবে সেটা বলা খুবই মুশকিল তবে, নিজেদের কে সব সময় অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, সারাটা বিকাল এসব দেখে ভিতর টা খুবই খারাপ লাগছিলো কিন্তুু খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই দোয়া করা ছাড়া , আল্লাহ সবাইকে সকল ধরনের বিপদ থেকে মুক্তি দিক সে প্রার্থনাই করি।
![]() |
---|
আমার আজকের দিনটা কেটেছে, জীবন থেকে আর একটা দিন হারিয়ে ফেলেছি। জানিনা কতটুকু ভালো কাজ করছি, তবে সব সময় চেষ্টা করছি এবং করবো সব সময়ের সৎ ভাবে থাকার,কারণ এই জীবন টা খুবই ছোট যতটুকু ভালো কাজ করবো সেটাই সাথে যাবে মৃত্যুর পরে, এ চাকচিক্যময় জীবনের সবকিছুই পড়ে থাকবে।
দুলাভাই তো সত্যিই ঠিক বলেছে,আপনি হাজার টাকার ঘুমটা নষ্ট করেছেন। ছয়টা দিন মানুষটা কত কষ্ট করে এই শীতের সকালবেলা উঠে অফিসে গিয়েছিল। আজকে শুক্রবার তাই একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে চেয়েছিল, আপনি সকালবেলায় ঘুমটা নষ্ট করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আরেকটি বিষয় জানতে পারলাম। আপনাদের এলাকায় একটি বিল্ডিং এর সাইটে আগুন লেগেছে, এই বিষয়টা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। আপনার দৈনিক জীবনের কার্যক্রম পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ। আমার কথা ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না আপু একটু মজা করলাম।
হা হা হা 🥱
একদম ঠিক কথাই বলেছেন হাজার টাকার ঘুম নষ্ট হয়েছে,
সে তো ছয় দিন ডিউটি করার পরে একদিন ঘুমাতে পারে আর আমি তো সেটাও পারি না। সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে মাথার মধ্যে কাজ করে সকালের নাস্তা টা কি তৈরি করবো,,,একেই বলে মেয়ে মানুষ,,
প্রথমেই আলহামদুলিল্লাহ, আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সত্যিই সুন্দর এবং সত্যের পথে চলার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, তা আপনার চেষ্টার মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে। আপনি যেভাবে প্রতিটি দিনকে উপভোগ করছেন এবং আপনার পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্বশীলতা এবং সতর্কতা প্রদর্শন করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আপনার দেখানো ধোয়া এবং আগুনের দৃশ্যটি আমি বেলকুনি থেকে দেখেছি। সত্যিই এটি এক ধরনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছিল। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষা করুন, আর আপনার জীবন যেন আরও সফল এবং শান্তিপূর্ণ হয়।
মোটকথা, আপনার পোস্টটি অনেক শিক্ষণীয় ছিল এবং জীবন সম্পর্কে অনেক মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করেছে।
আসলে ছুটির দিনটা পুরুষ মানুষের জন্য মনে হয় একটা রাজত্বের জায়গা যেখানে কিনা তারা নিজেদেরকে রাজা মনে করে আর ঘরের বাকি সদস্যরা হচ্ছে তাদের প্রজা তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করতে হবে একটু উল্টাপাল্টা হলেই ঝামেলা সৃষ্টি হবে।
তবে আপনি দিনটাকে খুব সুন্দর ভাবেই উপভোগ করেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো কিন্তু বিকেলবেলা হঠাৎ করেই আগুন লেগে গেছে আপনাদের বাসার খুব কাছে আসলে বর্তমান সময়ে দেখতেছি এই আগুন লাগার বিষয়টা শীতের সময় অনেক বেশি ঘটে থাকে যাইহোক আপনারা ভালো আছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
সতর্ক থাকা প্রতিটি মানুষের উচিত কারণ সতর্ক মানুষকে অনেক কিছু থেকে যদি রেহাই করে।।। আর হ্যাঁ সে তার মধ্যে চা খেতে সকলেই অনেক বেশি ভালো লাগে।। ভাইয়ের আজকে অফিস বন্ধ তাই আপনার সাথে বেশ কাজ করেছে।। আর হ্যাঁ শামীমা আপুর পোস্টে এই আগুন লাগার বিষয়টা দেখেছিলাম।।