মানবপাচার এর অভিনব কৌশল
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন একটা ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে এসেছি, যে ব্যাপারটি বর্তমানে বাংলাদেশে বহুল আলোচিত একটি ব্যাপার। অর্থাৎ মিল্টন সমাদ্দার নামক মানব পাচারকারী ব্যক্তিটি নিয়েই কথা বলবো। এখন এতে হয়তো দুটি দল সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ একদল হয়তো বলবে যে, মিল্টন সমাদ্দার ব্যক্তিটি ভালো, তাকে শুধুমাত্র ফাঁসানো হচ্ছে। আবার আরেক দল বলবে যে, মিলটন সমাদ্দার ব্যক্তিটি আসলেই খারাপ এবং সে এতোদিন অনেক খারাপ কাজ করেছে।
আমি তাই সে তর্কে যেতে চাই না। অর্থাৎ মিল্টন সমাদ্দার খারাপ নাকি তিনি ভালো, তিনি ভালো কাজ করতেন নাকি ভালো কাজের আড়ালে খারাপ কাজ করতেন। সেসব দ্বন্দ্বে আমরা এখন না যাই। কারণ সেইসব বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা যেহেতু আমাদের নেই। কারণ আমরা সেই জায়গাগুলোতে নেই। সে কারণেই সেই আলোচনায় আমরা না যাই। আপাতত আমি যে ব্যাপারটি আজকে শেয়ার করতে এসেছি সেটা হলো,
এই মিলটন সমাদ্দার নামক লোকটার প্রতি যে এলিগেশন গুলো আনা হয়েছে। সেই এলেগেশন গুলো সত্য না মিথ্যা সেটা জানিনা। কিন্তু এই এলিগেশন গুলো যে আনা হয়েছে, এই এলিগেশন গুলোর অস্তিত্ব কিন্তু আছে। অর্থাৎ এই যে, যে মানব পাচারকারী কৌশলটি সম্পর্কে সব জায়গায় উল্লেখ করা হচ্ছে। সেটা কিন্তু সত্যিই অনেক জায়গায় অবলম্বন করা হয়।
অর্থাৎ কৌশলটি হলো রাস্তার ভিক্ষুক কিংবা যারা অসহায় ভাবে পরে থাকে। খেয়াল করলে দেখবেন যে তারা কোথায় গেছে না গেছে কিংবা তারা আছে নাকি নেই সেসব নিয়ে কিন্তু কেউ কখনোই কেও ভাবে না। তাই যারা মানব পাচারকারী রয়েছে। তারা যদি ওই মানুষগুলোকে টার্গেট করে তাহলে কিন্তু তাদেরকে কোনো আইন কিংবা পুলিশ, আদালত কেউই ধরতে যাবে না। কারণ যারা হারিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে নিয়ে ভাবার কিন্তু কেউ নেই। অর্থাৎ আমি যেটা বলতে চাইছি। সেটা হলো, ধরুন রাস্তায় অনেক অনেক মানুষ ই বসে থাকে। এখন তাদের মধ্য থেকে যদি কেউ না থাকে। তাহলে আমরা কি কখনো খেয়াল করবো? করবো না।
আর একদল অত্যন্ত খারাপ মানুষ ওই মানুষগুলোকে টার্গেট করছে, মানব পাচার করার জন্য। চিন্তা করুন! মানুষের মনের অবস্থা কতোটা ভয়ংকর হলে মানুষ এই ধরনের চিন্তা করতে পারে। এতো ভয়ঙ্কর প্ল্যানিং করতে পারে। তাই আমি বলবো যে, আমাদের আশে।পাশে যারা রয়েছে। আমাদের উচিত তাদের অন্তত একটু হলেও নজরে নজরে রাখা।
আসলে মিল্টন সামাদ্দার নিয়ে অসংখ্য মানুষ বিতর্কে জড়াচ্ছে। কেউ তার পক্ষে চাপাই গাইতেছে আবার কেউ তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। কিন্তু সত্যটা কি তা আদৌ আমরা জানিনা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ যে ভুল তাও কিন্তু নয়। অনেক কিছু সত্যতা পাওয়া যায়। সারা পৃথিবীতে অসংখ্য মানবতার ফেরিওয়ালা রয়েছে যারা মানবতার নামে মানুষকে ধোকা দেয়। আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিষয়টা আসলেই ভয়ংকর। মানবপাচার হতে শুনেছি তবে যদিও এটা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করার সুযোগ পায়নি বা পাবনা। তবে আপনি যে লেখাগুলো লিখলেন এটা পড়ে বুঝলাম এই লোকটার ব্যাপারে যে এলিগেশন আনা হয়েছে এগুলো যদি সে নাও করে, অন্য কেউ নিশ্চয়ই করছে। আর বর্তমান সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রামে নাকি অনেক লোকজন নিখোঁজ হচ্ছে। আসলে বিষয়গুলো কোথা থেকে কি হচ্ছে সেটা কেউই জানে না। আর এটার হদিস পাওয়া যাবে কিনা তাও জানা নেই। তবে এরকম মানব পাচারকারীর কারণে সুন্দর সমাজ সুন্দর পরিবার নষ্ট হয়ে যায়।হয়তোবা তারা রাস্তায় থাকা মানুষদের টার্গেট করে যাতে তাদের কেউ খোঁজ খবর না নেয়,আর এটাই সত্য তাদের খোঁজখবর কেউ নিবেও না।
মানুষের মন-মানসিকতা কতোটা নিকৃষ্ট হলে এমন কাজ করতে পারে সেটাই ভাবছি। গৃহহীন মানুষগুলো এমনিতেই রাস্তা ঘাটে ঘুমায় এবং প্রতিনিয়ত তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রণা পোহাতে হয়। আর এসব মানুষদের টার্গেট করে পাচার করা কতোটা জঘন্য কাজ,সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এটা ভেবে অবাক লাগে, আমাদের দেশের প্রশাসন কি করে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।